হবিগঞ্জ জেলার ইতিহাস-হবিগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান ও ব্যাক্তিবর্গ
ময়মনসিংহ বিভাগ (৪টিঃ- ময়মনসিংহ, জামালপুর, নেত্রকোণা ও শেরপুর জেলা অবস্থিত।
পোস্ট সূচিপত্র
হবিগঞ্জ জেলা পরিচিতি
বাংলাদেশের অন্যান্য এলাকার সাথে কুমিল্লার লালমাই পাহাড় এবং সিলেট, হবিগঞ্জ , চট্রগ্রাম ও মধুপরের উচ্চতর এলাকার সমূহের সাথে যুক্ত ছিল। চাকলাপুঞ্জী চা বাগানের কাছে চান্দির মাজার নামক এলাকায় বালু নদী নামে পরিচিত একটি নদীর পাড়ে প্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক বস্ত, যেমন জীবাশ্বম কাঠ, হস্তনির্মিত যুদ্ধাস্ত্র ইত্যাদি প্রমাণ করে যে, এখানে বহু আগে থেকেই প্রাচীন মানবের বসবাস ছিল।
বাংলাদেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চল হবিগঞ্জ জেলা। উপজেলার ক্রমানুসারে হবিগঞ্জ বাংলাদেশের “এ” শ্রেনীভু্ক্ত জেলা। ১৯৮৪ সালে হবিগঞ্জকে জেলা রূপান্তর করা হয়। এর আগে হবিগঞ্জ জেলা সিলেট জেলার অন্তর্ভুক্ত ছিল। হবিগঞ্জ জেলার উত্তরে সুনামগঞ্জ জেলা ও সিলেট জেলা, দক্ষিনে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য, পূর্বে মৌলভী বাজার জেলা ও পশ্চিমে ব্রাহ্মনবাড়িয়া জেলা ও কিশোরগঞ্জ জেলা। রাজধানী ঢাকা থেকে হবিগঞ্জ জেলার দুরত্ব প্রায় ১৭৯ কিলোমিটার।
হবিগ্ঞ্জ জেলার প্রশাসনিক চিত্র
হবিগঞ্জ জেলার ৯টি উপজেলা, ৯টি থানা, ৬টি পৌরসভা, ৭৮টি ইউনিয়ন, ১২৪১টি মৌজা, ২০৯৩টি গ্রাম ও ৪টি সংসদীয় আসন নিয়ে গঠিত। হবিগঞ্জ জেলার উপজেলা সমূহ হচ্ছে--
- হবিগঞ্জ সদর
- আজমিরীগঞ্জ
- চুনারুঘাট
- নবীগঞ্জ
- বানিয়াচং
- বাহুবল
- মাধবপুর
- লাখাই
- শায়েস্তাগঞ্জ
হবিগঞ্জ জেলার বিখ্যাত ব্যাক্তিবর্গ
- সৈয়দ সুলতান, মধ্যযুগের প্রখ্যাত কবি।
- বৃন্দাবন চন্দ্র দাশ, প্রখ্যাত সমাজ সংস্কারক।
- শাহ এ এম এস কিবরিয়া, সাবেক অর্থমন্ত্রী।
- মেজর জেনারেল অবঃ সি আর দত্ত, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও সেক্টর কমান্ডর।
- ফজলে হাসান আবেদ, ব্র্যাক এর প্রতিষ্ঠাতা।
- সৈয়দ এ বি মাহমুদ হোসেন, বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি
- সৈয়দ মুজতবা আলী, রম্য সাহিত্যিক।
- ড. মোহাম্মদ ফরাশউদ্দিন, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর।
হবিগঞ্জ জেলার দর্শনীয় স্থান
- রেমা ক্যালেঙ্গা বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য
- বিতঙ্গল আখড়া
- বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড
- ভাওয়ানী চা বাগান
- মশাজানের দিঘী
- মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি স্তম্ভ
- শংকরপাশা শাহী মসজিদ
- শচী অঙ্গন ধাম মন্দির
- সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান
- পলো বাইছ উৎসব (শুষ্ক মৌসুমে অর্থ্যাৎ প্রতি বছর আশ্বিন মাস থেকে অগ্রহায়ণ মাসে হয়)
- গ্রীনল্যান্ড পার্ক
হবিগঞ্জ জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার
হবিগঞ্জ জেলার আর দশটি সাধারণ মানুষ ভাত মাছে খেলে এখানকার একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী মূলত প্রধান খাবার হিসেবে “ছিকর” নামের একটি খাবার গ্রহন করে থাকে। অবাক করার বিষয় হল এটি এটেল মাটি দ্বারা নির্মিত একটি খাবার। প্রথমে স্বচ্ছ মিহি এটেল মাটি রোদে শুকোতে হয়।
আরও পড়ুনঃ বাদুড় কিভা্বে দেখে-বাদুড় অন্ধকারে উড়ে কিভাবে-ধুমকেতুর সৃষ্টি কিভাবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url