সিজারের পর করণীয়-সিজারের পরে মা ও শিশুর যত্ন
একজন নারী সন্তান জন্মদানের মাধ্যমে মাতৃত্বের পূর্ণতা পায়। সন্তান জন্মদানের পর একজন নারীর অনুভূতিটা একজন পুরুষের পক্ষে বোঝা সম্ভব না। গর্ভধারণের শুরু থেকে দীর্ঘ ৯ মাস একজন নারীর পেটে তিলে তিলে গড়ে ওঠা একটা শিশুর পরবর্তীতে প্রসব নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হয়। অনেক নারীর শারীরিক গঠন, রোগ প্রতিরোধ এবং শারীরিক বিভিন্ন সমস্যার কারণে নরমালে ডেলিভারি করা সম্ভব হয় না। এজন্য সিজার করাতে হয়।
বর্তমানে আমাদের দেশে সিজার এখন খুব পরিচিত একটা ডেলিভারি ব্যবস্থা। কিন্তু সিজার একটা নারীর জন্য কতটা ঝুঁকিপূর্ণ সে বিষয়ে আমরা অবগত নয়। ফলে সিজার পরবর্তী সময়ে শিশু ও মায়ের সঠিক যত্ন না নেওয়ার কারণে নানা জটিলতার সীকার হতে হয়। আজকের পোস্টে আমরা আলোচনা করব সিজার পরবর্তী সময়ে একজন মা ও শিশুর যত্ন কিভাবে নিতে হয়।
আরো পড়ুন: যে কারণে অনিয়মিত মাসিক হয়-অনিয়মিত মাসিকে করণীয়।
পোস্ট সূচিপত্র
- সিজার পরবর্তী সময় লক্ষণসমূহ
- যেভাবে কাটা স্থানের যত্ন নিবেন
- সিজারের পর শরীরে যে সকল ইনফেকশন এর লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
- সিজার স্থানটি দ্রুত শুকানোর জন্য পরামর্শ সমূহ
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে করণীয়
- সিজারের পর যে সকল কাজ করা যাবে না
- ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষণ সমূহ
- সিজারের পর কি কি খাবেন
সিজার পরবর্তী সময় লক্ষণ সমূহ
সিজার পরবর্তী সময় একজন নারী স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরতে সাধারণত দেড় থেকে তিন মাস সময় লাগে। তবে এই সময়টা সব নারীর জন্য এক হয় না। সুস্থ অনেকটা নিশ্চিত করে দ্রুত স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে সিজার পরবর্তী সময় মায়ের যত্ন, চেকআপ ইত্যাদি বিষয়ের উপর।
একজন নারীকে সিজারের পরবর্তী সময়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যাওয়ার আগে শরীরে কিছু লক্ষণ দেখা দিতে পারে, যেমন--
- হালকা পেট কামড়ানো, বিশেষ করে যখন শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ানো হয় সে সময়টা।
- যোনিপথ দিয়ে স্রাব বের হতে পারে। সমস্যাটা প্রায় এক থেকে দেড় মাস হয়ে থাকে। এছাড়া যোনিপথ দিয়ে অনেকটা সময় চাকা চাকা রক্ত যেতে পারে।। পাশাপাশি তলপেট কামড়াতে পারে।
- অপারেশনের স্থানটি ব্যথা হতে পারে অথবা অবস লাগতে পারে আবার অনেক সময় দুটি একসাথে অনুভূত হয়।
তবে সবচেয়ে বড় বিষয় যেটা সেটি হচ্ছে এসব নিয়ে দুশ্চিন্তা করার কিছুই নেই। সাধারণত সিজার হওয়া পরবর্তী সময়ে প্রতি টি নারীর এ সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে তীব্র পেট ব্যথা বেড়ে রক্তপাত ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিলে বিষয়টাকে স্বাভাবিকভাবে নেওয়া যাবে না। এ সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিতে হবে।
যেভাবে কাটা স্থানের যত্ন নিবেন
