পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়-ভালো ফলাফল করার টেকনিক

 পরীক্ষা আসলে মনের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে। খুব কম মানুষ খোজে পাওয়া যাবে, যারা ছাত্র জীবনে পরীক্ষাকে ভয় পায়নি। পরীক্ষা ছাড়া ছাত্র জীবন শুধুই আনন্দ আর সুখময়! 

পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়-ভালো ফলাফল করার টেকনিক

কথায় আছে, ছাত্র জীবন সুখের জীবন, যদি না থাকে এক্সামিনেশন। কলেজে যাওয়া, আড্ডাবাজি আর ঘুরাঘুরি সবারই খুব ভালো লাগে কিন্তু সব আনন্দের মাঝে শুধু পরীক্ষা এসে বাগড়া বাধায়। বন্ধত্বের মায়ায় পড়ে অনেকে তো চায় সারাজীবন ছাত্রঅবস্থায় কেটে দিতে। 

কিন্ত আবেগ দিয়ে তো আর জীবন চলে না। বাস্তবতা তো ভিন্ন! একটা সময় পড়ালেখা শেষ করে যেতে হবে কর্ম জীবনে, ছেড়ে দিতে হবে নবীনদের জন্য স্থান। তাই পরীক্ষা ছাড়া বিকল্প নেই জীবনে। এই পরীক্ষার ভয় দূর করার জন্য রয়েছে বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের দারুণ পরামর্শ। এসব দিকনির্দেশনা অনুসরণ করে নিয়মিত পড়াশুনা করলে পরীক্ষায় ভাল ফল আসবেই, সেই সাথে সমস্ত দুশ্চিন্তা মাথা থেকে পালাবে।

আরো পড়ুনঃ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্ম ও মৃত্যু-রবী ঠাকুরের সাহিত্যকর্ম

পোস্ট সূচিপত্র

  • ক্লাস লেকচার মনোযোগ দিয়ে অনুসরণ করা
  • পরিকল্পনা তৈরি করে পড়া
  • ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করা
  • পড়ার মাঝে বিরতি দেওয়া
  • বইয়ের বাহিরে নতুন কিছু শেখা
  • গ্রুপ ভিত্তিক স্টাডি করা
  • নিজেকে  যাচাই করা
  • শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্য চাওয়া
  • গল্পের মতো করে পড়া
  • রুটিন মাফিক পড়া
  • গুরুত্বপূর্ণ অংশে রঙিন কোডের ব্যবহার
  • সময় বের করে পড়া
  • বারবার পড়ার অভ্যাস তৈরি করা
  • গড়িমসি ও অলসতা না করা
  • না দেখে লেখার অভ্যাস করা
  • ভুল থেকে শেখা
  • বাসায় নোট তৈরী করে পড়া
  • মেমরি টেকনিক ব্যবহার করে পড়া
  • খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা

ক্লাস লেকচার ফলো করা

আমি ব্যক্তিগতভাবে ভালো রেজাল্ট করার উপায় গুলোর মধ্যে এটাকে প্রথমে রাখে কারন একজন স্টুডেন্ট ক্লাসের লেকচার বা ক্লাসের মনোযোগী বা নিয়মিত ক্লাস করা ছাড়া ভালো রেজাল্ট করা একদম অসম্ভব। ক্লাসে নিয়মিত উপস্থিত হতে হবে ও মনোযোগ দিয়ে লেকচার শুনতে হবে । কেননা পরীক্ষায় কি আসবে বা কি আসতে পারে তা নিয়ে শিক্ষকরা ক্লাসেই কিছু না কিছু ধারণা দিয়ে থাকেন । এছাড়া কঠিন বিষয়গুলো ক্লাসেই শিক্ষকের কাছ থেকে বুঝে নিলে তা অনেকদিন পর্যন্ত মনে থাকে । তাই নিয়মিত ক্লাস লেকচার ফলো করলে পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়া সহজ হয় ।

পরিকল্পনা তৈরি করা

যেকোনো কাজের সফলতা নির্ভর করে অনেকটা পরিকল্পনার উপরে। সুন্দর ও সাবলীল পরিকল্পনা সফলতার দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। আমাদের মধ্যে অনেককে দেখা যায়, পরীক্ষার সময় হাতে আছে এই কারণে পড়া জমিয়ে রাখে। অথচ পড়া জমিয়ে রাখাই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়ায়। একটা সময় পরে দেখা যায়, পরীক্ষা যত ঘনিয়ে আসে তত পড়ার চাপ বেড়ে যায়।

