কফি’র গুনাগুন ও উপকারিতা-অতিরিক্ত কফি পানের অপকারিতা
বিশ্বব্যাপী অত্যাধিক জনপ্রিয় পানীয়ের মধ্যে ”কফি” হল অন্যতম। ‘কফি বীজ” নামে পরিচিত এক প্রকার বীজ পুড়িয়ে গুড়ো মিশিয়ে কফি তৈরি করা হয়।
আড্ডা দেওয়ার সময়, ক্লান্তিবোধ থেকে মুক্তি পেতে কিংবা কাজের ফাকে ঘুম তাড়াতে চা বা কফি-র জুড়ি মেলা ভার। আমাদের দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় অন্তত চার,পাচ বার চা বা কফি তো থাকবেই।
কফির উপাদন
কফিতে ক্যাফেইন নামক এক প্রকার উত্তেজক পদার্থ থাকে। ৮ আউন্স কফিতে প্রায় ১৩৫ মিলিগ্রাম ক্যাফেইন থাকে। কফির মূল উপাদান ক্যাফেইনের জন্য কফি মানুষের উপর উত্তেজক প্রভাব ফেলে উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। কফি বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম পণ্য।
কফির উপকারিতা
একটি গবেষনায় দেখা গেছে, কফি লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং ক্যান্সার রোধ করে। আমাদের মানসিকভাবে সতেজ রাখে। কফিতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকে। গবেষকদের মতে, প্রতিদিন তিন থেকে চার কাপ কফি পান করা হলে আমাদের কিছু শারীরিক সমস্যা কমতে পারে।
- হার্ট অ্যাটাক,স্ট্রোকের ঝুকি কমায়
- করোনারি অ্যাস্টিরি রোগের ঝুকি কমায়
- ফ্যাটি লিভারের ঝুকি কমায়
- লিভার সেরোসিসের ঝুকি কমায়
- ক্যান্সার হওয়ার ঝুকি কমায়
- কফি পান করলে সতেজ অনুভূতি হয়
- কফি শরীরে উদ্যম ও উৎসাহ তৈরি করে
কফি পানের ঝুকি
সবকিছুরই যেমন ভালো দিক আছে তেমন আবার খারাপ দিকও আছে। কফি পানের উপকারিতার পাশাপাশি এর কিছু ঝুকিও দেখা যায়। যারা খুব বেশি কফি পান করেন তাদের ক্ষেত্রে কফি নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। খালি পেটে কফি শরীরের পক্ষে মারাত্মক। বিশেষ করে ব্ল্যাক কফি ক্ষতির পরিমাণ কয়েকগুন বাড়িয়ে দেয়, সেগুলি হচ্ছে-
- খালিপেটে কফি খেলে বমি হতে পারে
- কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়
- ঘুমে ব্যাঘাত হয়
- মাথাব্যাথা হয়
- বেশি কফি খেলে গর্ভধারণের ক্ষমতা কমে যেতে পারে
- স্নায়ুবিকতা ও উদ্বেগ বেড়ে যায়
- অনিয়মিত হৃদস্পন্দন বা উচ্চ রক্ত চাপের আশঙ্কা বাড়ায়
- হরমোন ক্ষরনে ব্যঘাত ঘটায়।
দিনে তিন কাপ কফিতে্ই সন্তুষ্ট থাকুন। আর বাড়তি ওজনের চিন্তা থাকলে কফির সঙ্গে দুধ-চিনি যোগ না করে শুধু রং কফি পানের অভ্যাস করুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url