গাজীপুর জেলার ইতিহাস-গাজীপুর জেলার দর্শনীয় স্থান ও ব্যাক্তিবর্গ
আজকের টপিক্স জুড়ে থাকবে ঢাকা বিভাগের গাজীপুর জেলার গুরুত্বপুর্ণ তথ্য ও জেলা পরিচিতি, দর্শনীয় স্থান, উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিবর্গ ও প্রসিদ্ধ খাবার সমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা । আপনার পছন্দের জেলার তথ্য ও ইতিহাস জানতে ”এখানে ক্লিক করুন”
পোস্ট সূচিপত্র
- গাজীপুর জেলা পরিচিতি
- গাজীপুর জেলার প্রশাসনিক চিত্র
- গাজীপর জেলার উল্লেখযোগ্য ব্যাক্তিবর্গ
- গাজীপুর জেলার দর্শনীয় স্থানসমূহ
- গাজীপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার
গাজীপুর জেলার ইতিহাস
ঐতিহাসিকগণ মনে করেন যে, মুহাম্মদ বিন তুঘলকের শাসনামলে গাজী নামে এক কুস্তিগীর এখানে থাকতো আর তান নাম অনুসারে সম্ভবত এই অঞ্চলের নাম হয়েছে গাজীপুর। আবার এই মতের বিরোধীতা করে অনেকে বলেন যে, সম্রাট আকবরের সেনাপতি ঈশা খার ছেলে ফজল গাজীর নামে এই অঞ্চলের নাম করণ করা হয় গাজীপুর।
গাজীপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যঞ্চলের ঢাকা বিভাগের একটি জেলা ও প্রশাসনিক অঞ্চল। অবস্থানগত কারনে এটি বাংলাদেশের বিশেষ শ্রেনীভু্ক্ত জেলা। গাজীপুরে রয়েছে জাতীয় পর্যায়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তরসহ ১৯টি কেপি আই, ৫টি বিশ্ববিদ্যালয়, ২টি ক্যান্টনমেন্ট ও দেশের একমাত্র হাইটেক পার্কসহ বহু সংখ্যক সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং ক্ষুদ্র/মাঝারি ও ভারী শিল্প কারখানাসহ দেশের তৈরি পোশাকের বিরাট অংশ।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন দেশের সবচেয়ে বড় সিটি কর্পোরেশন। যার আয়তন ৩৩০ বর্গকিলোমিটার। গাজীপুরের মধ্যেই দেশের ৭৫% গার্মেন্টস শিল্প অবস্থিত। মুসলিম বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমাবেশ বিশ্ব ইজতেমা টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে অনুষ্টিত হয়। এশিয়া মহাদেশের সবচেয়ে বড় সাফারি পার্ক বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিব সাফারি পার্ক গাজীপুরেই অবস্থিত। দশের একমাত্র টাকশাল বা টাকা তৈরির কারখানা গাজীপুরেই অবস্থিত এবং দেশের একমাত্র অস্ত্র তৈরির কারখানা গাজীপুরেই অবস্থিত। দেশের সবচেয়ে বড় জেল কারাগার কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার গাজীপুরে অবস্থিত। গাজীপুর ঢাকা জেলার পাশ্ববর্তী জেলা , রাজধানী ঢাকা থেকে গাজীপুর জেলার দুরত্ব প্রায় ৩৮ কিলোমিটার।
গাজীপুর জেলার প্রশাসনিক চিত্র
গাজীপুর জেলার উত্তরে ময়মনসিংহ জেলা ও কিশোরগঞ্জ জেলা, দক্ষিণে ঢাকা জেলা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা, পূর্বে কিশোরগঞ্জ জেলা ও নরসিংদী জেলা এবং পশ্চিমে ঢাকা জেলা ও টাঙ্গাইল জেলা অবস্থিত। গাজীপুর জেলায় উপজেলা ৫টি, সিটি কর্পোরেশন ১টি, পৌরসভা ৪টি, ইউনিয়ন ৪৫টি, মৌজা ৭৬৮টি, গ্রাম ১১৬২টি ও সংসদীয় আসন রয়েছে ৫টি। উপজেলা সমূহ হচ্ছে--
- গাজীপুর সদর উপজেলা
- কাপাসিয়া উপজেলা