সিজার বিষয়টাকে খুব ছোট করে দেখার কিছু নেই। এটা একটা বড় অপারেশন। এই অপারেশনের পর সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে অনেকটা চ্যালেঞ্জ। আবার সিজারের সময় এখান থেকে ফিরে আসা একটা ভাগ্যের ব্যাপার। আমারা সাধারনত যে বিষয়টা করি সেটা হচ্ছে, সিজার পরবর্তী সময়ে আমরা বাচ্চার যত্ন এর প্রতি একটু খেয়াল বেশি রাখি। অথচ আমাদের উচিত বাচ্চা যত্নের পাশাপাশি বাচ্চার মায়ের অর্থাৎ যাকে সিজার করানো হয়েছে তারও যত্ন নিতে হবে। তাহলে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসতে অনেকটা সহজ হয়ে ওঠবে।
সিজার করার স্থানটিকে শুকানোর জন্য এবং সুস্থ সবলে ওঠার জন্য কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস শেয়ার করা হলো--
আপনি যেদিন হাসপাতাল থেকে রিলিজ হবেন। আসার সময় ডাক্তার-নার্স এনারা আপনাকে অবশ্যই কিভাবে যত্ন নিবেন সে সম্পর্কে উপদেশ দিবে। উপদেশগুলো অবশ্যই মান্য করার চেষ্টা করবেন। এক্ষেত্রে আপনি যেসব বিষয়গুলো মানতে পারেন, আপনি যেটি করবেন--
- অপারেশনের জায়গাটি সাবান বা পানি দিয়ে প্রতিদিন অন্তত একবার আলতো করে পরিষ্কার করবেন। বেশি জোরে জোরে ঘষামাজা করার দরকার নেই। পরিষ্কার করা শেষ হয়ে গেলে গামছা বা টিস্যু দিয়ে ভালোভাবে শুকিয়ে নিবেন।
- পোশাক পরিধানের ক্ষেত্রে মোটা পোশাক পরিধান করবেন না। ঢিলেঢালা ও আরমদায়ক পোশাক পরিধান বা ব্যবহার করাটাকে প্রাধান্য দিবেন।
- এমন পোশাক পরিধান করবেন না যেটা আপনার শরীরের সাথে একদম মিশে না যায়।
সিজার করার পর সাধারণত ৫ থেকে ৭ দিন পর সেলাই কাটা হয় । অথবা চিকিৎসক যে পরামর্শ দিবেন আপনার উচিত হবে হাসপাতালে গিয়ে সময় মতো সেলাই কাটিয়ে আসা।
সিজারের পর শরীরে যে সকল ইনফেকশনের লক্ষণ দেখা দিতে পারে
সিজারের পর যেভাবে বলা হয়েছে সেভাবে যত্ন নিবেন। অনেক সময় যত্নের গাফিলতির কারণে জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই সতর্ক থাকার বিকল্প কিছু নেই। তারপরও অনেক সময় কিছু কিছু ইনফেকশন এর লক্ষণ দেখা দেয় ।
চলুন দেখে নেওয়া যাক ইনফেকশনের লক্ষণ গুলো কি কি...
- সেলাইয়ের জায়গাটা অনেকটা লাল হয়ে যায়।
- ফুলে মোটা হয়ে যায়।
- প্রচুর ব্যাথা হয়।
- সেখান থেকে পুঁজ বা দুর্গন্ধযুক্ত তরল বের হয়।
এসবের পাশাপাশি জ্বর আসে। শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এই সকল লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন ।
সিজার স্থানটি দ্রুত শুকানোর জন্য কিছু পরামর্শ
সিজার পরবর্তী সময় কাটা বা ক্ষতস্থানটি দ্রুত শুকিয়ে গেলে ভালো। সেজন্য ডাক্তারের নিয়ম কানুন মানা ফরজ। অনেক সময় নারীদের নিজের অবহেলার কারণে ক্ষতস্থানটি বা কাটা স্থানটি শুকাতে সময় লাগে। চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আপনার কাটা স্থানটির যত্ন নিবেন যাতে দ্রুত শুকিযে যায়।
কাটা স্থানটিকে শুকনো রাখুন
যে কোন কাটার স্থান শুকনো রাখা উচিত। সেই হিসেবে সিজার যেহেতু একটি মোটামুটি বড় অপারেশন, সেক্ষেত্রে সিজারের জায়গাটি শুকনো রাখার বিকল্প নেই। শুকনো রাখলে ইনফেকশন ও ঘা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ফলের দ্রুত স্থানটি শুকিয়ে যাবে ।
পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নেওয়া
