ফ্রীল্যান্সিং কি ? কিভাবে শুরু করবেন ? এক ক্লিকে বিস্তারিত জানুন

যুব সমাজের কাছে বর্তমানে সবচেয়ে একটি প্রিয় শব্দ হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। বর্তমানে যুবসমাজরা ঘরে বসে অনলাইন ইনকামের বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছে। ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করে পদ্ধতি হচ্ছে ফ্রিল্যান্সিং। তবে ফ্রিল্যান্সিং এর বিভিন্ন ধাপ রয়েছে। প্রতিবছর ফ্রিল্যান্সিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার লোকদের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ফ্রীল্যান্সিং কি  কিভাবে শুরু করবেন  এক ক্লিকে বিস্তারিত জানুন

ফ্রিল্যান্সিং করাটা সবার মধ্যে একটা কৌতূহল কাজ করে। সত্যি কথা বলতে কি ঘরে বসে ইনকাম করার প্রক্রিয়াটা সবাই জানতে চায় এবং সবাই করতে চায়। কিন্তু অনেকে বুঝে উঠতে পারে না কিভাবে শুরু করবে ।

কি কি লাগবে বা মূলত ফ্রিল্যান্সিং মানেটা কি ? আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব, ফ্রিল্যান্সিং কি? ফ্রিল্যান্সিং করতে আপনার কি কি প্রয়োজন বা আপনি কেমন ইনকাম করতে পারবেন বা আপনার এই ফিনান্সিংয়ের জগৎ এর ভবিষ্যৎটা কেমন। 

আরো পড়ুন: ফেসবুক ভিডিও ডাউনলোড করার নিয়ম -Facebook Reels Videos ডাউনলোড করার নিয়ম 

পোস্ট সূচিপত্র 

ফ্রিল্যান্সিং কি ?

ফ্রিল্যান্সিং বা মুক্ত পেশা হল এমন কোন কাজ যা আপনি কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠানের জন্য অর্থের বিনিময়ে আপনার ইচ্ছামত সময় ঘরে বসে করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং বলতে মূলত ঘরে বসে অনলাইনে কাজ করাকে বুঝায়। আপনি অনলাইনের যেসব কাজে দক্ষ, সেসব কাজ অনলাইনে করে দিয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন। এককথায়, আপনার অনলাইন কাজের দক্ষতা অনলাইনে বিক্রি করে টাকা আয় করাকে ফ্রিল্যান্সিং বলে।

যদি এক কথায় ফ্রিল্যান্সিং কি ? প্রশ্ন উত্তর টা আপনি জানতে চান, তাহলে সহজ উত্তর হচ্ছে ঘরে বসে অনলাইনে ইনকাম করা। আর যদি আপনি আরো কিছু বিশদভাবে জানতে চান তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এর আরো কিছু মানে রয়েছে। যেমন

  • ঘরে বসে স্বাধীনভাবে কাজ করা।
  • মুক্তভাবে কাজ করা
  • কোন অফিসের প্রয়োজন পড়ে না
  • কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আপনাকে একটা কাজ দিলো। আর আপনি ঘরে বসে সে কাজটি সম্পূর্ণ করে করে আপনার ক্লায়েন্ট বা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বুঝিয়ে দিলেন।

তবে এসব কাজ করা একেবারেই যে সহজ তা কিন্তু নয় । এসব কাজ করতে হলে আপনাকে অনলাইনে যথেষ্ট দক্ষ হতে হবে। ইন্টারনেট, কম্পিউটার ইত্যাদি সম্পর্কে আপনার যথেষ্ট দক্ষতা থাকতে হবে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যারা দক্ষ ফ্রিল্যান্সারদের খোঁজে। 

দক্ষ ফ্রিল্যান্সার দ্বারা তারা অফিসের বিভিন্ন কাজ অর্ডার দিয়ে সম্পূর্ণ করে থাকে। আর একজন ফ্রিল্যান্সার এসব কাজ সম্পন্ন করার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে নিজের সুন্দর একটা ক্যারিয়ার গঠন করতে পারে। পাশাপাশি অনেক বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন করতে পারে।

