আখের রসের উপকারিতা-আখের রসের গুনাগুন-আখের রস কেন খাবেন
স্ট্রেস, ক্লান্তি ও পরিবেশ দূষনের হাত থেকে বাচতে প্রতিদিন আখের রস খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া গর্ভবতী নারী, যাদের ডায়াবেটিস আছে তারাও খেতে পারেন। আখের রস কিডনির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়, লিভারের ক্ষমতা বাড়ানোসহ অনেক উপকার করে।
আখের রসে আছে ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রণ, ম্যাঙ্গানিজ,উপকারী অ্যামাইনো অ্যাসিড, জিঙ্ক, থিয়ামিন ও রাইবোফ্লবিন। যা শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে, স্ট্রেসের কারণে শরীরের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা তো থাকেই না, সেই সঙ্গে আরও একাধিক শারীরিক উপকার পাওয়া যায়।
আরও পড়ুন ঃ তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা-তরমুজের বিচি খাওয়ার উপকারিতা ও বিচির গুনাগুন।
পোস্ট সূচিপত্র
- রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়।
- গর্ভবতীদের জন্য
- দেহের প্রতিটা অঙ্গের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
- ডায়াবেটিস দূরে থাকে
- কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে পালায়
- কিডনির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
- এনার্জির ঘাটতি দূর হয়
- হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়
- লিভারের ক্ষমতা বাড়ে
- ত্বকের বয়েস কমে
- খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমে
- মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
- ব্রণের চিকিৎসা
রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়।
আখের রসের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আামাদের শরীরের প্রবেশ করার পর ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে দেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থা এতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারের কাছে ঘেষতে পারেনা। েসই সঙ্গে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।
গর্ভবতীদের জন্য
আখের রসে থাকা ফলিক অ্যাসিড মায়ের শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে প্রেগন্যান্সি সংক্রান্ত একাধিক সমস্যা দূরে থাকতে বাধ্য হয়। সেই সঙ্গে শারীরিক উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না।
দেহের প্রতিটা অঙ্গের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
নিয়মিত আখের রস খাওয়া শুরু করলে শরীরের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষমতা এতটা বেড়ে যায় যে ছোট-বড় কোও রোগই ধারের কাছে ঘেষতে পারে না। বিশেষত সেনসরি অর্গেন, রিপ্রডাকটিভ অর্গেন ও ব্রেনের ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে আয়ুও বাড়ে চোখে পরার মতো।
ডায়াবেটিস দূরে থাকে
গ্লাইসেমিক ইনডেক্সে একেবারে তলার দিকে থাকার কারণে আখের রস খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা থাকে না। বরং এই প্রাকৃতিক উপাদানটি গ্রহন করলে সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রনে থাকে।
কোষ্ঠকাঠিন্য দূরে পালায়
আযূর্বেদ শাস্ত্র মতে আখের রসে উপস্থিত ল্যাক্সেটিভ প্রপাটিজ বাওয়েল মূভমেন্টের উন্নতি ঘটায়। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা কমতে সময়ই লাগে না। সেই সঙ্গে আখে থাকা অ্যালকেলাইন প্রপাটিজ গ্যাস-অম্বলের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কিডনির কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়
আখের রসে থাকা একাধিক উপকারী উপদান ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফরমেশন সারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সাথে কিডনি স্টোনের মতো সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে।
এনার্জির ঘাটতি দূর হয়
আখের রসে থাকা কার্বোহাইড্রেট, প্রোটেন, আয়রণ,পটাশিয়াম ও অন্যান্য উপকারি উপাদন শরীরে প্রবেশ করার পর এনার্জির ঘাটতি দূর করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মন ও শরীর দুইটা চনমনে হয়ে উঠে।
হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়
আখের রসে থাকা পটাশিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে হজমে সহায়ক একাধিক পাচক রসের ক্ষরণ বেড়ে যায়। যে কারণে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না।
লিভারের ক্ষমতা বাড়ে
আয়ুর্বেদ শাস্ত্র সম্পর্কিত একাধিক বইয়ে এমন উল্লেখ পাওয়া যায় যে, লিভারের সুস্থ রাখত েআখের রস দারুন কাজে আসে। সেই কারণেই তো জন্ডিসের প্রকোপ কমাতে রোগীকে আখের রস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। শুধু তাই না. শরীরের পুষ্টির ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি প্রোটিনের চাহিদা মেটাতেও আখ বিশেষ ভূমিকা নেয়।
ত্বকের বয়েস কমে
নিয়মিত আখের রস খেলে দেহের অন্দরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফ্লেবোনয়েডের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। এই দুটি উপাদান ত্বক ও শরীরের ভেতরের ক্ষতিকর টক্সিকউপদানদের বের করে দেয়। ফলে শরীরের পাশাপাশি ত্বকের বয়স বাড়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়।
আরও পড়ুন ঃ ঘুমের মধ্যে নাক ডাকা-নাক ডাকা থেকে মুক্তি পেতে করণীয়।
খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমে
হাই কোলেস্টেরলের কারণে কি চিন্তায় রয়েছেন ? আজ থেকেই আখের রস খাওয়া শুরু করেন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটিতে থাকা বেশ কিছু উপাদান খারাফ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সাথে হার্টের উন্নতিতেও সাহায্য করে।
মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে
প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম থাকার কারণে নিয়মিত আখের রস খেলে হাড় শক্তপোক্ত তো হয়ই, সেই সাথে দাতের স্বাস্থ্যেরও উন্নতি ঘটে। সেই সাথে ক্যাভিটি এবং ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হওয়ার আশংকাও দূর হয়।
ব্রণের চিকিৎসা
আখের রসে থাকা আলফা হাইড্রক্সি অ্যাসিড স্কিন সেলের উৎপাদন বাড়ায়ে ব্রণের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিাকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ব্রণের দাগ কমাতেও সাহায্য করে থাকে। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো আখের রস নিয়ে মূলতানি মাটির সাঙ্গে মিশিয়ে একটি পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে।
তারপর সেই পেস্ট ভাল করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। সময় হয়ে গেলে ভেজা তোয়ালের সাহায্য ভাল করে মুখটা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url