- শ্রীপুর উপজেলা
- কালিয়াকৈর উপজেলা
- কালিগঞ্জ উপজেলা
গাজীপুর জেলার বিখ্যাত ব্যাক্তিবর্গ
- তাজউদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী।
- আহসান উল্লাহ মাষ্টার, রাজনীতিবিদ।
- আবু জাফর শামসুদ্দীন, বাংলাদেশের সাবেক পাটমন্ত্রী।
- ব্রিগেডিয়ার এম এ হান্নান সাহ, বিএনপির সাবেক পাটমন্ত্রী।
- আ ক ম মোজাম্মেল হক, এমপি ও মাননীয় মন্ত্রী মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। গাজীপুর-১
- জাহিদ আহসান রাসেল, এমপি ও মাননীয় প্রতিমন্ত্রী যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। গাজীপুর-২
- মেহের আফরোজ চুমকি, রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী ও এমপি।
- তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী, বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গাজীপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমুহ
- ভাওয়াল রাজবাড়ী, জয়দেবপুর।
- রথখোলা- জয়দেবপুর।
- ১৯ শে মার্চ ডিজিটাল শিশু পার্ক- জয়দেবপুর।
- ইন্দ্রাকপুর (প্রাচীন রাজধানী)- শ্রীপুর।
- উধুর জগন্নাথদেবের বিগ্রহ মন্দির-পূবাইল।
- বলধার জমিদার বাড়ী-বাড়ীয়া।
- টোক বাদশাহী মসজিদ-কাপাসিয়া।
- পূবাইল জমিদার বাড়ী-পূবাইল।
- সেন্ট নিকোলাস চার্চ-কালীগঞ্জ।
- শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ী-কালিয়াকৈর।
- বলিয়াদী জমিদার বাড়ী-কালিয়াকৈর।
- ভাওয়াল রাজ শ্মশানেশ্বরী-জয়দেবপুর।
- শৈলাট-শ্রীপুর।
- কাশিমপুর জমিদার বাড়ী-গাজীপুর সদর।
- দত্তপাড়া জমিদার বাড়ী-টঙ্গী।
- টঙ্গী নদী বন্দর-টঙ্গী।
- কপালেশ্বর (ধ্বংসপ্রাপ্ত পুরাকীর্তি) রাজা শিশু পালের রাজধানী।
- একডালা দুর্গ-কাপাসিয়া।
- মীর জূলমার সেতু-টঙ্গী।
- সাকাশ্বর স্তম্ভ-কালিয়াকৈর।
- উধুর জগন্নাথদেবের বিগ্রহ মন্দির।
- ভাওয়াল রাজবাড়ী
- দত্তপাড়া জমিদার বাড়ী।
- বলধা জমিদার বাড়ী।
- ভাওয়াল জাতীয় উদ্যান।
- আনসার একাডেমী, সফিপুর।
- জাগ্রত চৌরঙ্গী।
- বলিয়াদী জমিদার বাড়ী
- শ্রীফলতলী জমিদার বাড়ী
- কাশিমপুর জমিদার বাড়ী
- রাঙ্গামটিয়া তুমিলিয়া, কালীগঞ্জ।
- বঙ্গবন্ধ সাফারি পার্ক
- মন পুড়া পার্ক, কাশিমপুর গাজীপুর।
- নাগরী টেলেন্টিনুর সাধু নিকোলাসের গীর্জা
- সোহাগ পল্লী
- আনন্দ পার্ক
- ঢাকা রিসোর্ট
- রাঙ্গামাটি ওয়াটার ফ্রন্ট
- পূর্বাচল
- জিন্দাপার্ক
- ওয়াদ্দাদীঘী, শ্রীপুর।
- ষড়ঋতু ভিলেজ-ফুলবাড়ীয়া, কালিয়াকৈর।
গাজীপুরে জেলার ঐতিহ্যবাহী খাবার
গাজীপুর জেলার বিখ্যাত খাবার বা ঐতিহ্যবাহী খাবার যাই বলি না কেন। পেয়ারা আর কাঠালের নামই আসে। এ জেলার এ দুটি ফল প্রচুর উৎপাদন হয় বলে এগুলো এ জেলার বিখ্যাত খাবার। প্রাচীন কাল থেকেই গাজীপুর জেলায় পেয়ারা ও কাঠাল উৎপাদন হয়ে আসছে। আপনি এ জেলায় বেড়াতে আসেন কিংবা ঘুরতে আসেন না কেন আপনার মেহমানদারি কিন্ত ফল দিয়ে শুরু হবে।
আরও পড়ুনঃ ফরমালিন বা ক্যামিকেলযু্ক্ত আম চেনার উপায়-কিভাবে ফরমালিনমু্ক্ত করবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url