কিভাবে কাজ করবেন বা কোথায় কাজ করবেন

ফ্রিল্যান্সার'রা সাধারণত বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ পেয়ে থাকে। শুধু মার্কেটপ্লেস এ নয় মার্কেটপ্লেস এর বাইরেও বিভিন্ন কোম্পানির ওয়েবসাইট থেকে কাজ পেয়ে থাকে। মার্কেটপ্লেসের কাজের জন্য আবেদন করতে হবে অথবা কাজের দক্ষতা অনুযায়ী পোর্টফোলিও সাজিয়ে রাখতে হবে। মার্কেটপ্লেসে আবার দুই ধরনের মানুষ থাকে। এক, যারা কাজ করবে বা স্কিল বিক্রি করবে । দুই, যারা আপনাকে কাজ দিবে বা আপনার স্কিল কিনে নিবে।

মার্কেটপ্লেস এর বাইরে ফ্রিল্যান্সারগন নিজেদের পোর্টফলিও ওয়েবসাইট তৈরি করে রাখে এবং যারা কাজ নিবে বা কাজের অর্ডার দিবে তারা এখান থেকে ফ্রিল্যান্সারদের খুঁজে বের করে। বিভিন্ন সোশ্যাল সাইট যেমন facebook ,Linkdin, Pinterest, Instagram, Reddit ইত্যাদি। বিভিন্ন ওয়েবসাইটে তারা প্রোফাইল তৈরি করে রাখে এবং যারা কাজ দেয় তাদের সাথে যোগাযোগ করে। যারা কাজের অর্ডার দিবে তারা ফ্রিল্যান্সারের প্রোফাইল ভিজিট করে কাজ দেওয়ার জন্য। 

যারা কাজের অর্ডার দেয় তাদেরকে বলা হয় ক্লাইন্ট। মার্কেটপ্লেসে যখন একজন ক্লায়েন্ট কোন কাজের অর্ডার আপনাকে দিবে তখন তার সাথে কাজের ব্যাপারে বিস্তারিত কথা বলে এবং কত টাকার বিনিময়ে আপনি কাজ করতে চান তা ক্লিয়ার করে নিবেন। মার্কেটপ্লেসে কাজের অর্ডার কনফার্ম হওয়ার পরে মার্কেটপ্লেসে আপনার নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা হয়ে যাবে এবং যখন আপনি কাজ সম্পন্ন করে জমা দিবেন তখন আপনি সম্পূর্ণ টাকা বুঝে পাবেন।

মার্কেটপ্লেসের বাইরে কাজ করতে গেলে অনেক সময় দেখা যায় আপনি এমন ক্লায়েন্ট পাবেন যে আপনার কাজ জমা দেয়ার পর সে আপনাকে টাকা দিতে চাচ্ছে না। যদিও এটা খুব কম ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এখানে আপনি কোন অভিযোগ করার সুযোগ পাবেন না। তাই ফ্রিল্যান্সাররা মার্কেটপ্লেসেই বেশি কাজ করে থাকে। 

মার্কেটপ্লেস এ কাজ করলে আপনার পেমেন্ট থেকে কিছু অংশ তারা কেটে নিবে। মার্কেটপ্লেস এর বাইরে যখন আপনি কাজ করবেন তখন কেটে নেওয়ার কোন সুযোগ থাকবে না। এজন্য মার্কেটপ্লেস এর বাইরে অনেক বেশি টাকা ইনকাম করা যায়। সবচেয়ে আসল কথা হচ্ছে আপনার দক্ষতা অবশ্যই থাকা লাগবে, যার কাজে দক্ষতা যত বেশি তার ইনকামও তত বেশি।

ফ্রিল্যান্সিং কখন শুরু করা ভালো

ছাত্র অবস্থায় অনলাইনে ইনকাম করার ফ্রিল্যান্সিং খুব একটা ভালো উপায়। বর্তমান ছাত্রসমাজ তাই ফ্রিল্যান্সিং এর পিছে দৌড়াচ্ছে। কারণ দেখা যাচ্ছে তাদের পড়াশোনার খরচ পরিবার থেকে খুব একটা নিতে হয় না। আমাদের দেশে প্রচুর শিক্ষিত বেকার রয়েছে। 

