ক্যান্সারের ১০টি প্রাথমিক লক্ষণ দেখে সতর্ক হোন-এড়িয়ে যাবেন না।

ক্যান্সার এমন এক অসুখ যা কোন মানুষকেই রেহাই দেয় না। তবে যদি শুরুতেই ধরা পড়ে তবে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। এজন্য সবার আগে দরকার রোগের প্রাথমিক উপসর্গ সম্পর্কে সচেতন হওয়া। এছাড়া চিকিৎসার পাশাপাশি মনের জোর একটি বড় হাতিয়ার বলছেন চিকিৎসকরা।

ক্যান্সারের ১০টি প্রাথমিক লক্ষণ দেখে সতর্ক হোন-এড়িয়ে যাবেন না।

প্রবীণ মানুষের মধ্যে ক্যান্সারের ঝুঁকি তুলনামূলকভাবে বেশি। বয়স্কদের মধ্যে প্রস্ট্রেট ক্যান্সার, স্তনের ক্যান্সার, ফুসফুসের ক্যান্সার ও পেটের ক্যান্সার বেশি দেখা যায়। ৬৫ বছরের উর্দ্ধে ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটা বেড়ে যায়। কম বয়সীদের তুলনায় তা প্রায় ১১ গুন বেশি। তবে ক্যান্সারের প্রাথমিক উপসর্গ সম্পর্কে ওয়াকিবহাল থাকলে দ্রুত রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। সব উপসর্গ দেখা দিলে পরামর্শ  চিকিৎসকের নেওয়া উচিত। কয়েকটি-

আরও পড়ুনঃ লিভার ক্যান্সারের কারন,লক্ষন ও লিভার ক্যান্সারের প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন।

ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক--

  • দুই সপ্তাহের বেশি শুকনো কাশি ফুসফুসের ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে।
  • স্তনে কোনও লাম্প বা ব্যথাহীন ফোলা অংশ স্তন ক্যান্সারের লক্ষণ । বংশে এমন কারো হয়ে থাকলে ৩০ বছরের ঊর্ধ্বে নিয়মিত পরীক্ষা করা উচিত।
  • খাবার গিলতে অসুবিধা হলে, তা যদি দুই সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এটা অনেক সময় গলায় ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে।
  • মেনোপজের পর পেটে ব্যথা ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে।
  • লাগাতার পেটে অস্বস্তি ও গ্যাস হলে নিজে নিজে ওষুধ খাবেন না। ওভারির ক্যান্সারের কারণে এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
  • ডায়েটিং বা বড় কোনও অসুখ ছাড়া ওজন কমতে শুরু করা ক্যান্সারের অন্যতম লক্ষণ।
  • একটানা পেটের গন্ডগোল বা কোষ্ঠকাঠিন্য অন্ত্র, প্রস্টেট বা রেক্টাল ক্যান্সারের উপসর্গ হতে পারে।
  • মাড়ি, প্রস্রাব বা মল থেকে রক্তপাত হলে এবং তার সঙ্গে জ্বর থাকলে তা ক্যান্সারের লক্ষণ।
  • ঘন ঘন জ্বর আসলেও ক্যান্সারের কথা ভাবতে হবে।
  • আঁচিল বা তিলের রঙ্গ ও আকার বদলে গেলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

এইসব উপসর্গ দেখলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে প্রাথমিক পর্যায়ে রোগ ধরা পড়লে সঠিক চিকিৎসা সাহায্যের রোগীকে ভালো রাখা যায়।

সবশেষ কথা হল, 

ক্যান্সারের অনেক কারণ বোঝা যায় না। এমনকি অন্য ক্যান্সারের চিকিৎসার পরবর্তী পরিণতি হিসেবে আরেক ক্যান্সার দেখা দেয়। তাই শরীরের যে কোন অসুস্থতাকেই গুরুত্ব দিয়ে চিকিৎসা সেবা নিতে হবে। বিশেষ করে বয়স ৩০ থেকে ৪০ বছর পেরিয়ে গেলে, প্রতি অর্ধবছর বা প্রতি বছর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে হবে। 
ক্যান্সারে যদিও স্থায়ী চিকিৎসা নেই, তবে ক্যান্সার হলে যে মৃত্যু তা কিন্তু নয়। প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার চিহ্নিত করতে পারলে এবং চিকিৎসা সেবা নিতে পারলে ক্যান্সার থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পৃথিবীতে অনেক মানুষ প্রাথমিক অবস্থায় ক্যান্সার থেকে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। 

এদের মধ্যে জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী সাবিনা ইয়াসমিন, বলিউড অভিনেত্রী মনীষা কৈরালা বা ভারতের ক্রিকেটার যুবরাজ সিং এরা কিন্তু ক্যান্সার জয় করে আবার তাদের নিজস্ব জায়গায় ফিরে এসেছেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url