বিশ্রাম বা রেস্ট যেকোনো রোগ থেকে সুস্থ হওয়াতে অনেকটা এগিয়ে নেয়। একজন সিজার রোগীর ক্ষেত্রে ঘুম অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শুধু নবজাতকের যত্ন নিলেই হবে না এ সময়টা নিজের যত্ন ও বিশ্রাম এর প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। নবজাতকের দেখাশোনার পাশাপাশি বিশ্রাম নেওয়াটা যদিও কঠিন হয় কিন্তু যখন সুযোগ সুবিধা পাওয়া যাবে তখন একটু বিশ্রাম নিতে হবে। এক্ষেত্রে পরিবারের সদস্যদের সহযোগিতা একান্ত কাম্য। নবজাতকের পাশাপাশি নিজেকে সুস্থ হয়ে ফিরে আসার প্রতিও গুরুত্ব দিতে হবে।
নিজেকে ফিট রাখুন
আপনার শরীর সুস্থ থাকলে ও শরীরের রক্ত প্রবাহ ভালো থাকলে, কাটা স্থানে রক্ত বৃদ্ধি পেলে ক্ষত তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে। এজন্য নিজেকে ফিট রাখার চেষ্টা করতে হবে। এই সময়টাতে একদম বসে থাকা যাবে না। হালকা ঘরের কাজ করতে হবে। হালকা ব্যায়াম করতে হবে। তবে এ সময় কি কি ব্যায়াম করতে হয় ডাক্তার পরামর্শ নিয়ে সে গুলো জানতে হবে। তবে হ্যাঁ অবশ্যই ভারী কোন কাজ করা যাবে না। এবং নিজেকে কখনো ক্লান্ত করা যাবে না। যতটুকু শরীরে শক্তি থাকে ঐ সময়টা একটু হালকা কাজ করে থাকুন। বাকি সময় তখন বিশ্রাম নিন। প্রতিদিন সময় করে বিশেষ করে সকালবেলায় একটু হাঁটার অভ্যাস করুন।
পুষ্টিকর খাবার খাবেন
শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে চাইলে সুষম-পুষ্টিকর খাবার বেশি খেতে হবে। বিশেষ করে সিজারের পর বেশি বেশি আঁশযুক্ত খাবার, শাকসবজি ও ফলমূল খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সেই সাথে পরিমাণ মতো ডিম, দুধ, মাছ ও মুরগির মাংস খাবেন। এসব খাবার গুলো ডেলিভারির পরের তিন মাস চালিয়ে যাবেন। সর্বোপরি মাল্টিভিটামিন খেতে চাইলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে যেটি আপনার জন্য উপযুক্ত সেটি খাবেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে করনীয়
সিজার পরবর্তী সময়ে কোষ্ঠকাঠিন্য হলে মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। অপারেশনের পর কোষ্ঠকাঠিন্য এর কারণে পেটে চাপ হওয়ার কারণে কাটার স্থান শুকাতে সময় লাগতে পারে বেশি। তাই বেশি বেশি পানি পান করুন শাকসবজি খান।
ব্যথা দূরে কি করবেন
সাধারণত অপারেশনের জায়গায় কয়েক দিন ব্যথা থাকে। কারো কারো ক্ষেত্রে কয়েক সপ্তাহ ব্যথা থাকতে পারে। এক্ষেত্রে ব্যথানাশক ওষুধ খেতে হবে। ওষুধ হিসেবে প্যারাসিটামল অথবা আইবুপ্রোফেন জাতীয় ওষুধ বেছে নিতে পারেন।
এগুলা "ওভার দা কাউন্টার" ওষুধ। অভার দা কাউন্টার" ওষুধ গুলো যেকোনো ফার্মেসি থেকে কিনে খেতে পারেন। ডাক্তারের নির্দেশিকা অনুযায়ী খাবেন। তবে আপনার আগে কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।
যোনিপথে রক্তক্ষরণ
সিজার অপারেশনের পর যোনিপথ দিয়ে কিছুটা রক্ত যেতে পারে। এজন্য সেনেটারি ফ্যাট ব্যবহার করতে পারেন। তবে রক্তপাত বেড়ে গেলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। এ সময় ইনফেকশন থেকে রক্ষা পেতে কয়েক সপ্তাহ যোনিপথে টেম্পোনের মতো কিছু ব্যবহার করুন এবং অবশ্যই সহবাস থেকে বিরত থাকবেন।
