বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তর হচ্ছে জেলা। সাধারণত কয়েকটি উপজেলা নিয়ে জেলা গঠিত হয়। আবার কয়েকটি জেলা নিয়ে একটি বিভাগ গঠিত হয়। বাংলাদেশে বিভাগ রয়েছে ৮টি। বিভাগ গুলো হচ্ছে ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগ। চলুন দেখি কোন কোন বিভাগে কোন কোন জেলা রয়েছে।ঢাকা বিভাগ (১৩টি জেলাঃ-- নরসিংদী, গাজীপুর, শরীয়তপুর, মাদারীপুর, নারায়নগঞ্জ, টাঙ্গাইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ফরিদপুর, রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ ও ঢাকা জেলা অবস্থিত।
চট্রগ্রাম বিভাগ (১১টি জেলাঃ}-
চট্রগ্রাম,
ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মনবাড়িয়া,
নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাদপুর,
রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি,
কক্সবাজার ও
বান্দরবান জেলা।
ময়মনসিংহ বিভাগ (৪টিঃ- ময়মনসিংহ, জামালপুর,
নেত্রকোণা ও
শেরপুর জেলা অবস্থিত।
রংপুর বিভাগ (৮টি জেলাঃ-রংপুর, দিনাজপুর, নীলফামারি, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, ঠাকুরগাও, পঞ্চগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলা অবস্থিত।
বরিশাল বিভাগ (৬টি জেলাঃ-বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর জেলা অবস্থিত।
খুলনা বিভাগ (১০টি জেলাঃ-খুলনা, যশোর, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কষ্টিয়া, মাগুরা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, সাতক্ষীরা ও নড়াইল জেলা অবস্থিত।
রাজশাহী বিভাগ (৮টি জেলাঃ-সিরাজগঞ্জ, পাবনা, রাজশাহী, নাটোর, নওগা, জয়পুরহাট, চাপাইনবাবগঞ্জ ও বগুড়া জেলা অবস্থিত।
আজকের টপিক্স জুড়ে থাকবে চট্রগ্রাম বিভাগের চাদপুর জেলার গুরুত্বপুর্ণ তথ্য ও জেলা পরিচিতি, দর্শনীয় স্থান, উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিবর্গ ও প্রসিদ্ধ খাবার সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ।
আরও পড়ুনঃ এক নজরে কক্সবাজার জেলার পরিচিতি, দর্শনীয় স্থান ও উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিবর্গ।
পোস্ট সূচিপত্র
নোয়াখালী জেলা
নোয়াখালী জেলা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অবস্থিত চট্টগ্রাম বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল। এর পূর্ব নাম ছিল ভুলুয়া। রাজধানী ঢাকা থেকে এ জেলার দূরত্ব পায় ১৮০ কিলোমিটার। এ জেলার উত্তরে কুমিল্লা জেলা ও চাঁদপুর জেলা, দক্ষিণে মেঘনা নদী ও বঙ্গোপসাগর, পূর্বে চট্টগ্রাম জেলা ও ফেনী জেলা, পশ্চিমে লক্ষ্মীপুর জেলা ও ভোলা জেলা। বর্তমান নোয়াখালী জেলা আগে ফেনী, লক্ষীপুর এবং নোয়াখালী জেলা নিয়ে একটি বৃহত্তর অঞ্চল ছিল।
তা এখনও বৃহত্তর নোয়াখালী নামে পরিচিত। নোয়াখালী জেলার মর্যাদা পায় ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক । জেলা প্রশাসন প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা সময় থেকে জেলা প্রবর্তনের পূর্বে বর্তমান কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, লক্ষীপুর ও চাঁদপুরের সমন্বয়ে গঠিত জনপদের অংশ ছিল। নোয়াখালী সদর থানার আদি নাম সুধারাম। ১৯৮৪ সালে সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক সকল জেলা রূপান্তর করা হলে লক্ষীপুর ও ফেনী জেলা আলাদা হয়ে যায় শুধুমাত্র নোয়াখালী একক জেলা হিসাবে থাকে।
আপনার পছন্দের জেলার তথ্য জানতে উপরে ”সার্চ করুন আপনার প্রয়োজনীয় তথ্য” বক্সের মধ্যে জেলার নাম লিখে আপনার ডিভাইসের অকে বাটনে ক্লিক করুন।
নোয়াখালী জেলার প্রশাসনিক চিত্রসমূহ
নোয়াখালী জেলা ৯টি উপজেলা নিয়ে, ১০টি থানা নিয়ে, ৮টি পৌরসভা, ৯৩টি ইউনিয়ন নিয়ে,৮৮২টি মৌজা নিয়ে, ৯৬৭টি গ্রাম ও ৬টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত। নোয়াখালী জেলার উপজেলা গুলো হচ্ছে-
নোয়াখালী জেলার উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিবর্গ
- শহীদ বীর শ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহল আমিন।
- ওবায়দুল কাদের, সংসদ সদস্য,মাননীয় মন্ত্রী, সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।
- এ.এন.এম মুনীর চৌধুরী, শহীদ বুদ্ধিজীবী।
- হাবিবুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের প্রথম বুদ্ধিজীবী।
- চিত্তরঞ্জন দাস, বাংলা একাডেমীর বই মেলার উদ্যেক্তা।
- আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল, গীতিকার,সুরকার,সংগীত পরিচালক,গায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা।
- শিরীন শারমিন চৌধুরী, দেশের প্রথম নারী স্পিকার, রাজনীতিবিদ।
- মোতাহের হোসেন চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ও লেখক।
- কাজী গোলাম রসুল, বঙ্গবন্ধ হত্যা মামলার বিচারক।
- আবুল কালাম আজাদ, বীর বিক্রম।
নোয়াখালী জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ
- নোয়াখালী কেন্দ্রিয় শহীদ মিনার
- বীরশ্রেষ্ঠ রুহুল আমিন গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর
- নোয়াখালী ড্রিম ওয়ার্ল্ড পার্ক
নোয়াখালির বিখ্যাত খাবার
দেশের অন্যান্য জেলার মতো নোয়াখালীরও কিছু ঐতিহ্যবাহী খাবার রয়েছে। যার মধ্যে মরিচ খোলা অন্যতম। নোয়াখালীর মানুষ আতিথেয়তায় অতুলনীয়। মরিচ খোলা তাদের অতিথি অপ্যায়নের অন্যতম একটি জনপ্রিয় রেসিপি।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url