নারায়ণগঞ্জ জেলার ইতিহাস-নারায়ণগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান ও ব্যাক্তিবর্গ
বাংলাদেশের প্রশাসনিক ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ একটি স্তর হচ্ছে জেলা। সাধারণত কয়েকটি উপজেলা নিয়ে জেলা গঠিত হয়। আবার কয়েকটি জেলা নিয়ে একটি বিভাগ গঠিত হয়। বাংলাদেশে বিভাগ রয়েছে ৮টি। বিভাগ গুলো হচ্ছে ঢাকা, চট্রগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, রংপুর, বরিশাল, খুলনা ও ময়মনসিংহ বিভাগ। চলুন দেখি কোন কোন বিভাগে কোন কোন জেলা রয়েছে।
ময়মনসিংহ বিভাগ (৪টিঃ- ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা ও শেরপুর জেলা অবস্থিত।
আজকের টপিক্স জুড়ে থাকবে ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলার গুরুত্বপুর্ণ তথ্য ও জেলা পরিচিতি, দর্শনীয় স্থান, উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিবর্গ ও প্রসিদ্ধ খাবার সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা ।
আরও পড়ুনঃ এক নজরে কুমিল্লা জেলার পরিচিতি, দর্শনীয় স্থান ও উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিবর্গ।
পোস্ট সূচিপত্র
- নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিচিতি
- নারায়ণগঞ্জ জেলার প্রশাসনিক চিত্র
- নারায়ণগঞ্জ জেলার উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিবর্গ
- নারায়ণগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ
- নারায়ণগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার
নারায়নগঞ্জ জেলা পরিচিতি
নারায়নগঞ্জ জেলা বাংলাদেশের মধ্যঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি জেলা। অত্যান্ত প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ শহর সোনারগাও এ জেলায় অবস্থিত। প্রাচ্যের ডান্ডি নামে খ্যাত নারায়নগঞ্জ জেলা সোনালী আশের জন্য বিখ্যাত। নারয়ানগঞ্জ জেলাটি শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে অবস্থিত। নারয়নগঞ্জ জেলার নদী বন্দরটি অত্যান্ত প্রাচীন একটি নদী বন্দর।
১৭৬৬ সালে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতা বিকন লাল পান্ডে , যিনি বেণুর ঠাকুর বা লক্ষী নারায়ণ ঠাকুর নামে অধিক পরিচিত ছিলেন। শীতলক্ষা নদীর তীরে অবস্থিত মার্কেট কে তিনি দেবোত্তর সম্পত্তি হিসেবে ঘোষণা করেন। তাই পরবর্তীকালে এ স্থানের নাম হয় নারায়নগঞ্জ । নারায়ণগঞ্জ জেলা নামকরণের পূর্বে সোনারগাও ছিল প্রাচীন বাংলার রাজধানী। মুসলিম আমলের সোনারগাও নামের উদ্ভব প্রাচীন সুবর্ণগ্রামকে কেন্দ্র করেই।
নারয়নগঞ্জ জেলা রাজধানী ঢাকা থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। রাজধানী ঢাকার সাথে এ জেলার সীমানা রয়েছে। এ জেলার উত্তরে নরসিংদী জেলা,গাজীপুর জেলা এবং দক্ষিণে মুন্সিগঞ্জ জেলা, পূর্বে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা ও কুমিল্লা জেলা, পশ্চিমে ঢাকা জেলা ।
নারয়নগঞ্জ জেলার প্রশাসনিক চিত্র সমুহ
২৯২ বর্গমাইল এলাকা নিয়ে ১৯৮৪ সালের ১৫ই ফ্রেবুয়ারী নারয়নগঞ্জ জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয় । ২০১১ সালে ৫ই মে ২৭টি ওয়ার্ড নিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন গঠন করা হয়। দেশের প্রথম নারী মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী নারয়নগঞ্জ মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। বর্তমানেও তিনি ৩য় বারের মতো সিটি মেয়র হিসেবে আছেন। নারয়নগঞ্জ জেলার উপজেলা ৫টি, থানা ৭টি, পৌরসভা ২টি, ইউনিয়ন ৪৭টি, মৌজা ৮৪৫টি, গ্রাম ১৩৭৯টি। উপজেলা গুলো হচ্ছে-
- সোনারগাও উপজেলা
- বন্দর উপজেলা
- আড়াইহাজার উপজেলা
- রুপগগঞ্জ উপজেলা
- নারায়নগঞ্জ সদর উপজেলা
নারয়নগঞ্জ জেলার থানা সমূহ
- সোনারগাও থানা
- বন্দর থানা
- সিদ্ধিরগঞ্জ থানা
- রুপগঞ্জ থানা
- আড়াইহাজার থানা
- ফতুল্লা থানা
- নারয়নগঞ্জ সদর থানা
নারয়নগঞ্জ জেলার উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিবর্গ
- জ্যোতি বসু- সাবেক মূখ্যমন্ত্রী, পশ্চিমবঙ্গ সরকার, ভারত।
- আতাহার আলী খান-ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার।
- খান সাহেব ওসমান আলী-ভাষা সৈনিক রাষ্ট্রীয় পদক প্রাপ্ত
- এ কে এম শামসুজ্জোহা-ভাষা সৈনিক ও মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রীয় পদক প্রাপ্ত মরনোত্তর।সাবেক এমপি।
- সেলিনা হায়াত আইভী- সিটি মেয়র
- পারভীন সুলতানা দিতি-অভিনেত্রী।
- ব্ল্যাক আনোয়ার-অভিনেতা।
- মোস্তাফা সারওয়ার-ভাষা সৈনিক ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে ঢাকায় আনার অন্যতম উদ্যেক্তা।
- কে এম শফিউল্লাহ-মুক্তিযুদ্ধের ৩ নং সেক্টর কমান্ডার।
নারয়নগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ
- কদম রসুল দরগাহ (বন্দর)
- জ্যোতি বসুর বাড়ি (সোনারগাও)
- লাঙ্গলবন্দ (বন্দর)
- আদমজী জুট মিল
- ঐতিহ্যবাহী পানাম নগর
- সাতগ্রাম জমিদার বাড়ি
- বাংলার তাজমহল
- গিয়াস উদ্দিন আজম শাহের সমাধি
- হাজী বাবা সালেহ মাজার
- গোয়ালদী গায়েবী মসজিদ
- হাজীগঞ্জ দুর্গ
- সোনাকান্দা দূর্গ
- সূবর্ণ গ্রাম পার্ক ও রিসোর্ট
- বন্দর শাহী মসজিদ
- লোক ও কারুশিল্প জাদুঘর
- মেরি এন্ডারসন
- লোকনাথ মন্দির
- জিন্দা পার্ক
- মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি
- সায়রা গার্ড়েন রিসোর্ট
- মায়াদ্বীপ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url