নামাযের ওয়াজিব সমূহ-নামাযের ১৪টি ওয়াজিব জানুন

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম

নামাজ একটি ফরজ ইবাদত। নামাজ এর মধ্যে রয়েছে ফরজ, সুন্নত, ওয়াজিব ও নফল ইবাদত। এগুলোর মধ্যে কোন একটি ভুল হলে নামাজ সহিহ শুদ্ধভাবে আদায় হবে না।



নামাযের ওয়াজিব সমূহ-নামাযের ১৪টি ওয়াজিব জানুন

আজকের টপিকস এ আমরা আলোচনা করবো নামাজে ভুলবশত কোন ওয়াজিব ছুটে গেলে নামাজ হবে কিনা কিংবা তখন করনীয় কি? নামাযে  ভুলবশত ওয়াজিব ছুটে গেলে সাহু সিজদা দিতে হয়। তবে ইচ্ছাকৃত ওয়াজিব তরফ করলে নামাজ পুনরায় পড়তে হয়।

আরো পড়ুনঃ নামায মাকরূহ হওয়ার কারনসমূহ-নামায মাকরূহ হওয়ার ৫০টি কারন

চলুন আমরা জেনে নেই নামাজের ওয়াজিব সমূহ। তার আগে জেনে নেই সাহু সেজদা করার নিয়ম। আত্তাহিইয়াতু পড়ার পর ডান দিকে সালাম ফিরাবে তারপর দুটি সিজদা দেবেন, অতঃপর আত্তাহিয়াতু দরুদ শরীফ ও দোয়া মাসুরা পড়ে সালাম ফিরাবে। 

নামাজের ১৪ টি ওয়াজিব সম্পর্কে জানুন

১. আলহামদুলিল্লাহ সূরা সম্পূর্ণ পড়া।

২. সুরা ফাতিহার পর যে কোন একটি সূরা মিলানো। অথবা তিন আয়াত পড়া অথবা এক আয়াত তিন আয়াত সমপরিমাণ পড়া।

৩.  রুকুতে  দেরি করা ।

৪. রুকুতে সোজা হয়ে খাড়া হয়ে দেরি করা।

৫. দুই সিজদার মাঝখানে সোজা হয়ে বসে দেরি করা। 

৬. চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ হলে দুই রাকাত পর বৈঠক করা।

৭. চার রাকাত নামাযের দুই বৈঠকেই আত্তাহিয়াতু পড়া।

৮. ইমামের জন্য কেরাত আসতে এবং জোরে পড়া অর্থাৎ ফজর, মাগরিব ও এশার নামাযে কেরাত জোরে পড়া এবং জোহর ও আছর নামাযে কেরাত আসতে আসতে পড়া।

৯. বিতরের নামাজে দোয়ায়ে কুনুত পড়া ।

১০. ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার দুই রাকাত নামাজ পড়া ওয়াজিব।

১১. দুই ঈদের নামাজে ছয় ছয় তাকবীর বলা অর্থাৎ ঈদুল ফিতরের ও ঈদুল আযহা প্রথম রাকাতে ছানা পড়ার পর তিনবার তাকবীর বলা এবং দ্বিতীয় রাকাতে রুকুতে যাওয়ার পূর্বে তিনবার তাকবীর বলা ওয়াজিব।

১২. প্রত্যেক ফরজ নামাজের প্রথম দুই রাকাত এর সাথে অন্য একটি সূরা নির্ধারিত করা ।

১৩. প্রত্যেক রাকাতে ফরজ গুলির তারতীব ধারাবাহিকভাবে ঠিক রাখা

১৪. আসসালামু আলাইকুম বলে নামাজ শেষ করা।

নামাজের মধ্যে রয়েছে ফরজ, ওয়াজিব, নফল এবং সুন্নত সমূহ। ইচ্ছাকৃত হোক অথবা ভুলবশত হোক ফরজ ছুটে গেলে নামাজ নষ্ট হয়ে যায়। নতুন করে আবার নামাজ আদায় করতে হবে। আর ওয়াজিব ছুটে গেলে নামাজের সাহু সিজদা দিতে হবে। আর সুন্নত ছুটে গেলে প্রয়োজন নেই, নামাজ আদায় হয়ে যাবে।

আরো পড়ুনঃ নামায না পড়ার শাস্তি-বেনামাজির শাস্তি

আমরা যারা নামাজ পড়ি তারা বেশিরভাগ উপরে উল্লেখিত ওয়াজিব সমূহ মেনে চলি না। ইচ্ছে করে হোক কিংবা ভুলবশত হোক এগুলো আমরা করে থাকি। আবার অনেকে নামাজের নিয়ম কানুন সমূহ ঠিকমতো জানে না। ফলে নামাজের সময় দেখা যায় ঠিকমতো রুকু করেনা, রুকু হয়ে সোজা হয়ে দাঁড়ায় না, না দাঁড়িয়ে আবার কোনভাবে মাথাটা উঠিয়ে আবার সিজদা দিয়ে দেয়। 

ফলে আমাদের নামাজ পূর্ণাঙ্গ আদায় হয় না। আমাদের উচিত প্রত্যেক রুকুর পর তিন তাসবিহ পরিমাণ দাঁড়িয়ে থাকা এবং প্রথম সেজদার পর তিন তাসবিহ পরিমাণ বসে থাকা অথবা উভয় ক্ষেত্রের জন্য দোয়া আছে তা শিখে নেওয়া। দুই সিজদার মাঝখানে পড়তে হয় "আল্লাহুম্মাগ ফিরলি ওয়ারহামদি ওয়া আফোনি ওয়ার ঝুকনি" আমাদের প্রত্যেকের উচিত উপরোক্ত বিষয় সমূহ সঠিকভাবে মেনে চলা। আল্লাহ আমাদের কবুল করুক। আমিন।

আরো পড়ুনঃ  নামায ভঙ্গের কারন সমূহ-যেসব কারনে নামায ভেঙ্গে যায়।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url