এক গবেষণা দেখা গেছে , বাংলাদেশের শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৬০ লাখ এবং প্রতি ১০ জনের মধ্যে একজন বেকার। অথচ ফ্রিল্যান্সিং করে কিন্তু এখন ভালো ইনকাম করতে পারে। অনলাইনে ইনকাম করার বা অনলাইনে যারা কাজ করে বা অনলাইন কর্মীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছে ভারত। এর পরে অবস্থান বাংলাদেশের। অনলাইনে যারা কাজ করে ভারতের তারা অধিকাংশ ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে কাজ করে থাকে।

বাংলাদেশের যারা অনলাইনে কাজ করে থাকে তাদের বেশিরভাগ সেলস এন্ড মার্কেটিং নিয়ে কাজ করে থাকে। বাংলাদেশের বর্তমানে ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে প্রায় ৬ লাখ ৫০০০০ প্লাস এবং দিন দিন তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে তুলনায় দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরি হচ্ছেনা। 

এখানে অনেক প্রতিযোগিতা রয়েছে। আপনাকে এ প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে আপনাকে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে । এর বিকল্প কিছুই নেই। তাই হুটহাট করে, টাকার লোভে এই পেশায় আসবেন না। আপনাকে কাজ শিখে দক্ষ হয়ে এখানে আসুন। ইনশাল্লাহ ভালো ইনকাম করতে পারবেন।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজসমূহ

আমি আগেই বলেছি ফ্রিল্যান্সিং এর অনেকগুলো ধাপ রয়েছে এবং কাজের ক্ষেত্রে অনেকগুলো রয়েছে। আপনি কোন কাজে পারদর্শী বা আপনি কোন কাজ করে দক্ষ সহজে হতে পারবেন। আপনি সেই কাজ শিখুন। আপনি নিজে ভালো জানেন আপনাকে দিয়ে কোন কাজ হবে। তো কে কত টাকা ইনকাম করল সেগুলো বিবেচনা না করে নিজেকে ঐভাবে তৈরি করুন। চলুন দেখি কি কি কাজ করা যায় অনলাইনে।

  • ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ওয়েব ডিজাইন
  • গ্রাফিক ডিজাইন ওয়েব ডিজাইন
  • কনটেন্ট রাইটিং 
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন 
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ইত্যাদি

আমি ইতিমধ্যে আলোচনা করেছি যা আপনার অবগত আছেন যে, বাংলাদেশের বেশিরভাগ মানুষ সেলস এন্ড মার্কেটিং ডিপার্টমেন্ট এ কাজ করে থাকে। সেলস এন্ড মার্কেটিং মানেই সেটা অনলাইনে সোসাল মিডিয়া মার্কেটিং বা ডিজিটাল মার্কেটিং বলা হয়। যেমন ইমেইল মার্কেটিং,এফিলিয়েট মার্কেটিং, ইউটিউব মার্কেটিং, ফেসবুক ফেসবুক মার্কেটিং ইত্যাদি।

ফ্রীল্যান্সিং করতে আপনার যা যা প্রয়োজন

  • নিজস্ব ল্যাপটপ বা ডেস্কটপ এবং সাথে ইন্টারনেট কানেকশন অবশ্যই লাগবে।
  • একটি অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন 
  • মিনিমাম ইংলিশ কমিউনিকেশন ল্যাঙ্গুয়েজ স্কিল নিজস্ব ওয়েবসাইট সোশ্যাল মিডিয়া একটিভিটি

ফ্রিল্যান্সার হতে হলে যা যা করণীয়

আমি আগেই বলেছি ফ্রিল্যান্সিং এর অনেক ধাপ রয়েছে। এখন আপনি কোন বিষয়ে করবেন ভাবছেন সে বিষয়টি ঠিক করুন। টাকার লোভে অথবা কারো প্ররোচনায় ঠিক করবেন না আপনার মেধা এবং স্কিল এর উপর নির্ভর করেই বিষয়টি নির্ধারণ করুন। ভালো কোন সুনামধন্য প্রতিষ্ঠান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হয়ে এ জগতে আসুন। মার্কেটপ্লেসে আসার পর অন্যান্য ফ্রিল্যান্সারদের কাজের ধরন গুলো ফলো করুন। মিনিমাম ইংরেজি শেখার কারণ এটাই আপনার ক্লায়েন্টের সাথে আপনাকে ইংরেজিতে চ্যাট করতে হবে। 

