১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর সপরিবারে হত্যার ইতিহাস -১৫ই আগস্ট কারা ঘটিয়েছিল
১৫ ই আগস্ট ১৯৭৫ সাল বাঙালী জাতির জীবনের এক অন্ধকার অধ্যায়। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট এর এই দিনে নৃশংসভাবে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সহ পরিবারে হত্যা করা হয়। সে হত্যাকাণ্ডে রক্ষা পায়নি শিশু রাসেল, শিশু বাবু, এমনকি অন্তঃসত্ত্বা নারী ও।
বাঙালি জাতির জীবনের এই কালো অধ্যায়ের কাহিনী এখনো অনেকের কাছে অজানা। আজকের ব্লগের মাধ্যমে ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার বিস্তারিত কাহিনী আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
আরোও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে সাধারণ জ্ঞান-বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ৮০টি কুইজ প্রশ্নের উত্তর
১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও স্ব-পরিবারে হত্যার লোহমর্ষক কাহিনী
১৯৭৫ সালের ১৪ই আগস্ট রাজধানী ঢাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছিল। পরের দিন অর্থাৎ ১৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যাবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে। সেটি নিয়ে নিরাপত্তা বাহিনী কর্মকর্তারা সতর্ক ছিল।
দিনশেষে রাত ঘনিয়ে আসার সাথে সাথেই সেনাবাহিনীর বিভিন্ন শকট যানগুলো একসাথ হতে লাগলো। রাত দশটায় বেঙ্গল ল্যান্সারের টি-৫৪ ট্যাংকগুলো জড় হতে লাগলো বিমানবন্দরের মাঠে । সাথে আরো যোগ হলো ১৮ টি কামান ও ২৮ টি ট্যাংক। রাত সাড়ে ১১ টায় জড় হলো মেজর ডালিম, মেজর নূর, মেজর হুদা, মেজর শাহরিয়ার, মেজর পাশা, মেজর রাশেদ সহ ঘাতকরা। মিটিং করা হয় ১৫ আগস্ট এর প্রথম প্রহরেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে হত্যার পরিকল্পনা।
মিটিং এর পরিকল্পনা অনুসারেই ভোর সোয়া পাঁচটা বাজে হঠাৎ চারদিকেৃ গুলির বুলেটের শব্দ। চারদিকে ছুটছে বুলেট আর বুলেট। ভোর ৫ঃ১০ মিনিটে হালদার মুসলিম উদ্দিন দুই ট্রাক সৈন্য নিয়ে উপস্থিত হয় ধানমন্ডি শেখ ফজলুল হক মণির বাসার গেটে। প্রতিদিনের মতো ঘুম থেকে জেগে উঠেছেন শেখ ফজলুল হক মনি। ড্রয়িং রুমে বসে পত্রিকা পড়েছিলেন।
খোলা দরজা দিয়ে স্ট্যান্ড ঢুকে পড়ে মুসলিম। কিছু বলতে চাইছিলেন শেখ মনি কিন্তু বলার সুযোগ না দিয়ে মুসলিমের হাতের গান বেজে উঠলো মণির বুকে। গুটিয়ে পড়লেন শেখ মনি । শেখ মনির চিৎকার শুনে এগিয়ে এলেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী, ব্রাশ ফায়ারে প্রাণ হারালেন তিনিও। ভাগ্যেক্রমে তখন বেঁচে যান শেখ মনির দুই ছেলে শেখ ফজলে শামস ফরস এবং শেখ ফজলে নূর তাপস।
