মাথাব্যাথা থেকে মুক্তি পেতে ঘরোয়া টিপস- অসহ্য মাথাব্যাথায় করণীয়
মাথার যন্ত্রনাকে একেবারে সমূলে উৎখাত করবে এমন ওষুধ না থাকলেও, এমন কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা আছে যা দিয়ে মাথার যন্ত্রনাকে নিমেষে কাবু করে ফেলা সম্ভব। যারা প্রায়শই মাথার যন্ত্রনায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য এই উপাদানগুলো বেশ কাজে লাগতে পারে।
এই উপাদানগুলো মাথার যন্ত্রনা কমানোর পাশাপাশি আপনার টাকাও বাচাবে। প্রসঙ্গত, নানা কারণে মাথায় যন্ত্রনা হতে পারে। আর সেই কারণগুলির পেছনে যেমন আমাদের জীবনযাত্রা দায়ী থাকে, তেমনি নানা রোগের ভূমিকাকেও অস্বীকার করা যায় না।
আরও পড়ুন ঃ আলু ও পেয়াজ দীর্ঘদিন ঘরোয়া উপায়ে সংরক্ষন করার উপায় জেনে নিন।
তবে আজকাল স্ট্রেস একটা বড় কারন হয়ে দাড়িয়েছে মাাথা ব্যাথার ক্ষেত্রে। তাই তো আরও বেশি করে এই সব ঘরোয়া ওষুধগুলিকে সঙ্গে রাখতে হবে। কেন ? পরিসংখ্যান বলছে যত দিন যাচ্ছে স্ট্রেস আক্রান্ত মানুষের সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আগে থেকেই সাবধান হওয়াটা জরুরি।
পোস্ট সূচিপত্র
- দারুচিনি
- অ্যালোভেরা
- লাভেন্ডার
- লবঙ্গ
- তুলসি
- সেগে পাতা
- পার্সলে
- থাইম পাতা
- আদা
- লেবু
- মিন্ট পাতা
দারুচিনি
আযূর্বেদ বিশেষজ্ঞরা এই মশলাটিকে “মিরাক্কেল স্পাইস” নামে ডেকে থাকেন। দারুচিনিকে কেন এমন নাম দেওয়া হয়েছে জানা আছে ? আসলে দেখতে ছোট্র হলেও আমাদের শরীরকে চাঙ্গা রাখতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, মাথার যন্ত্রনা কমাতেও দারুচিনি দারুন কাজ করে। এক্ষেত্রে অল্প পরিমাণ দারুচিনি পাউডার নিয়ে পরিমাণ মতো পানিতে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানাতে হবে প্রথমে। তারপর সেই পেস্টটা কপালে কম করে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখলেই দেখবেন মাথার যন্ত্রনা উড়ে যাবে।
অ্যালোভেরা
এত রয়েছে অ্যমােইনো অ্যাসিড এবং বেশ কিছু কার্যকরি এনজাইম ,যা মাথার যন্ত্রনা এবং একাদিক স্কিনের সমস্যা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
ল্যাভেন্ডার
এতে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-সেপটিক প্রপার্টিজ, যা যে কোনও ধরনের যন্ত্রনা কমাত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। পরিমাণ মতো গরম পানিতে কয়েকটি ল্যাভেন্ডার পাতা ফেলে ভাপ নিন। দেখবেন অনেক আরাম পাবেন।
লবঙ্গ
এতে থাকা পেইন রিলিভিং প্রপার্টিজ সারা শরীরের ঠান্ডা স্রোত বইয়ে দেওয়ার মধ্যে দিয়ে কপালে হওয়া প্রদেহকে কমিয়ে দেয়। তাই তো এবার থেকে কপালে ঠিপ ঠিপ করলেই অল্প কয়েকটা লবঙ্গ বেটে একটা পরিষ্কার রুমালে রেখে বারে বারে গন্ধ নিতে থাকবেন। এমনটা কয়েক মিনিট করলেই দেখবেন কষ্ট কমে যাবে।
তুলসি
কয়েকটি তুলসি পাতা নিয়ে হাতে ঘেষে কপালে লাগিয়ে ফেলুন। আরাম পাবেন। কারন এই পাতাটির ভেতরে ঠাসা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা এই ধরনের কষ্ট কমাতে দারুন কাজে আসে।
সেগে পাতা
এ পাতাটি মাথা ব্যাথা তো কমায়ই, সেই সাথে আরও নানা ধরনের সমস্যার প্রকোপ কমাতে কাজে লাগে।
পার্সলে
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি মাথার যন্ত্রনা কমাতে এটি দারুন কাজে আসে। তাই এ’বার থেকে মাথার যন্ত্রনা হলেই অল্প করে পার্সলে শাকের পাতা খেয়ে নেবেন। নিমেষে কমে যাবে ব্যাথা।
থাইম পাতা
ল্যাভেন্ডার পাতার মতোই এতে রয়েছে অ্যান্টিি-ইনফ্লেমেটরি প্রপার্টিজ যা প্রদাহ কমায়। তাই মাথায় যন্ত্রনা হলেই থাইম পাতার রস খান। ফল পাবেন হতে নাতে।
আরও পড়ুন ঃ গলায় মাছের কাটা বিধলে করণীয় সম্পর্কে জেনে নিন।
আদা
মাথা ব্যাথা কমাতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির বিকল্প কিছু হতে পারেনা। কারন আদার ভেতরে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান কপালের ব্লাড ভেসেলের প্রদাহ কমানোর মধ্যে দিয়ে নিমেষে মাথা যন্ত্রনা কমাতে দারুন উপযোগী ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো এবার থেকে কপালে আগুন জ্বললেই এক কাপ আদা চা বানিয়ে ঝটপট খেয়ে ফেলবেন। তাহলেই দেখবেন কেল্লাফতে।
লেবু
মাথা যন্ত্রনা কমাতে এটি দারুন কাজে আসে। এমনকি যে কোনও ধরনের চুলকানি কমাতেও এই ঘরোয়া ওষুধটির কোনও বিকল্প হয় না বললৈই চলে।
মিন্ট পাতা
প্রতিদিন নিয়ম করে মিন্ট পাতা দিয়ে বানানো চা খেলে শুধু মাথা ব্যাথা যন্ত্রনা নয়, সেই সাথে পেটের ব্যাথা ও মাথা ঘোরার মতো সমস্যাও কমে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url