টাঙ্গাইল জেলার ইতিহাস-টাঙ্গাইল জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ ও ব্যক্তিবর্গ

বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তর হচ্ছে জেলা । সাধারণত কয়েকটি জেলা নিয়ে একটি বিভাগ গঠিত হয়। একই ভাবে কয়েকটি উপজেলা নিয়ে একটি জেলা গঠিত হয়। বাংলাদেশের ৮টি বিভাগ ও ৬৪ টি জেলা রয়েছে। বিভাগ গুলো হচ্ছে ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগ।
টাঙ্গাইল জেলার ইতিহাস-টাঙ্গাইল জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ ও ব্যক্তিবর্গ

আজকের টপিক্সজুড়ে থাকবে ঢাকা বিভাগের টাঙ্গাইল জেলার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য ও জেলা পরিচিতি, দর্শনীয় স্থান, উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রসিদ্ধ খাবার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা।

আপনার প্রিয় বা প্রয়োজনীয় জেলার তথ্য জানতে ”এখানে ক্লিক করুন”

আরও পড়ুনঃ সন্তান কে যে ভাবে মানুষ করবেন-শিশুদের সঠিকভাবে গড়ে তোলার কৌশল

 পোস্ট সূচিপত্র

টাঙ্গাইল জেলার ইতিহাস

টাঙ্গাইল জেলা বাংলাদেশের মধ্যঞ্চলের ও ঢাকা বিভাগের একটি জেলা ও প্রশাসনিক অঞ্চল। জনশ্রুৃুতিতে  রয়েছে, নীলকর টেংগু সাহেবের গল্প এবং এটিই সবচেয়ে বেশি প্রচলিত। বৃটিশ শাসনের প্রায় প্রারম্বে আকুরটাকুর ও শাহবালিয়া মৌজার মধ্যবর্তী এলাকায় টেংগু সাহেবের নীল চাষ ও নীলের কারখানা ছিল। পূর্বোক্ত দুই মৌজার সীমানা বরাবর তিনি উচু মেটোপথ বা আইল যাতায়াতের জন্য তৈরি করেছিলেন। কায়েকজন সাধারণ এই আইলকে টেংগু সাহেবের আইল বলে উল্লেখ করতো। সুতরাং, ধারণা করা হয় টাঙ্গাইল শব্দটি টেংগু সাহেবের আইল নামেরই অপভ্রংশ।

১৯৬৯ সালে টাঙ্গাইল মহকুমা তার ৯৭৫ বর্গ কিলোমিটার এবং ময়মনসিংহ সদর মহকুমা থেকে ২৪৩৯ বর্গকিমি জমি থেকে টাঙ্গাইল জেলা তৈরি করে। উপজেলার সংখ্যানুসারে টাঙ্গাইল বাংলাদেশের “এ” শ্রেনীভূ্ক্ত জেলা। টাঙ্গাইল জেলা আয়তনে ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বড় জেলা েএবং জনংখ্যার ভিত্তিতে ২য় সর্ববৃহৎ জেলা।

১৯৬৯ সাল পর্যন্ত টাঙ্গাইল জেলা ছিল ময়মনসিংহ জেলার অধীনে। ১৯৬৯ সালে টাঙ্গাইল মহকুমাকে জেলায় উন্নীত করা হয়। এটি একটি নদী বিধৌত কৃষিপ্রধান অঞ্চল। এই জেলা যমুনা নদীর তীরে অবস্থিত এবং এর মাঝ দিয়ে লৌহজং নদী প্রবাহমান। রাজধানী ঢাকা হতে টাঙ্গাইল জেলার দুরত্ব প্রায় ৮৪ কিলোমিটার।

টাঙ্গাইল জেলার প্রশাসনিক চিত্র

টাঙ্গাইল জেলার উত্তরে জামালপুর জেলা, দক্ষিনে ঢাকা ও মানিকগঞ্জ জেলা, পূর্বে ময়মনসিংহ জেলা ও গাজীপুর জেলা এবং পশ্চিমে সিরাগঞ্জ জেলা অবস্থিত। টাঙ্গাইল জেলার উপজেলা ১২টি, পৌরসভা ১১টি, ইউনিয়ন ১২০টি, গ্রাম ২৪৪৩টি এবং সংসদীয় আসন ৮টি। টাঙ্গাইল জেলার উপজেলা সমূহঃ-

  • টাঙ্গাইল সদর
  • মির্জাপুর
  • সখিপুর
  • ভূইয়াপুর
  • গোপালপুর
  • নগরপুর
  • মধুপুর
  • বাসাইল
  • ঘাটাইল
  • ধনবাড়ী
  • কালিহাতী
  • দেলদুয়ার

