যেসব খাবারে শিশুর উচ্চতা বাড়ে-শিশুর উচ্চতা বাড়াতে করণীয়
সন্তানের ব্যক্তিত্ব বিকাশের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উচ্চতা। কার উচ্চতা ঠিক কতটা হবে, তা নির্ভর করে জিনের উপর। তবে শিশুর উচ্চতা নির্ণয় করতে খাদ্যভ্যাস, জীবনযাত্রা এবং শরীর চর্চার মত বিষয়গুলো মুখ্য হয়ে দাঁড়ায়।
সে কারণে সন্তানের খাদ্যভ্যাসের দিকে বিশেষ নজর দিন। আজকের দিনে রান্না ঘরে দেওয়ার মত বেশি সময় মায়েদের হাতে থাকে না। বাচ্চাদের ডায়েটে তাই আধিপত্য থাকে ফাস্টফুডের। মুখরোচক স্বাদ এবং বানাতে সময় কম লাগে, এই দুই দিক মিলিয়ে সন্তান এবং তাদের মায়ের পছন্দ ফাস্টফুড।
আরও পড়ুনঃ শিশু ধীরে হাটা শিখছে ? জেনে নিন শিশুকে দ্রুত হাটাতে শিখাতে আপনার করণীয়।
সাময়িক সমস্যার সমাধান হলেও ভবিষ্যতের জন্য কিন্তু এই বিষয়টি ভয়ংকর। সে কারণে সচেতন হতে হবে এখনই। অতিরিক্ত ফাস্টুফুড খাওয়ার কারণে শিশুর উচ্চতা না বেড়ে শরীরে ফ্যাট জমে যায়, ফলে শিশু লম্বা না হয়ে মোটা হয়ে যায়। ফাস্টফুডের বদলে বাচ্চাকে দিতে হবে সুষম খাবার, শারীরিক সুস্থতা, বিকাশের পাশাপাশি সন্তানের উচ্চতার বৃদ্ধির হার অনেকটা সুনিশ্চিত করে এমন কিছু খাবারে ব্যাপারে জেনে নেওয়া যাক-
পোস্ট সূচিপত্র
- ডিম মাংস
- মাছ
- সবুজ শাক
- সয়াবিন
- ডাল
- ফল
ডিম মাংস
শারীরিক বিকাশে প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ । প্রাণীজ প্রোটিন সাহায্য করে দেহের নতুন টিস্যু গঠনে এবং ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যু সারিয়ে তুলতে। মাংসপেশীর গঠনীয় প্রোটিনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চার ডায়েটে রাখুন ডিম। বিশেষ করে ডিমের সাদা অংশ এবং সিদ্ধ বা গ্রিলড চিকেন। শারীরিক বিকাশের পাশাপাশি রোজকার কাজে এনার্জি ও পাবে আবার আপনার সন্তানের উচ্চতা বাড়বে।
মাছ
বাঙালির ঘরে মাছ অবশ্যই থাকেই। ছোট মাছ শিশু চেষ্টা করুন বাচ্চাকে ছোট মাছ খাওয়াতে বেশি। প্রথম থেকেই তার মনে কাটার ভীতি দূর করলে ভালো হয়। তাহলেই দেখবেন, মাছ খেতে বেশি অনীহা থাকবে না বাচ্চার। যদি আশটে গন্ধের কথা বলে বাচ্চা, মাছ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়, হাতের কাছে রাখুন এক টুকরো লেবু। মাছের টুকরোয় হালকা করে লেবুর রস মাখিয়ে নিন । দেখবেন গন্ধের অজুহাত উধাও হয়ে যাবে।
সবুজ শাক
কচিকাঁচাদের ভালো রাখতে এবন সন্তানের উচ্চতাও বাড়াতে তরিতরকারির কোন বিকল্প নেই। বাচ্চাদের ডায়েটে যত বেশি সম্ভব শাকসবজি রাখুন। আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন কে, ভিটামিন এ এবং অন্যান্য খনিজ ভরপুর তরকারি বাচ্চার বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয়।
আরও পড়ুনঃ আপনার শিশু কি বমি করছে ? জেনে নিন করনীয় কি।
শীতকালে নানা রকমের তরকারির জন্য আদর্শ সময়। বাজার থেকে কিনে আনুন পালং শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, গাজর এবং টমেটো, শিম। অনেক সময় বাচ্চা তরকারি খেতে চায় না। এমন করে সাজিয়ে পরিবেশন করুন যাতে মনে হয় রংধনুর মত রঙ্গিন। দেখবেনতবে খেয়াল রাখুন এসব করতে গিয়ে যেন খাদ্যগুণ বা পুষ্টিগুণ নষ্ট না হয়।
সয়াবিন
আপনি যদি নিরামিষ ভোজী হন, তাহলে প্রোটিনের জন্য সয়াবিন খাওয়ার বিকল্প নেই। বাচ্চাদেরও ছোট থেকে সয়াবিন খাওয়ানোর অভ্যাস তৈরি করুন। স্বাদের দিক দিয়ে মাংসের কাছাকাছি হওয়ায় বাচ্চারা অনেক সময় সয়াবিন খেতেও পছন্দ করে।
ডাল
মধ্যবিত্ত বাঙালি পরিবারে ভাতের সঙ্গে ডাল থাকে। ছোটবেলা থেকে সন্তানদের ডাল খেতে অভ্যস্ত করে তুলুন। একেক দিন ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একেক রকম ডাল রাধুন। দরকারে দু তিন রকম ডাল মিশিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে পারেন।
ফল
সব সময় দামি ফল কিনে খাওয়াতে হবে এমন কোন কথা নেই। আপেল, আঙ্গুরের দিকে সব সময় না ঝুকে কিনুন পেয়ারার মত ফল। বাচ্চা কে অবশ্যই দিন ,সফেদা, পানিফল, বাতাবি লেবুর মত মৌসুমী ফল সমূহ। ফলের রসের বদলে বাচ্চা কে বলুন গোটা বা কাটা ফল কামড়ে খেতে। এতে পুষ্টিকর ফাইভার ডায়েট থেকে বাদ পড়বে না । দাঁতের গঠনও ভালো হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url