এক নজরে শিশুদের পাইলস রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

আমরা অনেকে ভাবি পাইলস কেবল বয়স্ক মানুষের হয়। কিন্ত আমাদের এ ধারণা সম্পূর্ণ ভূল।  শিশুদেরও পাইলস হতে পারে। পাইলস বলতে বোঝায় মলদ্বারে ফুলে ওঠা মাংসপিণ্ড বা গেজ।  অসংখ্য মিউকাস ঝিল্লির তলায় ফুলে ওঠার কারণে মাংসপিণ্ড ফুলে ওঠে এবং কখনো কখনো রক্ত যায়।

এক নজরে শিশুদের পাইলস রোগের কারণ, লক্ষণ ও চিকিৎসা

অভ্যন্তরীণ পাইলসে মাংসপিণ্ড না থাকলেও প্রচুর রক্ত যেতে পারে। অনেক বড় গেজ আছে কিন্তু রক্ত নাও যেতে পারে । এ রক্ত যাওয়ার আবার তারতম্য আছে।

আরও পড়ুনঃ প্রাপ্ত বয়স্কদের পাইলস রোগের লক্ষন, কারণ ও চিকিৎসা।

শিশুর পাইলস রোগের কারণ ও লক্ষণ

  • সাধারণত কয়েকদিন থেকে কয়েক মাস পর পর মলদ্বার দিয়ে রক্ত যায়। শিশুদের পাইলস হলে বড়দের চেয়েও বেশি রক্ত যায় । অভিভাবকরা শিশুদের যে পাইলস সমস্যা অর্থাৎ টয়লেটে রক্ত গেলে চিকিৎসকের কাছে আসেন তাদের বেশিরভাগই পাইলস নয়।
  • শিশুদের টয়লেটে রক্ত যাওয়ার প্রধান কারণ রেকটাল পলিপ। এটি এক ধরনের আঙ্গুর ফলের মত টিউমার যা ক্যান্সার নয়। এগুলো এক বা একাধিক হতে পারে এবং এরূপ শত শত পলিপ থাকতে পারে, যা থেকে সাধারণত রক্ত ও মিউকাস বা আম যায়।
  • রোগীর অভিভাবকরা মনে করেন যে, এটি রক্ত আমাশয় এবং ওষুধ দিয়ে ভালো করা যাবে। রেকটাল পলিপ রোগের চিকিৎসা হচ্ছে, এটি কে কেটে ফেলে দেওয়া । রোগীকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে এটি করতে হয়।

শিশুর পাইলস রোগের চিকিৎসা

  • রেকটাল পলিপ অপারেশনের জন্য শিশুকে কয়েক ঘন্টা হাসপাতালে রাখলেই চলে। রোগীর পেট খালি করার জন্য আগের দিন কিছু ওষুধ দেওয়া হয়, যাতে পায়খানা ক্লিয়ার হয়। খুব সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খালি পেটে অপারেশন করাই ভালো। এজন্য রোগীকে ঘুমপাড়ার ইনজেকশন দিতে হয়। একটি বিশেষ ধরনের যন্ত্রের সাহায্যে টিউমার বা পলিপ কেটে আনা হয়।
  • এ অপারেশনে মলদ্বারে কোন কাটা ছেঁড়া করা হয় না। তাই অপারেশনের পর ব্যথা হয় না। অপারেশনের  ২ বা ৩ ঘণ্টা পর রোগী স্বাভাবিক খাবার খেতে পারবে ও বাসায় চলে যেতে পারে।
  • শি শুদের মলদ্বারে অন্য একটি সমস্যা হয়। এতে পায়খানা শক্ত হলে মলদ্বার ফেটে যায় এবং ব্যথা হয়। কিছুটা রক্ত যেতে পারে। কিছুদিন পর মলদ্বারে একটি  গেজ দেখা যায়। শিশু ব্যথার কারণে টয়লেটে ভয় পায়।  এই রোগটির নাম এনাল ফিশার।
  • এক্ষেত্রে চিকিৎসক মল নরম করার জন্য ঔষধ দেন। পানি, সবজি ও সালাত খেলে উপকার পাওয়া যায়। পায়ু পথে মলম লাগানো যেতে পারে।
  • চুলকানি হলে কৃমির ওষুধ দিতে হবে। জন্মের পর পরে যেকোনো সময় রোগ হতে পারে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url