অনেক সময় ক্লায়েন্ট অনেক প্রশ্ন করবে আপনাকে সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ইংরেজিতে। আবার অনেক সময় দেখা যায় অনলাইনে আপনাকে ভিডিও কলে কথা বলতে হবে ক্লায়েন্টের সাথে।  এক্ষেত্রে অবশ্যই ইংরেজি জানা জরুরী। তাই প্রতিনিয়ত ইংরেজি শেখার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে ইংরেজির প্রাথমিক ধারণা অবশ্যই নিতে হবে। 

বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং শেখার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এসবের মধ্যে অনেকে আবার ধোঁকাবাজি করে, তারা নিজেরাই কিছুই জানে না, আপনাকে কি শেখাবে। তাই সাবধান! যাচাই-বাছাই করে ভালো প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করুন। ইউটিউব বা গুগল থেকে ও অনেক ধারনা পেতে পারেন । সবকিছু মিলিয়ে ভালো স্কিল গড়ে তুলুন । আমি আবারো বলছি এ প্রতিযোগিতায় আপনাকে টিকে থাকতে হলে দক্ষতা, দক্ষতা, দক্ষতার বিকল্প কিছুই নেই।

ফ্রিল্যান্সার হতে কতদিন লাগে

এটি একটি কমন প্রশ্ন ? বিশেষ করে যারা নতুন ফ্রিল্যান্সার হতে যায় তারাই প্রশ্নটি বেশি করে থাকে। কারণ তারা ইনকাম এর উদ্দেশ্যেই আসে। তো ফ্রিল্যান্সার শিখতে কতদিন লাগে এটা আসলে নির্ভর করে আপনার দক্ষতার উপর । কাজের ধরনের উপর। যেমন আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং শিখেন, তার জন্য যে সময় লাগবে আর আপনি যদি ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট শিখেন তার জন্য তো একই সময় লাগবে না। বিষয়টি আপনাকে বুঝতে হবে।

এ দুটি বিষয় বিস্তার পার্থক্য রয়েছে। তবে সহজে বলতে গেলে, মিনিমাম ৬ মাস লাগতে পারে যেকোনো বিষয় নিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে গেলে। বাকিটা নির্ভর করে আপনার মেধা, বুদ্ধি, জ্ঞান ও দক্ষতার উপর। ফ্রিল্যান্সিং আসলে শেখার কোন সময় নেই। সারাজীবন শিখলেও শেষ হবে না। আপনি এ জগতে আসার পর বা আসার আগে শুনবেন মাসে লাখ টাকা ইনকাম করার গল্প। এসব শুনে আপনার বিন্দুমাত্র বিচলিত হওয়া যাবে না। আপনি শুধু ইনকামের গল্পটা শুনছেন, এই ইনকামের পিছনে তার প্রচুর সময়, শ্রম ও অর্থ গেছে ।

একটি বিষয় সবচেয়ে জরুরী, সেটি হচ্ছে এ জগতে আপনি যে বিষয়টি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে ধৈর্য। আপনি যদি ভালো দক্ষতা অর্জন করতে পারেন এবং ধৈর্য ধরে টিকে থাকতে পারেন। তাহলে ফ্রিল্যান্সিং জগতে আপনার ভবিষ্যত অনেক উজ্জ্বল। এই সেক্টর থেকে আপনি লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন । তবে এই জন্য আপনাকে দুটি পথ অবশ্যই অবশ্যই অবলম্বন করতে হবে । আপনাকে দক্ষতা অর্জন করতে হবে, এবং প্রচুর, প্রচুর ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হবে। পরিশেষে উপরে বিষয়টি যথার্থ মূল্যায়ন করে আপনি এগিয়ে যাবেন এবং আপনি সফল হবেন এই কামনাই করি । ইনশাআল্লাহ

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url