ভোর ৫ঃ১৫ মিনিট। ধানমন্ডি আব্দুর রব সেরনিয়াবাত এর বাসা আক্রমণ করে এক প্লাটুন সৈন্য। পাহারারত পুলিশকে নিরস্ত্র করতে ছাড়া হয় গুলি। গুলির শব্দ জেগে ওঠেন আব্দুর রব সেরনিয়াবাত। সেরনিয়াবাত তড়িঘড়ি করে চেষ্টা করেন বঙ্গবন্ধুর বাসায় ফোন করতে হঠাৎ দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে পড়ে ঘাতকরা। ড্রয়িং রুমে দাড় করা হয় সবাইকে, তারপর নির্দয়ভাবে ব্রাশফায়ার করে হত্যা করা হয় আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, তার ১৪ বছর বয়সী মেয়ে বেবি, ১২ বছরের ছেলে আরিফ, ৪ বছরের নাতি বাবু (আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহর ছেলে), ভাতিজা সহিদ সেরনিয়াবাত, ভাগ্নে আব্দুল নাঈম খান রিন্ট, তিন মেহমান এবং চারজন কাজের লোককে। ভাগ্যক্রমে এখানেও বেঁচে যান সেরনিয়াবাতের বড় ছেলে হাসনাত।
এবার লক্ষ্য আসল ঠিকানায়। তখন ভোর সাড়ে পাঁচটা বাজে। পুরো অপারেশন শেষ করে ঘাতকরা ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ৬৭৭ নম্বর বাড়ির গেটে। ততক্ষণে আব্দুর রব সেরানিয়াবাত হত্যার খবর জেনে গেছেন বঙ্গবন্ধু ।
বঙ্গবন্ধুর বাসার বারান্দার মধ্যে ঘুমিয়ে ছিলেন তার দুই গৃহকর্মী মোঃ সেলিম ওরূপে আবদুল্লা এবং আব্দুর রহমান শেখ ওরূপে রমা। নীচতলায় ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সহকারি এ এফ এম মহিদুল ইসলাম। মইদুল কে উপর থেকে বঙ্গবন্ধু ফোন দিয়ে বলেন, সেরনিয়াবাতের বাসায় দুষ্কৃতিকারীর আক্রমণ হামলা করছে। তাড়াতাড়ি পুলিশকে ফোন দাও। সাথে সাথে মহিদুল পুলিশের কন্ট্রোল রুমে ফোন করে কিন্তু কোন শব্দ ফেলো না কন্ট্রোল রুম থেকে।
চারদিকে তখন গোলাগুলি শব্দ শুনে নিচে বারান্দায় এসে শেখ মুজিব দাঁড়ান। তখন ঘুম থেকে জেগে উঠেছেন বঙ্গবন্ধুর গৃহকর্মীরা। শেখ মুজিবের কথায় গৃহকর্মী রমা নিচে নেমে আসেন এবং দেখেন সেনাবাহিনী কিছু সদস্য গুলি করতে করতে বঙ্গবন্ধুর বাসার দিকে এগোচ্ছে । বঙ্গবন্ধু নীচ তলায় নামেন এবং রমা উপরে উঠে গেলো। দেখলেন বঙ্গবন্ধুর স্ত্রী বেগম মুজিব আতঙ্কিত অবস্থায় ছোটাছুটি করতেছেন। রমা এবার চলে যান তিনতলায়। ঘুম থেকে ডেকে তুলেন বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামাল ও তার স্ত্রী সুলতানা কামাল কে। ভয়াবহতার আওয়াজ শুনে দ্রুত জামা কাপড় পড়ে নিচতলায় নামেন শেখ কামাল।
শেখ কামালের সাথে সাথে নিচে নেমে আসেন তার স্ত্রীর সুলতানা কামাল। তিন তলা থেকে আবার দুতলায় নেমে আসেন গৃহকর্মী রমা। ঘুম থেকে ডেকে তুলেন শেখ জামাল ও তার স্ত্রীকেও । জামা কাপড় পড়ে শেখ জামাল এবং তার স্ত্রীও দোতলায় বেগম মুজিবের কক্ষে যান। বাইরে তখন প্রচন্ড গোলাগুলি চলতেছে। নিচতলার অভ্যর্থনা কক্ষে যান বঙ্গবন্ধু। তার সামনে বিভিন্ন জায়গায় ফোন করতে থাকেন মহিদুল । পুলিশ কন্ট্রোল রুম, গণভবন। এক পর্যায়ে মইদুলের কাছ থেকে ফোনটি নিয়ে বঙ্গবন্ধু বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিব কিন্তু আর এর বেশি কিছু বলতে পারলেন না জানালার কাচ ভেঙ্গেই গুলিগুলো এসে লাগে অফিসের দেওয়ালে।