সিজারের পর যে সকল কাজ করা যাবে না
- সাধারণত হাসপাতাল ছেড়ে যখন বাড়িতে যাবেন তখন আপনার সন্তানকে কোলে নিয়ে হাটাচলা করতে পারবেন। যদি আপনি নিজেকে এরকম সুস্থ মনে করেন। তবে ঝুঁকি নেওয়া যাবে না এ সময়। পরিবারে কিছু কিছু কাজ আছে যা আপনি দেড় থেকে দুই মাস বন্ধ রাখতে পারেন। এ সময়টা যে সকল কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে--
- স্বামী স্ত্রী সহবাস করা
- নবজাতকের চেয়েও ওজনে ভারে কিছু বহন করা
- ভারী ব্যায়াম করা
- গাড়ি চালানো ইত্যাদি
এ সকল কাজ যখন নিজেকে ফিট মনে করবেন তখন করতে পারেন। তবে এই সময়টা না করাই ভালো । এ সময়টাতে আবার একদম শুয়ে থাকবেন না। তাহলে রক্ত জমা হয়ে আবার অন্য বিপদ হতে পারে ।হাঁটাচলা করুন, হালকা ব্যায়াম করুন, হালকা কাজকর্ম করতে অভ্যাস করুন। তবে মনে রাখবেন পরিবারের কাউকে খুশি করতে গিয়ে অতিরিক্ত কাজ করে নিজের ক্ষতি করবেন না।
ঝুঁকিপূর্ণ লক্ষণ সমূহ
যে সকল লক্ষণ দেখা দিলে কোন রূপ দেরি না করে দ্রুত ডাক্তারের কাছে যেতে হবে। সে বিষয়গুলো হচ্ছে জ্বর
শরীর কাঁপুনি
অপারেশন জায়গায় ইনফেকশন। যেমন, জায়গাটা অনেক লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে যাওয়া, ব্যথা হওয়া, সেখান থেকে পুজ বা দুর্গন্ধযুক্ত তরল বের হওয়া।
- যোনিপথে ভারী রক্তক্ষরণ।
- তীব্র পেট ব্যথা।
- পায়ে ব্যথা হওয়া অথবা পা ফুলে যাওয়া
- শ্বাসকষ্ট হওয়া।।
- প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা জ্বালাপোড়া হওয়া
সিজারের পর ওপরের যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। এগুলো ইনফেকশন অথবা রক্ত জমাট বাঁধার লক্ষণ হতে পারে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব জটিলতার চিকিৎসা করা উচিত। সময়মতো সঠিক চিকিৎসা না করালে এসব জটিলতা থেকে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
সিজারের পর কী কী খাবেন।
সিজার অপারেশনের পর খাওয়া দাওয়ার তেমন কোনো ধরা বাধা নিয়ম নেই। তবে দ্রুত সেরে ওঠার জন্য এবং সুস্থ থাকার জন্য ভিটামিন সি ও প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। পাশাপাশি সুষম ও পুষ্টিকর খাদ্যের প্রতিও গুরুত্ব দিতে হবে। ভিটামিন সি যুক্ত খাবারের মধ্যে লেবু, পেয়ারা ও আমলকি খেতে পারেন এবং প্রোটিনযুক্ত খাবারের মধ্যে মাছ, ডিম ও ডালের মত প্রোটিন যুক্ত খাবার খেতে পারেন।
আবার কোষ্ঠকাঠিন্য ও সর্দি কাশির কারণে কাঁটা স্থান শুকাতে অনেকটা সময় লাগে। এজন্য নিয়মিত প্রচুর পানি ও আশযুক্ত খাবার। যেমন, শাক সবজি, ফল ও লাল চালের ভাত খেতে পারেন। আবার খেয়াল রাখবেন যেসব খাবারে এলার্জি হয় সেগুলো এড়িয়ে যাবেন ও যেসব খাবার হজম হতে বেশি সময় লাগে কিংবা পেটে গ্যাস্ট্রিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ঐ সকল খাবার থেকেও বিরত থাকবেন। কোমল পানীয় কার্বনেট ড্রিংক ও অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাবেন না।
আরো পড়ুন: পিরিয়ডে কোমর ব্যথা কেন হয়-পিরিয়ডের সময় কোমের ব্যথায় করণীয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url