তখন কিভাবে কি করবে? কোনটা আগে পড়বে? কোনটা পরে পড়বে ? এ ভাবনা থেকে অস্থিরতা দেখা দেয়। ফলে তাহাহুড়া করে কেবল পড়ার জন্য পড়ার হয়। সময় করে বুঝে শুনে না পড়ার কারনে, পরীক্ষায় কোন কাজে আসে না। তাই নিজের পাঠ্যপুস্তক গুলো কে পরিকল্পন নিয়ে সাজাতে হবে। 

ছোট ছোট লক্ষ্য স্থির করা

পড়তে বসার আগে লক্ষ্য স্থির করা উচিত। যেটা খুবই কার্যকর। কোন কোন বিষয়ে কতটুকু পড়তে হবে এবং কোনটা কোন সময়ের মধ্যে শেষ করতে হবে। সে বিষয়ে নিজেকে লক্ষ্য স্থির করতে হবে। যেগুলো গুরুত্বপূর্ণ মনে হবে আগে সেগুলোকে প্রাধান্য দেওয়া উচিত। এতে বেশি স্বরণ থাকবে । তবে এমনভাবে পড়া নির্ধারণ করতে হবে যেন কোন বিষয় বাদ না যায়।

পড়ার মাঝে বিরতি দেওয়া

পড়ালেখা জিনিসটা আসলে সম্পূর্ণ কি মানসিক ব্যাপার। কোন কিছু করতে গেলে বা পড়তে গেলে আপনার যদি মন না বসে তাহলে সে পড়া শুধু পড়ে যাবেন কোন কাজে আসবে না। কোন কিছু মুখস্ত করবেন না, মুখস্থ কোন কিছু মনে থাকে না যদিও কিছু সময় মনে থাকে কিন্ত তা দীর্ঘ  হয় না। তাই যা পড়বেন মনোযোগ দিয়ে বুঝে শুনে পড়বেন এবং বিরতি দিয়ে পড়বেন। বিশেষ করে রাতে অনেক সময় আমাদের পড়তে পড়তে একঘেয়েমি বা অলসতা কাজ করে। আবার অনেকের ঘুম চলে আসে। এক্ষেত্রে একটু গান শুনতে পারেন কিংবা একটু হাঁটাচলা করে আসতে পারেন বাইরের থেকে। বাহিরের আলো বাতাস আপনার শরীরে লাগলে মস্তিষ্ক ভালো থাকবে পাশাপাশি হাওয়া বাতাস লাগলে শরীর চাঙ্গা হয়।

বইয়ের বাহিরে নতুন কিছু শেখা

আগেকার সময় বইয়ের মধ্যে যা সীমাবদ্ধ ছিল তাই পড়েত হতো। নতুন করে কোন কিছু জানা বা পড়ার সুযোগ ছিল না। কিন্ত বর্তমানে আধুনিক যুগে সব কিছু বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।  বইয়ের মধ্যে এখন নতুন নতুন তথ্য সংযোজন করা হচ্ছে যা অনেকটা শিক্ষার্থীর কাছে অজানা। ফলে নতুন নতুন তথ্য সম্পর্কে বিশদ জানার জন্য বিভিন্ন অনলাইন প্লাটফর্ম,  পিডিএফ ফাইল, ব্লগার সাইট থেকে আর্টিকেল ,এবং গুগল ও ইউটিউব থেকে সব তথ্য জানা যায়। 

ফলে জ্ঞানের পরিধি যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে তেমনি দক্ষতা ও বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সামগ্রিক বিষয় সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ শেখা যায়। বর্তমানে এক বিংশ শতাব্দীতে টেকনোলজির ব্যাপক সম্প্রসারণ ঘটেছে এই সম্প্রসারণের সাথে নিজেকে তাল মিলিয়ৈ চলতে হবে। সেজন্য নতুন নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।