এক টুকরো কাছের আঘাতে জখম হয় মহিদুলের ডান হাত। টেবিলের পাশে শুয়ে পড়েন বঙ্গবন্ধু। গৃহকর্মী আব্দুল কে দিয়ে বেগম মুজিব বঙ্গবন্ধুর চশমা ও পাঞ্জাবি নিচে পাঠিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর আবার উঠে দাঁড়ান বঙ্গবন্ধু। পাঞ্জাবির আর চশমা পড়ে নেন। অভ্যর্থনা কক্ষ থেকে বের হয়ে বারান্দায় এসে দাঁড়ান। পাহারায় থাকা সেনা ও পুলিশের সদস্যদের বলেন এতগুলি হচ্ছে তোমরা কি করছো ? এই একথা বলেই উপরে চলে যান বঙ্গবন্ধু।
বঙ্গবন্ধু উপরে উঠতেছেন আর নিচে নামলো শেখ কামাল। বারান্দায় দাঁড়িয়ে বলেন, আর্মি আর পুলিশ ভাইরা আপনারা আমার সঙ্গে আসেন। শেখ কামালের পেছনে গিয়ে দাঁড়ান মহিদুল ইসলাম ও পুলিশের ডিভিশনাল সুপারিনটেনডেন্ট ডিএসপি নুরুল ইসলাম খান। ঠিক তখনই সৈন্যদের নিয়ে বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে ঢুকে পড়েন মেজর নুর, মেজর মহিউদ্দিন এবং ক্যাপ্টেল বজলুল হুদা।
মইদুল ইসলাম কে টেনে ঘরের ভিতর নিয়ে যান নুরুল ইসলাম খান। বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা শেখ কামালের পায়ে গুলি করে বজলুল হুদা। লাফ দিয়ে ঘরের মধ্যে গিয়ে পড়েন শেখ কামাল। মহিতুলকে বলতে থাকেন আমি শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল। আপনি ওদেরকে বলেন। মইতুল ঘাতকদের বলেন, উনি শেখ মুজিবের ছেলে শেখ কামাল । আর তখনই শেখ বদরুল হুদার অস্ত্রে জাজালো হয়ে যায শেখ কামালের দেহ। প্রাণহারান তিনি। একটা গুলি এসে লাগে মহিদুলের হাঁটুতে আরেকটা নুরুল ইসলামের পায়ে। বাড়ির নিচতলায় তখন রক্তে ভাসছে। বন্ধ ঘরের ভেতরে ফোনে ব্যস্ত বঙ্গবন্ধু, ফোনে তার সামরিক সচিব কর্ণেল জামিল উদ্দিন কে বলেন জামিল তুমি তাড়াতাড়ি আসো।
আর্মির লোকেরা আমার বাসায় অ্যাটাক করছে। শফিউল্লাহ কে ফোর্স পাঠাতে বলো। তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল শফিউল্লাহকে নিজেও ফোন করেন বঙ্গবন্ধু। তাকে বলেন শফিউল্লাহ তোমার ফোর্স আমার বাড়ি এটাক করছে। কামালকে বোধহয় মেরে ফেলেছে। তুমি জলদি ফোর্স পাঠাও। ফোনের ওপাশ থেকে বলেন, আই এম ডুয়িং সামথিং ক্যান ইউ গেট আউট ?
বঙ্গবন্ধুর কথা শুনে বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত সামরিক সচিব কর্নেল জামিল উদ্দিন বঙ্গবন্ধুর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন। সঙ্গে ছিলেন নিজের গাড়ি চালক আইন উদ্দিন মোল্লা। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর বাসায় আসার পথে সুবাহান বাগ মসজিদের কাছে তাকে গুলি করা হত্যা করে ঘাতকরা। পালিয়ে কোনরকম বেঁচে যান ড্রাইভার আইনুদ্দিন।
তখন বঙ্গবন্ধুর বাড়ির সামনে দাঁড়ানো মহিদুল নুরুল ইসলাম আব্দুল মতিন ও পুলিশের বিশেষ শাখার কয়েকজন সদস্য।দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের ধারাবাহিকভাবে গুলি করতে করতে উপরে উঠে আসে ঘাতকরা। বাড়ির গৃহকর্মী আব্দুলকে শেখ জামালের বাথরুমে গুলি করে হত্যা করে। সময় তখন ভোর প্রায় ৫ঃ৫০ মিনিট। বঙ্গবন্ধুর ঘরে তিনি সহ বেগম মুজিব, শেখ জামাল, শেখ রাসেল, সুলতানা কামাল ও রুজি জামাল।
