হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর স্ত্রীদের তালিকা ও বিস্তারিত তথ্যবলি।
আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সম্পর্কে আমরা কম-বেশি সবাই জানি। কিন্তু প্রিয় নবীর স্ত্রীদের নাম সম্পর্কে আমরা অনেকেই জানিনা। আমাদের উচিত নবীজির স্ত্রীদের সম্পর্কে অবগত থাকা। আল্লাহ তাআলা নবীজির স্ত্রীদের বিশেষ সম্মান এবং মর্যাদা দান করেছেন।
মা খাদিজার মৃত্যুর পর রাসূল সা: ১০ জন (মতান্তরে ১২ জন, আবার অনেকে এটাকে ১১ ও মতান্তরে তের উল্লেখ করেন) নারীকে বিয়ে করেছেন। অনেকে বাকি দুজনকে নবীজির স্ত্রী মনে করে আবার কারো মতে বাকি দুইজন ছিলেন দাসী।
আরো পড়ুনঃ জুমার দিনে দোয়া কবুলের সময় ও জুমার দিনের আমল।
সুপ্রিয় পাঠক গন আজকে ব্লগের মাধ্যমে আপনাদেরকে নবীজির স্ত্রীদের পরিচয় জানানো হবে। পাঠক দয়া করে বিস্তারিত পড়ুন।
আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনটা ছিল খুবই দুঃখ ও কষ্টের। তার সম্পূর্ণ জীবন দুই ভাগে বিভক্ত। যথা মাক্কী জীবন ও মাদানী জীবন। তিনি তার জীবদ্দশায় মাক্কী জীবনে দুটি বিয়ে করেন আর অন্য বিয়ে গুলি মাদানী জীবনে করেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর সাথে যারা বিবাহে আবদ্ধ হয়েছেন, তাদেরকে উম্মাহাতুল মুমিনিন বলা হয়। এর অর্থ মুসলিমদের মাতা। রাসুলের স্ত্রীদের মাতা সম্বোধন করতে হতে হবে। তাদেরকে সম্মান দিয়ে কথা বলতে হবে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর কাজের মাধ্যমে আল্লাহ তা'আলা আমাদের জন্য শিক্ষা রেখে দেন।
প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালামের ১৩ জন স্ত্রীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। যদিও অনেকে এই সংখ্যাটাকে ১১ বলে থাকেন। অনেকের মতে দুইজন দেশে ছিলেন ।
তবে যাই হোক এখানে ১৩ জন সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।
১. খাদিজা বিনতে খুওয়াইলিদ
২. সাওদা বিনতে জামআ
৩. আয়েশা বিনতে আবু বকর
৪. হাফসা বিনতে ওমর
৫. জয়নব বিনতে খুজায়মা
৬. উম্মে সালমা হিন্দ বিনতে আবি উমাইয়া
৭. রায়হানা বিনতে জায়েদ
৮. জয় নব বিনতে জাহস
৯. জুওয়াইরিয়া বিনতে আল হারিস
১০. রামহাল (উম্মে হাবিবা) বিনতে আবু সুফিয়ান
১১. সাফিয়া বিনতে হুইয়াই
১২. মাইমুনা বিনতে আল-হারিস
১৩. মারিয়া আল কিবতিয়া
আরো পড়ুনঃ জুমার দিনের গুরুত্ব ও ফযিলত। জুমার দিন কেন সাপ্তাহের শ্রেষ্ঠদিন ?