গ্রুপ ভিত্তিক স্টাডি করা

গ্রুপ করে পড়া খুব ফলপ্রসূ একটি পন্থা। কোন একটি বিষয়ে বুঝতে সমস্যা হলে সহজে অন্যদের থেকে বুঝে নেওয়া যায়। তবে আবার গ্রুপে স্টাডির একটা সমস্যা রয়েছে। যেমন একজন যদি একটি বিষয় বা পড়া বুঝতে সমস্যা হয়, দেখা যায় তার মনে একটা প্রশ্ন জাগে যে, আমি এ জিনিসটা বুঝি নাই এখন অন্যদের সামনে সেটা উপস্থাপন করব কিভাবে? তারা কিছু মনে করবে না তো? বা তারা হাসাহাসি করবে না তো? যদি সফল হতে চান তাহলে এসব চিন্তাভাবনা আপনার মাথায় থেকে ঝেড়ে ফেলতে হবে কে কি মনে করবে সেটা বাদ দিয়ে না শিখলে যে আপনার ক্ষতি হবে সেটা মাথায় ঢুকান আবার অনেক সময় গ্রুপ স্টাডি আড্ডায় রূপ নেয়। কিন্ত প্রযুক্তির বদৌলতে এখন গ্রুপ স্টাডি করার জন্য দেখা করাটা খুব জরুরী না। বিভিন্ন অনলাইন অ্যাপের মাধ্যমেই সেটা করা যায়। আর, এর ফলে গ্রুপ স্টাডিটা আড্ডায় পরিণত হবার সম্ভাবনাও কমে যায় এবং সময় ও অর্থ হ্রাস পায়।

নিজেকে  যাচাই করা

সফল হওয়ার জন্য এবং যুদ্ধে অংশগ্রহন করার জন্য নিজেকে যাচাই করার বিকল্প নেই। পরীক্ষা আমাদের জন্য একটা যুদ্ধ ক্ষেত্র। পরীক্ষায় যে নির্দিষ্ট সময় থাকে আমাদের অনেকে সে সময়ের মধ্যে ফুল প্রশ্নের উত্তর কাভারেজ করতে পারিনা। এর প্রধান কারন নিজেকে যাচাই না করা। অথ্যাৎ পরীক্ষার আগে নিজের বাসায় বসে নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করে পরীক্ষা দেয়া উচিত।

এই সমস্যা সমাধানের জন্য, আমাদের নিজেদেরকে পরীক্ষার জন্য মানসিক ভাবে প্রস্তুত করতে হবে। আর এই প্রস্তুতি নেয়ার জন্য মডেল টেস্ট দেয়া, বিভিন্ন কুইজ দেয়ার কোন বিকল্প নেই। তাই, পরীক্ষায় ভালো ফল অর্জন করতে হলে, আমাদের নিজেদেরই নিজেদের পরীক্ষা করতে হবে।

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সাহায্য চাওয়া

আমরা একটা কাজ প্রায় ভুল করে থাকি। ক্লাসে কোন কিছু না বুঝলে, স্যার কে জিজ্ঞেস করি না। মনে করি যে, পরে বই দেখে বুঝে নিবো, স্যার যদি ধমক দেয়, সবাই বুঝছে আমি বুঝিনি জিজ্ঞেস করলে যদি লজ্জা পাই অথবা পাশের কোন বন্ধুকে জিজ্ঞেস করে বুঝে নিবো ইত্যাদি ইত্যাদি। আর আমরা প্রধান ভুল এখানেই করে থাকি। এই যে দ্বিধামূলক প্রশ্ন গুলো আমাদের মাথায় আসে, এটাই আমাদের ব্যার্থ তার মুল কারন। প্রকৃত পক্ষে যেটা হয়, বই দেখলেও আমাদের সঠিকভাবে বিষয়টা বোঝা হয় না। আর বন্ধু নিজে যত ভালোভাবেই বুঝে থাক না কেন, একজন শিক্ষক/ শিক্ষিকা যত যত্ন নিয়ে আমাদের পুরো বিষয়টা বুঝিয়ে দিতে পারবে না। 

তাই, ক্লাসে বা পরীক্ষার পরেও যদি কোন বিষয় পরিষ্কারভাবে না বুঝে থাকি, এমনকি যদি আমাদের পড়ার পরিকল্পনা নিয়েও কোন সাহায্য দরকার হয়ে থাকে, তাহলে শিক্ষক/ শিক্ষিকার কাছে যাওয়াটাই সবচেয়ে ভালো ফল বয়ে আনবে। এতে শিক্ষকরা বিরক্ত হয় না বরং খুশি হয়। 