বঙ্গবন্ধুর রুমের দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে ঘাতকরা দরজা খুলে বারান্দায় বেরিয়ে আসতে বঙ্গবন্ধুকে ঘিরে ফেলেন। সিঁড়ি দিয়ে নিচে নামাতে নিয়ে আসেন। সিঁড়ির মুখে মেজর হুদাকে দেখে বঙ্গবন্ধু চিৎকার দিয়ে উঠে বলেন, তোরা কি চাস ? তোরা কি আমাকে মারতে চাস? মেজর হুদা বলেন, আমি আপনাকে নিয়ে যেতে এসেছি। বঙ্গবন্ধু বলেন তুই আমাকে মারতে চাস? আমার কামাল কোথায় ? তোরা কি আমার কামাল কে মেরে ফেলেছিস ? উত্তরে হুদা বলেন, স্যার! কামাল তার জায়গায় আছে।
আর আপনি তুই করে বলবেন না। আপনি বন্দি! চলুন। বঙ্গবন্ধুর গর্জে উঠলেন ু তোদের এত সাহস ? পাকিস্তান আর্মিরাও আমাকে মারতে পারেনি। আমি বাঙালি জাতিকে ভালোবাসি। বাঙালি আমাকে ভালবাসে । কেউ আমাকে মারতে পারবে না।সিড়ির মাঝামাঝি এসেই মেজর হুদা ও মেজর নুর ১৮টি গুলি করে বঙ্গবন্ধুর বুক জাজরা করে দেন। সাথে সাথেই বঙ্গবন্ধুর দেহটি ধপাস করে পড়ে যায় ফ্লোরে।
তার বুকের রক্তে ভেসে যায় পুরো সিঁড়ি। সিড়ি দিয়ে রক্ত স্রোত নিচে নামতে থাকে । কিছুক্ষণ পরেই দোতলায় উঠে আসে মেজর আজিজ, পাশা মুসলেউদ্দিন। সঙ্গে সৈন্যেরাও আছে। ধাক্কা দিয়ে দরজা খুললে সামনে এসে দাঁড়ান বেগম মুজিব। সবাইকে নিচে নেমে আসার নির্দেশ দেয় ঘাতকরা। নিচে নেমে আসেন শেখ নাসের।
সিঁড়িতে বঙ্গবন্ধুর লাশ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বেগম মুজিব। তিনি বলে ওঠেন, আমি যাব না আমাকে এখানে মেরে ফেলো। শেখ রাসেল, শেখ নাসের ও রমাকে নিয়ে নিচে নিয়ে যাওয়া হয়। আর ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তারপরে হত্যা করে বেগম মুজিবসহ শেখ জামাল, শেখ সুলতানা কামাল ও রুজি জামালকে।
বেগম মুজিবে মৃতদেহটি ঘরের দরজায় পড়ে থাকে। বাঁদিকে পড়ে থাকে শেখ জামালের দেহ, রুজি জামালের মুখে গুলি লাগে। আর রক্তক্ষরণের বিবর্ণ হয়ে যায় সুলতানা জামালের মুখ।
নিচে দাঁড়িয়ে আছে শেখ নাসের, শেখ রাসেল আর রমা। শেখ নাসের ঘাতকদের উদ্দেশ্য বলে, আমি তো রাজনীতি করি না । কোন রকম ব্যবসা বাণিজ্য করে খাই। আমাকে কেন মারবে ? অফিস সংলগ্ন বাথরুমে নিয়ে যাওয়া হয় তাকে। গুলি করা হয় সেখানে। অসহায় নাসিরের গুলিবিদ্ধ শরীর দেখে ভয়ে কাপতে থাকে ছিল ছোট্ট শিশু শেখ রাসেল। অসহায় শিশুটি প্রথমে রমাকে পরে মহিদুল ইসলামকে জড়িয়ে ধরে বলে ভাইয়া আমাকে মারবে না তো ? কোন জবাব নেই রমার মুখে।
মইদুল বলেন না ভাইয়া তোমাকে মারবে না । এ কথা শুনে শিশুটি তার মায়ের কাছে যেতে চায় কিন্তু তার মায়ের কাছে নয় তাকে গুলিবর্ষণ করা হয়। সাথে সাথেই কটোর থেকে চোখ বেরিয়ে এসে পড়ে রাসেলের এবং মাথার পেছনের অংশ থেতলে যায়।
ভাগ্যমতে,বঙ্গবন্ধুর বাড়িতে সেদিন তার দুই মেয়ে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা ছিলেন না বড় মেয়ে শেখ হাসিনা স্বামীর সঙ্গে ছিলেন জার্মানিতে তাদের সঙ্গে ছিলেন ছোটবোন শেখ রেহেনা ও তাই বেঁচে যান তারা।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url