সিলেট জেলা ইতিহাস-সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থান ও তথ্যসমূহ।
ময়মনসিংহ বিভাগ (৪টিঃ- ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা ও শেরপুর জেলা অবস্থিত।
পোস্ট সূচিপত্র
- সিলেট জেলা পরিচিতি
- সিলেট জেলার প্রশাসনিক চিত্র
- সিলেট জেলার উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিবর্গ
- সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ
- সিলেট জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার
সিলেট জেলা পরিচিতি
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল হচ্ছে সিলেট জেলা। এটি সিলেট বিভাগের অধিক্ষেত্রভুক্ত একটি জেলা। উপজেলার সংখ্যানুসারে সিলেট বাংলাদেশের “এ” শ্রেনীভু্ক্ত জেলা। সিলেট বাংলাদেশ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে অবস্থিত একটি প্রাচীন জনপদ। বনজ, খনিজ ও মৎস্য সম্পদে ভরপুর এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যমন্ডিত এ জেলা দেশের আধ্যাত্বিক রাজধানী ও বিশ্বের দ্বিতীয় লন্ডন হিসেবে খ্যাত। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর সিলেট জেলার বিপুল সংখ্যক লোক পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অভিবাসন গ্রহন করেছে। তারা প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা প্রেরণ করে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখে। সিলেটের পাথর, বালির গুনগতমান দেশের মধ্যে শ্রেষ্ঠ।
সিলেট জেলার প্রাকৃতিক গ্যাসের মজুদ রয়েছে যা সারা দেশের সিংহভাগ চাহিদা পূরন করে থাকে। সিলেট জেলার প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা হলো সিলেট শহর। সিলেট পৌরসভার সৃষ্টি ১৮৯৭ সালে। ১৮৯৭ সালের ১২ জুন এক মারাত্মক ভূমিকম্পে গোটা সিলেট শহরটি প্রায় সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করে ফেলে। ১৭৮২ সালের ৩ জানুয়ারী সিলেট জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৮৭৪ সাল পর্যন্ত সিলেট জেলা ছিল চট্রগ্রাম বিভাগের অর্ন্তভু্ক্ত। ১৯৪৭ সালের আগ পর্যন্ত সিলেট আসামের অংশ ছিল।
১৯৪৭ সালে ভারত বিভক্তির সময় সিলেট জেলাকে পূর্ব পাকিস্তানের অন্তর্ভু্ক্ত করা হয়। ১৯৮৩-৮৪ সালে প্রশাসনিক পুনর্গঠন এর সময় বৃহত্তর সিলেট জেলাকে চারটি নতুন জেলায় বিভক্ত করা হয়। সিলেট জেলার উত্তরে ভারতে মেঘালয় ও খাসিয়-জৈন্তিয়া পাহাড়, পূর্বে ভারতের আসাম, দক্ষিনে মৌলভীবাজার জেলা ও পশ্চিমে সুনামগঞ্জ জেলা ও হবিগঞ্জ জেলা্।রাজধানী ঢাকা থেকে সিলেট জেলার দুরত্ব ২৭৮ কিলোমিটার।
সিলেট জেলার প্রশাসনিক চিত্র
সিলেট জেলা ২৭ ওয়ার্ড বিশিষ্ট ১টি সিটি কর্পোরেশন, ১৩টি উপজেলা, ১৭টি থানা, ৫টি পৌরসভা, ১০৬টি ইউনিয়ন, ১৬৯৩টি মৌজা, ৩৪৯৭টি গ্রাম ও ৬টি সংসদীয় আসন রয়েছে। উপজেলাগুলো হচ্ছে--
- সিলেট সদর
- ওসমানীনগর
- কানাইঘাট
- কোম্পানীগঞ্জ
- গোয়াইনঘাট
- জকিগঞ্জ
- জৈন্তাপুর
- দক্ষিন সুরমা
- ফেঞ্চুগঞ্জ
- বালাগঞ্জ
- বিশ্বনাথ
- বিয়ানীবাজার
সিলেট জেলার বিখ্যাত ব্যাক্তিবর্গ
- হযরত শাহজালাল রঃ ইয়ামনী, ইসলাম প্রচারক।
- হযরত শাহপরান রঃ , ইসলাম প্রচারক।
- মাওলানা আতহার আলী, রাজনীতিবিদ ও ইসলাম ব্যাক্তত্ব