গল্পের মতো করে পড়া

পড়াশোনা বিষয়টা আমাদের অনেকের কাছেই খুব বোরিং মনে হয়। চাইলে পড়ালেখাকে আমরা উপভোগ করতে পারি । কি ? অবাক হলে! গল্প পড়তে বা শুনতে কিন্তু সবাই পছন্দ করে। তাই, এই বোরিং সময়গুলোতে পড়াশোনাটা যদি আমরা গল্পের মতো বানিয়ে ফেলি, তাহলে কিন্তু একঘেয়েমি কাটানোটা খুব কষ্টকর থাকে না।

যেমন, আমাদের টেনে পড়তে হবে। ঠিক যেমন গল্পের বই পড়ি তেমন। এবং পড়ার সময় কতটুকু মুখস্থ হচ্ছে তা নিয়েও ভাবা যাবে না। ধরে নিতে হবে যে, আমরা গল্প পড়ছি।

আবার চ্যাপ্টারের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলোকে গল্পের কোন একটি চরিত্র বানিয়ে ফেলতে হবে। চ্যাপ্টারটা যত হাস্যকর আর আজগুবি শোনাবে, পড়া মনে রাখতে ততটাই সহজ হবে। নিজের শক্তিগুলো জানতে হবে এবং সেগুলোকে কাজে লাগাতে হবে!

রুটিন মাফিক পড়া

রুটিন তৈরি করার বিষয়ে আমরা সেই ছোটবেলা থেকেই জানি। কিন্তু আমাদের মধ্যে খুব শিক্ষার্থীই আছে, যারা আসলেই রুটিন তৈরি করে কিন্ত এক-দু’দিন পর তা আর ফলো করে না। এটা আমাদের মধ্যে এক বদঅভ্যাস।

কিন্তু ভালো রেজাল্ট করার জন্য পড়াশোনাটাকে একটা রুটিনের মধ্যে নিয়ে আসাটা খুবই জরুরী।  কোন বিষয় কোন দিন বা কোন সময় পড়বে তা রুটিনে উল্লেখ থাকা জরুরী। এভাবে পড়লে পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট আসবে , ইনশাল্লাহ।

গুরুত্বপূর্ণ অংশে রঙিন কোডের ব্যবহার

লেখা-পড়ার অন্যতম কার্যকর উপায় এটি। আগে বলছি পড়ার কাজটি চালিয়ে যেতে পরিকল্পনা প্রয়োজন। নোটের গুরুত্বপূর্ণ অংশগুলো রঙিন মার্কার দিয়ে চিহ্নিত করে রাখুন। ভিন্ন ধরনের অংশের জন্য বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করা বুদ্ধিমানের কাজ। যেমন- কুইজের অংশ গোলাপি, বিভিন্ন টেস্ট হালকা সবুজ, আন্ডার লাইনে অংশ হালকা নীল ইত্যাদি। এই কালার কোড সিস্টেম গুছিয়ে লেখা-পড়া চালিয়ে যাওয়ার কার্যকর একটি উপায়।

আরো পড়ুনঃ  বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ৮০টি সাধারণ জ্ঞানের প্রশ্ন ও উত্তর

সময় বের করুন

পরীক্ষার আগের রাতে সব পড়ে শেষ করা অসম্ভব। তাই বেশ কিছু দিন সময় বের করে রাখুন। অল্প সময়ের মধ্যে পড়ে পরীক্ষার ঝামেলা মেটানো যায়। কিন্তু সে পড়ায় শেখা হয় না। ফলে ভবিষ্যতে বিপদে পড়তে হবে। তাই বেশ কিছু দিন হাতে নিয়ে হালকা মেজাজে পড়লেও শিখতে পারবেন। এতে পরীক্ষা হয়ে আসবে আরো সহজ।

বারবার পড়ার অভ্যাস করুন

কয়েকবার করে দেখে নিন। এতে মাথায় বসে যাবে সবকিছু। নোটের বিশেষ পয়েন্টগুলোতে চোখ বুলিয়ে নিন। বারবার মুখস্থ করতে হবে না। হাইলাট করা অংশগুলোতেও চোখ দিন। একবার মুখস্থ করে কয়েকবার শুধু দেখলেই তা ঠোঁটস্থ হয়ে যাবে।