নবীজির স্ত্রীদের নামের দিকে লক্ষ্য করলে দেখবেন যে ,সবার নামের শেষে তাদের পিতার নাম যোগ করা। এখানে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর নাম যুক্ত করা হয়নি। কিন্তু আমাদের সমাজে নারীরা তার নামের শেষে স্বামীর নাম যোগ করে। যা মোটেও একজন মুসলিম নারী হিসেবে কাম্য নয়। সুতরাং আমাদের উচিত রাসুল সাঃ এর জীবন অনুসারে ও তার স্ত্রীদের থেকে শিক্ষা নিয়ে জীবন পরিচালনা করা।
চলুন রাসুল সা: এর স্ত্রীদের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
০১. খাদিজা বিনতে খুওয়াইলীদ
নবীজির স্ত্রীদের মধ্যে মা খাদিজা রাদিয়াল্লাহু ছিলেন নবীর প্রথম স্ত্রী। নবীর স্ত্রীদের মধ্যে মা খাদিজা রাদিয়াল্লাহু শুধু তাহেরা নামে উপাধি লাভ করেন। যার অর্থ হল পবিত্র। নবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সুখ-দুঃখের সাথে ছিলেন মা খাদিজা। তার আরও একটি পরিচয় আছে । তিনি ছিলেন একজন সফল ব্যবসায়ী। এছাড়াও আমাদের নবীর অত্যন্ত প্রিয় ও উত্তম স্ত্রী। রাসুল সা: এর সুখ-দুখের সাথে ছিলেন মা খাদিজা। নবীজির নবুওয়াত লাভের পর সর্বপ্রথম মা খাদিজা দ্বীন ইসলাম গ্রহণ করেন।
০২. সাওদা বিনতে জামআ
রাসূল সা: এর দ্বিতীয় স্ত্রীর নাম সাওদা বিনতে জামআ। রাসুলের সাথে বিবাহের পূর্বে তার আরো একটি বিবাহ সম্পন্ন হয়েছিল। সাওদা রাদিয়াল্লাহু এর স্বামী হিজরত করে হাফসা গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি দুর্ভাগ্যবশত মৃত্যুবরণ করেন। ফলে সাওদা রাদিয়াল্লাহু বিধবা হয়ে যান। পরবর্তীতে তার কষ্ট লাঘবের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বিবাহ করেন।
০৩. আয়েশা বিনতে আবু বকর
হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন। তিনি ছিলেন প্রখর স্মৃতিসম্পন্ন। হযরত আয়েশা রাদিয়াল্লাহু সবচেয়ে বেশি হাদিস মুখস্ত করেছিলেন। নবীজির স্ত্রী ছাড়াও তার আরো একটি পরিচয় আছে, তিনি ছিলেন বিশিষ্ট সাহাবী ও ইসলামের প্রথম খলিফা হযরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা এর কন্যা।
০৪. হাফসা বিনতে ওমর
হাফসা বিনতে ওমর রাদিয়াল্লাহু ছিলেন ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা। হযরত ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা এর কন্যা। হাফসা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা প্রথমে হুসাইন ইবনে হুজাইফা কে বিয়ে করেন । তার মৃত্যুর পরে বিধবা হন। ইদ্দত শেষ হওয়ার পর পিতা ওমর রাদিয়াল্লাহু তা'আলা প্রথমে ওসমান ইবনে আফফান রাদিআল্লাহু তা'আলা কে বিয়ের প্রস্তাব দেন । আবু বক্কর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু তা'আলা কে হাফসা রাঃ বিয়ে করা প্রস্তাব দেন । এই দুই সাহাবীর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে তখন বাবা ওমর রাদিয়াল্লাহু রাসূল সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম কে বিয়ের প্রস্তাব দিলেন। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাফসা (রাঃ) আল্লাহু কে বিবাহ করেন।
০৫. জয়নাব বিনতে খুজায়মা