- আল্লামা নুরউদ্দিন গহরপুরী, ধর্মীয় সাধক।
- মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য, বৈষ্ণব ধর্মের প্রবর্তক।
- জেনারেল এম এ জি ওসমানী, মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক।
- কাকন বিবি,নারী মুক্তিযোদ্ধা ও গুপ্তচর।
- মেজর জেনারেল সি আর দত্ত, মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার।
- সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ, বিখ্যাত ভাস্কর।
- দেওয়ান নুরুল আানোয়ার হোসেন চৌধুরী. সাবেক মহাপরিচালক, ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
- চৌধুরী এ টি এম মাসুদ, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
- মোহাম্মদ জয়নুল বারী, দুদুকের সাবেক মহাপরিচালক।
- চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, র্যাব এর মহাপরিচালক।
- ইজাজ আহমেদ চৌধুরী, বাংলাদেশ রাইফেলস এর সাবেক মহাপরিচালক।
- আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাবেক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
- শফিকুল ইসলাম হীরা, সাবেক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
- রাজিন সালেহ, সাবেক ক্রিকেটার ও অধিনায়ক, বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
- রাণী হামিদ, বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ নারী দাবাড়ু।
- সৈয়দ এ বি মাহমুদ হোসেন, বাংলাদেশের দ্বিতীয় প্রধান বিচারপতি।
- সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, সাবেক প্রধান বিচারপতি।
- নামজুন আরা সুলতানা, বাংলাদেশের প্রথম নারী বিচারপতি।
- সৈয়দ জে আর মোদাচ্চির হোসেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি।
- এম সাইফুর রহমান, সাবেক অর্থমন্ত্রী।
- আবুল কালাম আব্দুল মোমেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
- এম এ মান্নান, পরিকল্পনামন্ত্রী।
- নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী।
- সুরন্জিত সেন গুপ্ত, বাংলাদেশর প্রথম রেলমন্ত্রী্।
- আবুল মাল আব্দুল মুহিত, সাবেক অর্থমন্ত্রী।
- ইকবাল হোসেন চৌধুরী, সাবেক খাদ্যমন্ত্রী।
- বদর উদ্দিন আহমেদ কামরান, সিলেটের মেয়র, আওয়ামীলীগ সদস্য।
- শাহাব উদ্দিন, বন ও পরিবেশমন্ত্রী।
- ইলিয়াস হোসেন, রাজনীতিবিদ।
সিলেট জেলার দর্শনীয় স্থান।
- হযরত শাহপরান্ রঃ এর মাজার
- হযরত শাপজালাল রঃ এর মাজার
- এডভেঞ্জার ওয়ার্ল্ড
- জাকারিয়া সিটি
- জাফলং
- পানথুমাই
- ফেঞ্চুগঞ্জ সার কারখানা
- বিছনাকান্দি
- ভোলাগঞ্জ সাদা পাথর
- মালনি ছড়া চা বাগান
- রাতারগুল
- লাক্কাতুরা চা বাগান
- লালাখাল
- হাকালুকি হাওর
সিলেট জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার
বাংলাদেশের এক এক অঞ্চল ভেদে একেক রকম জনপ্রিয় খাবার রয়েছে। তেমনি সিলেট জেলাও রয়েছে তাদের জনপ্রিয় ও ঐতিহ্যবাহী খাবার। ঐতিহ্যবাহী খাবারের তালিকায় রয়েছে সাতকরা দিয়ে তৈরি মাংস, চুঙ্গাপিঠা, হিদলের শিরা ও ভর্তা, আখনী, সাত রঙ চা ইত্যাদি।
আরও পড়ুনঃ দুশ্চিন্তা ও ঋন থেকে মুক্তির উপায়-ইসলামে বিপদের সময় করণীয়
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url