গড়িমসি ও অলসতা করবেন না

যা পড়তে হবেই তা পড়ছি পড়বো বলে ফেলে রাখবেন না। অন্তত পরীক্ষা এগিয়ে এলে এমনটি করার সুযোগ নেই। এ কাজটির জন্যই পরীক্ষার আগের রাতে মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কাজেই অল্প-বেশি পড়ার কাজ চালিয়ে যান। দেখবেন, পরীক্ষা আগ দিয়ে প্রায় সব প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছেন আপনি।

না দেখে লেখার অভ্যাস করা

আমরা যা পড়ি তা কখনোই পুরোপুরি মনে থাকে না । পরীক্ষার খাতায় হুবহু নির্ভুল লেখা তাই অনেক সময়ই সম্ভব হয়ে উঠে না । কিন্তু পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ার অন্যতম শর্ত হচ্ছে নির্ভুল লেখা । পরীক্ষায় নির্ভুল লেখার জন্য পড়ার পরে না দেখে লেখার অভ্যাস করলে ভালো ফল পাওয়া যায় । কোন কিছু পড়ার পর তা না দেখে লিখলে ভুল গুলো সহজেই ধরা যায় এবং পরবর্তীতে সেই ভুল হবার সম্ভাবনা কমে যায় ।

ভুল থেকে শেখা

ভুল করে শেখা জিনিস অনেকদিন মনে থাকে । এটা  তাই‘কোথায় ভুল হচ্ছে? কেন ভুল হচ্ছে? কী বুঝতে পারছিনা?’এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে বের করতে হবে । এগুলো সমাধান করলেই পরীক্ষায় ভালো করার হার অনেক গুণ বেড়ে যাবে ।

নোট তৈরী করা

পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করতে হলে নোট করে পড়তে হবে এতে করে পড়া ভাল ভাবে গুছিয়ে রাখা যায় এবং এট বেশ কার্যকর । ভাল নোট পাঠে মনোযোগ বাড়ায় এবং পাঠকে আকর্ষণীয় করে তুলে । তাছাড়া নোট করলে পরীক্ষার আগেই একবার বিষয়টি সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায় । এতে প্রস্তুতি নিতে বেশ সুবিধা হয় ।

মেমরি টেকনিক ব্যবহার করা

কিছু কিছু বিষয় থাকে যা মুখস্ত করতেই হয় না । আর মুখস্ত করলেও লাভ হবে না কারণ সেগুলো মুখস্ত থাকবে না সেগুলোর টেকনিকে মনে রাখতে হবে।সেক্ষেত্রে মেমরি টেকনিক ব্যবহার করা যেতে পারে । ছড়া দিয়ে অথবা বাস্তব জীবনের উদাহরণ দিয়ে পড়া মনে রাখা যায় । যেমন পর্যায় সারণীর 4A গ্রুপের মৌল গুলো হল C, Si, Ge, Sn, Pb । এগুলোকে এভাবে মনে রাখা যায় “ কাঁদলে (C) সাইকেল (Si) গেন্জি (Ge) স্যান্ডেল (Sn) পাবে (Pb)” । এক্ষেত্রে ছবি এবং ছকও অনেক কার্যকরী ।

খাতায় সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা

একজন ছাত্রের পরীক্ষার মূল্যায়ন করা হয় মূলত পরীক্ষার কাগজের মাধ্যমে। ক্লাসে ছাত্র যত ভালো হোক না কেন, যদি পরীক্ষা খাতায় তার প্রশ্নের উত্তরগুলো সঠিকভাবে লেখা না থাকে এবং যুক্তিযুক্ত ও যুক্তিসঙ্গতভাবে লেখা না থাকে তাহলে এমন স্টুডেন্ট ভালো রেজাল্ট পাওয়ার আশা রাখে না। একটা প্রবাদ আছে, প্রথমে দর্শনধারী পরে গুণবিচারী । পরীক্ষার খাতায় সুন্দর হাতের লেখা এবং গোছানো উপস্থাপন শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে, যা অধিক নম্বর পেতে সহায়ক । প্রস্তুতি অনেক ভালো হবার পরও যদি তা খাতায় ঠিকমত উপস্থাপন করা না হয় তবে সেই প্রস্তুতির কোন মূল্য নেই । পরীক্ষার হলে টাইম ম্যানেজমেন্ট করাও এজন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url