বদরের যুদ্ধে জয়নব বিনতে খুযাইমা বিধবা হয়েছিলেন। তার স্বামীর নাম ছিল উবাইদাহ ইবনে হারিস। তিনি একজন বিশ্বস্ত মুসলিম এবং আল মুত্তালিব গোত্রের। যার জন্য মুহাম্মদ রাসূলুল্লাহ এর বিশেষ দায়িত্ব ছিল ৪ হিজরীতে যখন তার স্বামী মারা যায় তখন হযরত মুহাম্মদ সাঃ তার দায়ভার বহন করার লক্ষ্যে তাকে বিয়ে করেন। তার দয়া এবং দাতব্য কাজের জন্য তাকে “উম্মু আল মাসাকিন” উপাধিতে ভূষিত করেন। যার সাধারণ অর্থ দরিদ্রের মা।
০৬. উম্মে সালমা হিন্দ বিনতে আবি উম্মাইয়া
উম্মে সালমা হচ্ছেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর পালক ভাইয়ের স্ত্রী। আবু সালামা একজন ধর্ম প্রাণ মুসলিম ছিলেন। তিনি উহুদের যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন। তাদের ঘরে এক সন্তান ছিল। এছাড়া আর কেউ ছিল না, তাই উম্মে সালামা এই সন্তান নিয়ে খুব দুঃখ কষ্টে দিন কাটাতেন এবং আশেপাশের অনেক লোক তাকে বিয়ের জন্য প্রলোভন দেখিয়েছেন কিন্তু তিনি প্রতিটি বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। তিনি খালিদ ইবনে আল ওয়ালীদের পৈত্রিক চাচাতো বোন ও সামরিক কমান্ডার যিনি অনেক যুদ্ধে মোহাম্মদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন।
আরো পড়ুনঃ নামায মাকরূহ হওয়ার ৫০টি কারন।
তার বিয়ে খালিদকে উহুদের যুদ্ধে একটি সিদ্ধান্তহীন মনোভাব নিতে বাধ্য করেছিল। মোহাম্মদ সাঃ যখন তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন তখন তিনি তিনটি কারণে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনিই ঈর্ষায় ছিলেন বলে দাবি করছিলেন ও একটি অসফল বিয়ে এবং তার বার্ধক্য ও তরুন পরিবারের দিকে ইঙ্গিত করেছিলেন যা সমর্থনের প্রয়োজন ছিল। মোহাম্মদ সাঃ উত্তর দিয়েছিলেন যে, তিনি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করবেন যেন তাকে ঈর্ষা থেকে মুক্ত করেন। তিনিও বার্ধক্য জনিত ও তার পরিবারের মত। পরিশেষে ৪ই হিজরীর শেষের দিকে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
০৭. জয়নাব বিনতে জাহশ
জয়নাব বিনতে যাহশ সম্পর্কে রাসূল পাক সাঃ এর ফুফাতো বোন ছিলেন। রাসুল পাক সাল্লাল্লাহু সাল্লাম যখন জয়নাব বিনতে যাহোশ কি বিয়ে করেন তখন তার বয়স ছিল ৩৬ বছর এবং রাসুল পাক সাঃ এর বয়স ছিল ৫৭ বছর। হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর সাথে বিয়ের আগে জয়নব বিনতে জাহশ এর বিয়ে রাসূল সাল্লাহু সাল্লাম এর পোষ্যপুত্র জাহিদ বিন হারেছার সাথে সম্পন্ন হয়েছিল। জায়েদ বিন হারেছা তাকে তালাক দিলে রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম তাকে বিয়ে করেন।
এ বিয়ে করার মাধ্যমে মূলত রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম তখনকার সমাজে প্রচলিত দুই ধরনের কুসংস্কার দূর করেন। প্রথমত: সেই সময়ে পোষ্যপুত্রকে নিজ পুত্র এবং তার স্ত্রীকে নিজ পুত্রবধূ মনে করা হতো এবং তার সাথে বিবাহ বন্ধন নিষিদ্ধ মনে করা হতো। দ্বিতীয়ত: ইহুদী-নাছারাগণ ঈসা আঃ কে আল্লাহর পুত্র গণ্য করতো। (তওবা ৯/৩০) অথচ সৃষ্টি কখনো সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর সন্তান হতে পারে না। যেমন অপরের ঔরসজাত সন্তান কখনো নিজের সন্তান হতে পারে না। জয়নাব বিনতে জাহশ মোট ১১ টি হাদিস বর্ণনা করেছিলেন।
০৮. জুওয়াইরিয়া বিনতে আল হারেছ
