সর্বশ্রেষ্ঠ দোয়া সমূহ-সুবহানাল্লাহ ও আল্লাহু আকবারে’র ফযিলত
মানুষের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এমনকি প্রতিটি লোম-চুল পর্যন্ত মহান আল্লাহার জিকির করে থাকে। ইরশাদ হচ্ছে, ” এমন কিছু নেই যা তার ( আল্লাহর) তাসবিহ বা জিকির করে না”। অর্থাৎ সব কিছুই তার জিকির করে। ( সূরা বনি ইসরাইল : ৪৪)
শরীরের সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে সচল রাখতে হবে একমাত্র আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে। মানব দেহের মূল হলো ক্বালব বা অন্তর। এই ক্বালব পবিত্র হলে সমস্ত শরীরই পবিত্র হয়ে যায়। আর এই ক্বালব আল্লাহর জিকির করলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গই আল্লাহর জিকির করে থাকে।
আরও পড়ুন ঃ দোয়া কবুলের আমল-দোয়া কবুলের সময়-দোয়া কবুল
পক্ষান্তরে ক্বালব নষ্ট হলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শরীরের প্রতিটি অঙ্গ আল্লাহর জিকির করতে পারে না। এই ক্বালব বা অন্তর কে বিশুদ্ধ রাখার একামাত্র পন্থা হলো আল্লাহর জিকির।
- হযরত আবুজব গিফারি (রা.) হতে বর্ণিত, এক হাদিসে তিনি বলেন- একবার রাসূল সা. কে জিজ্ঞেস করা হলো.,- হে আল্লাহর রাসূল! কোন বাক্য শ্রেষ্ঠ ? রাসূল সা. বলেন- শ্রেষ্ঠ বাক্যটি হচ্ছে “ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি”। (মুসলিম)
- হযরত আবু হূরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেন-”যে ব্যাক্তি দৈনিক একশ বার বলবে “ সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি” তার গুনাহগুলো ক্ষমা করা হবে, যদি তার গুনাহ সমুদ্রের ফেনারাশির মতো বেশিও হয়। (বুখারি ও মুসলিম)
- হযরত জাবের (রা.) হতে বর্ণিত, হাদিসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করে,- শ্রেষ্ঠ জিকির হলো “লা ইলাহ ইল্লাল্লাহ” আর শ্রেষ্ঠ দোয়া হলো “ আলহামদুলিল্লাহ”। (তিরমিজি ও ইবনে মাজাহ)
- হযরত আমর ইবনে শুয়াইব (রা.) হতে বর্ণিত, হাদিসে রাসূলে পাক (সা.) ইরশাদ করেন- যে ব্যাক্তি সকালে একশ বার ও বিকালে একশ বার ’সুবাহানাল্লাহ” বলবে সে তার মতো হবে যে একশ বার হজ্ব করেছে।
- অন্য এক হাদিসে আসছে, যে ব্যাক্তি সকালে একশ বার ও বিকালে একশবার “আলহামদুল্লিাহ” বলবে সে তার মাত হবে, যে একশ ঘোড়ায় একশ মুজাহিদ রওনা করে দিয়েছে।
- যে ব্যাক্তি সকালে একশ বার ও বিকালে একশ বার “লা ইল্লাহ ইল্লাল্লাহ” বলবে সে তার মতো হবে, যে ইসমাইল বংশীয় একশ দাস মুক্ত করেছে।
- যে ব্যাক্তি সকালে একশ বার ও বিকালে একশ বার “আল্লাহু আকবার” বলবে সেদিন তার অপেক্ষা অধিক সওয়াবের কাজ আর কেউ করতে পারবে না। অবশ্য সে ব্যাক্তি ব্যতীত, যে এরূপ বলেছে বা এ অপেক্ষা বেশি বলেছে। ( তিরমিজি)
- হযরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণিত হাদিসে রাসূল (সা.)ইরশাদ করেন- “ যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যায় একশ বার বলবে “সুবাহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি” কিয়ামতের দিন তার অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ বাক্য নিয়ে কেউ উপস্থিত হতে পারবে না। ,। কেবল সে ব্যাক্তি ব্যতীত, যে এর মতো বা এর অপেক্ষা অধিক বলবে। ( বুখারি ও মুসলিম)
- হযরত আবু হূরায়রা (রা.) .হতে বর্ণিত হাদিসে রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন,- দুটি সংক্ষিপ্ত বাক্য যা বলতে সহজ অথচ পাল্লায় ভারী এবং আল্লাহর নিকট অতি প্রিয় তা হলো ”সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি সুবহানাল্লাহিল আজিম”। ( বুখারি ও মুসলিম)
- হযরত আবু হূরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সা.) ইরশাদ করেনে--”লা হাওলা ওয়ালা কুওয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ” বাক্যটি নিরানব্বইটি রোগের ওষুদ, যার সহজটা হলো চিন্তা। (বায়হাকি দাওয়াতুল কবির, মিশকাত শরীফ: পৃষ্ঠা-২০২
সুবহানাল্লাহ,ওয়াল হামদুলিল্লাহ্ ওয়া লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ, ওয়াল্লাহু আকবার
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url