টাঙ্গাইলের বিখ্যাত ব্যাক্তিবর্গ

  • মজলুম জননেতা মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী।
  • এস এম নজরুল ইসলাম-ওয়ালটন ও মার্সেল কোম্পানীর প্রতিষ্ঠাতা।
  • সালেহ আহমদ তাকরীম= কুর আন প্রতিযোগিতা।, আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত শিশু হাফেজ।
  • ডি এ তায়েব- অভিনেতা।
  • অমিত হাসান=অভিনেতা
  • নবাব বাহাদুর সৈয়দ নওয়াব আলী চৌধুরী-ধনবাড়ীর নবাব ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা।প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খা-শিক্ষাবিদ, সমাজসেবী, রাজনীতিবিদ ও প্রখ্যাত সাহিত্যিক।
  • শামসুল হক-বাংলাদেশের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পদাক।বিচারপতি আবু সাঈদ চৌধুরী-বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি
  • রফিক আজাদ-কবি,মুক্তিযোদ্ধা,সম্পাদক।
  • বঙ্গবীর আব্দুল কাদের সিদ্দীকী-রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠক ।
  • মামুনুর রশীদ-নাট্যকার,অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক।
  • মান্না-ঢালিউড চলচ্চিত্রের মেগাস্টার। 
  • জনপ্রিয় অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক।আফরান নিশো-জনপ্রিয় নাট্যকার অভিনেতা।
  • তারানা হালিম-সাবেক মন্ত্রী।
  • শহীদু্জ্জামান সেলিম-অভিনেতা

টাঙ্গাইল জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ

  • পানির ট্যাংক বদ্যভূমি
  • মাওলানা আব্দুল খান ভাসানীর মাজার শরীফ
  • আটিয়া মসজিদ
  • বঙ্গবন্ধ সেতু
  • পাকুটিয়া জমিদার বাড়ী
  • গোপালপুর 201 গম্বুজ বিশিষ্ট্য মসজিদ
  • রসূলপুর জাতীয় উদ্যান
  • দোখলা রেস্ট হাউজ
  • পীরগাছা রাবার বাগান
  • কাকরাইল বীজ উৎপাদন খামার
  • ধনবাড়ী নওয়াব বাড়ী
  • দেলদুয়ার জমিদার বাড়ী
  • নাগরপুর জমিদার বাড়ী
  • ভারতেশ্বরী হোমস
  • মহেড়া জমিদার বাড়ী
  • হেমনগর জমিদার বাড়ী
  • এসপি পার্ক
  • নথখোলা স্মৃতিসৌধ
  • বিন্দুবাসিনী বিদ্যালয়
  • ঐতিহ্যবাহী পোড়াবাড়ি
  • কাদিম হামজানি মসজিদ
  • যমুনা রিসোর্ট
  • তেবাড়িয়া জামে মসজিদ
  • গয়হাটার মঠ
  • মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ
  • গুপ্ত বৃন্ধাবন 
  • বনগ্রামের গনকবর
  • উপেন্দ্র সরোবর
  • এলেঙ্গা রিসোর্ট
  • মধুপুর জাতীয় ্উদ্যান
  • আদম কাশ্মিরীর মাজার
  • পরীর দালান
  • সাদরদীঘি

টাঙ্গাইল জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার

টাঙ্গাইলের নাম শুনলে চমচম মিষ্টির নাম মুখে দিয়ে চলে আসে। চমচম মিষ্টি টাঙ্গাইল জেলার অন্যতম একটি ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্য প্রায় দু”শ বছরের পুরনো।যশোরথ হালই নামে একজন কারিগরই এই  চমচমের সৃষ্টা। পোড়াবাড়ি হলো গ্রামের নাম। টাঙ্গাইল শহর থেকে মাত্র ৬ কিলো দূরের পথ পোড়াবাড়ি। কিন্ত পোড়াবাড়িতে চমচমের এখন আর সেই জৌলুস নেই। পোড়াবাড়ি এখন একটি ছোট বাজার মাত্র।  ২/১ টি চমচমের দোকন থাকলেও সেগুলোর অবস্থা ভালো না।

টা্ঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম বলতে এখন যা খাই আমরা তা মূলত টাঙ্গাইল শহরের পাচআনী বাজারের । টাঙ্গাইল জেলা শহরের পাচআনী বাজার এখন চমচমের জন্য বিখ্যাত । এই বাজারে প্রায় ৩৯/৩৫টি দোকান রয়েছে । চমচমের। তবে সবচেয়ে পুরনো আর বালোমোনের পুরনো আর প্রসিদ্ধ নাম জয়াকিল ও গোপাল মিষ্টান্ন ভান্ডার। 

আরও পড়ুনঃ ভাজাপোড়া তেল খাবার নিয়ম-যেভাবে রান্না করে তেল খাবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url