প্রাকৃতিক উপায়ে উকুন দূর করুন- নিমপাতা ব্যবহারে উকুন দূর করুন
উকুনের সমস্যায় অনেকেই অস্থির হয়ে যান। চুল যাদের বড় তাদের এই সমস্যায় বেশি ভুগতে দেখা যায়। এছাড়া শিশুদেরও এ সমস্যা হতে পারে। একটি সহজ উপায়ে উকুন সমস্যা দূর করা যায়। তা তুলে ধরা হলো।
উকুন দূর করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানির মূল্যবান ওষুধ ও তেল শ্যাম্পু পাওয়া যায়। সেগুলোর মাঝে অনেক কিছুই ভালো কাজ করে কিন্তু এগুলোর ক্ষতিকর দিকও কম নয়।
কৃত্রিম রাসায়নিক উপাদানের কারণে উকুন দূর করতে গিয়ে চুল উঠিয়ে ফেলা কারোরই কাম্য নয়। এ কারণে আমরা অনেকেই প্রাকৃতিক উপায় এর সন্ধান করি যা ক্ষতি হয় না।
আজকে আমরা নিম পাতা কিভাবে ব্যবহার করে উকুন দূর করবেন, সে বিষয়ে টিপস দিব।
আরোও পড়ন : ফেলে না দিয়ে ব্যবহৃত টি ব্যাগের ১১টি ব্যবহার জানুন।
নিম পাতার ব্যবহার
১. নিমপাতা মিহি করে বেটে নিন।
২. পরিষ্কার চুলে একদম আগা গোড়া নিম পাতার পেস্ট মেখে নিন। মাথায় তালু সহ সমগ্র চুলে যেভাবে আমরা মেহেদি দিয়ে থাকি।
৩. এভাবে দুই থেকে তিন ঘণ্টা রাখুন। তারপর চুল ধুয়ে ভালো করে শ্যাম্পু করে নিন। শ্যাম্পু করার সময়ে বা করার পর উকুনাশক চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়াবেন। দেখবেন যে বড় বড় উকুনেরা মরে ঝরে যাচ্ছে।
৪. প্রত্যেক সপ্তাহে তিনবার করে এমন চালিয়ে যান টানা তিন সপ্তাহ।
৫. সবচাইতে ভালো হয় একদিন পরপর একদিন ব্যবহার করলে।
কয়েকটি নিয়ম মানুন
১. শুধু নিমপাতা মাখলেই হবে না মেনে চলতে হবে কয়েকটি নিয়ম। নিয়ম না মানলে নতুন করে উকুন আক্রমণ করবে।
২. একসাথে যারা থাকেন বা এক বিছানায় যারা ঘুমান, সকলেই একসাথে নিম পাতার পেস্ট ব্যবহার করবেন। কিংবা এক বাড়িতে যাদের যাদের মাথায় উকুন আছে সকল সকলেই একসাথে ব্যবহার করতে হবে।
৩. যেদিন নিম পাতা ব্যবহার করবেন, সেদিনই বিছানার চাদর ও বালিশের ঢাকনা বদলে নেবেন।
৪. ভেজা চুল বেঁধে রাখবেন না বা চুলে ময়লা জমিয়ে রাখবেন না।
৫. অন্যের তোয়ালে, ইত্যাদি ব্যবহার ত্যাগ করতে হবে।
৬. মাথায় উকুন আছে এমন কারো সাথে ঘনিষ্ঠভাবে বসা বা শুয়ে থাকবেন না এক বিছানা শেয়ার করবেন না।
আরোও পড়ন : আপনার প্রস্রাবের রং হলুদ নাকি অন্য কোন কালারের ? জেনে নিন,সুস্থ আছেন কিনা
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url