জুওয়াইরিয়া বিনতে হারেছ ছিলেন বনু মুছতালিক্বী নেতা হারেস বিন আবু জারবারের কন্যা। রাসুল সা: জুয়াইরিয়া বিনতে হারেস কে বিয়ে করার সময় ৫৭ বছর বয়সী ছিলেন এবং জুওয়াইরিয়া বিনতে হারেসের বয়স ছিল ২০ বছর। ৫ম হিজরীতে বনু মুছতালিক্বী যুদ্ধে বন্দী হয়ে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর শশুর হওয়ার সুবাদে যুদ্ধে একশো এর অধিক বন্দী কে মুক্তি দেওয়া হয়। এই সুবাদে তারা সবাই মুসলমান হয়ে যায়। জুওয়াইরিয়ার প্রথম স্বামী ছিলেন মুসাফির বিন সুফিয়ান মুছতালিকী। তিনি মোট সাতটি হাদিস বর্ণনা করেন।
০৯. উম্মে হাবিবাহ রামলাহ বিনতে আবু সুফিয়ান
মক্কার কুরাইশ বংশের নেতা আবু সুফিয়ানের কন্যা উম্মে হাবিবা। তার প্রথম স্বামী ছিলেন ওবায়দুল্লাহ বিন জাহশ আসাদী। তারা দুজনেই মুসলমান হয়ে হাবসায় হিজরত করেন। কিন্তু সেখানে গিয়ে তার স্বামী মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার সময় তিনি এক কন্যা সন্তানের জননী ছিলেন। ফলে স্বামী মারা যাওয়ায় তিনি অত্যন্ত বিপদের সম্মুখীন হয়ে পড়েন।
আরো পড়ুনঃ নামায না পড়ার শাস্তি-বেনামাযির শাস্তিসমূহ।
তার এই বিপদের কথা জানতে পেরে সপ্তম হিজরীর মহররম মাসে আমর বিন উমাইয়া জামরির মাধ্যমে বাদশা নাজাশির নিকট পত্র প্রেরণ করেন এবং তার সাথে বিবাহের পয়গাম পাঠান। নাজাশী স্বয়ং তার বিবাহের খুতবা পাঠ করেন। এই সময় রাসুল সাঃ এর বয়স ছিল ৫৮ বছর এবং তার বয়স ছিল ৩৬ বছর। তিনি ৬৫ টি হাদিস বর্ণনা করেন।
১০. ছাফীইয়াহ বিনতে হুয়াই বিন আখতাব
রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর স্ত্রীদের মধ্যে তিনি একমাত্র ইহুদি দের কন্যা ছিলেন। তিনি খাইবার যুদ্ধে বন্দী হন। পরে ইসলাম কবুল করে রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে বিবাহিত হন। বিবাহের সময় রাসূলের বয়স ছিল ৫৯ বছর এবং তার বয়স ছিল ১৭ বছর। মদিনা থেকে বিতাড়িত ইহুদী বনি নাজির গোত্রের সরদার হোয়াই বিন আকতাব এর কন্যা এবং অন্যতম সরদার কেনানাহ বিন আবুল হুকাইক এর স্ত্রী ছিলেন। হযরত হারুন আঃ এর বংশধর ছিলেন। তিনি দশটি হাদিস গ্রন্থ বর্ণনা করেন।
১১. মাইমুনা বিনতুল হারেজ
তিনি ছিলেন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়াসাল্লামের সর্বশেষ স্ত্রী। তুমি হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদিয়াল্লাহু তা'আলা ও খালেদ বিন ওয়ালিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু এর আপন খালা ছিলেন। এবং উম্মুল মুমিনিন হযরত জয়নব বিনতে খুজাইমার সহোদর বৈপৈত্রিয় বোন ছিলেন। যিনি ইতিপূর্বে তিন হিজরী মৃত্যুবরণ করেন। তার পূর্বের দুই স্বামী মারা গেলে ভগ্নিপতি হযরত আব্বাস রাদিয়াল্লাহু রাসূল সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট তার বিবাহের প্রস্তাব দেন। ফলে সপ্তম হিজরিতে কাযা ওমরা পালন শেষে ফেরার সময় মক্কা থেকে ৬ কিলোমিটার উত্তরে তানইম নিকটবর্তী সারিফ নামক স্থানে উক্ত বিবাহ কাজ সম্পন্ন হয়। এই সময় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বয়স ছিল ৫৯ বছর এবং তার বয়স ছিল ৩৬ বছর। এটিই ছিল রাসুল পাকের সর্বশেষ বিবাহ। তিনি ৭৬ টি হাদিস বর্ণনা করেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url