বাদুড় কিভাবে দেখে-বাদুড় অন্ধকারে উড়ে কিভাবে- ধুমকেতুর সৃষ্টি কিভাবে
আমাদের প্রতিদিনে জীবনে বিজ্ঞানের নানান বিষয় ওতোপ্রোতভাবে জড়িত। এসব বিষয়গুলোর বেশিরভাগ রহস্য আমাদের অজানা থেকে যায়, অথচ বিষয় গুলো প্রতিনিয়ত আমাদের সাথে ঘটতে থাকে। অনেকে আবার এসব বিষয়গুলো জানতে বেশ কৌতুহল কিন্ত তেমন মাধ্যম বা উপায় নেই বলে প্রশ্নগুলো সব সময় মাথায় ঘুরপাক খাায়। আজকের টপিক্স জুড়ে তেমটি চারটি বিষয় নিয়ে আলোকপাত করা হয়েছে , চলুন দেখা নেওয়া যাক।
পোস্ট সূচিপত্র
গ্রীষ্ম ও শীতকালে কেমন কাপড় পরিধান করলে বিশেষ সুবিধা পাওয়া যাবে ?
সাদা কাপড় উত্তাপ ও আলোর একটি উত্তম প্রতিফলক এবং অপরদিকে এটা উত্তাপ ও আলোর একটি কু-পরিশোষক। যেহেতু এর উত্তাপ ধারণ ক্ষমতা কম এবং উত্তাপ বিকিরণ । অপরদিকে রঙ্গিন কাপড়ের উত্তাপ ধারন করে রাখার ক্ষমতা বেশি এবং সে জন্য এটা শীতকালে পরিধান করা আরামদায়ক।
বাদুড় কিভাবে দেখতে পায় ? বাদুড় কি অন্ধকারে উড়তে পারে ?
না বাদুড় দেখতে পায় না । বাদুড় শব্দের মাধ্যমে বস্তুর অবস্থান বুঝতে পারে। বাদুড় নিশাচর প্রাণী হওয়ায় অন্ধকারে শিকার ধরার জন্য ওড়ে। বাদুড়ের বড় আকারের ডানা থাকে, ওড়ার সময় বাদুড় বিচিত্র শব্দ সৃষ্টি করে চলে, ওই শব্দ প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করে কোথাও প্রতিহত হলে, এই প্রতিধ্বনি শোনে বাদুড় বাধা অতিক্রম করতে পারে আর শিকারের সন্ধান পায়।
এ পদ্ধতিকে ইংরেজিতে বলে ইকোলোকেশন । মাঝে মধ্যে প্রতিধ্বনি আসতে দেরি হওয়ায় বা প্রতিধ্বনি আসতে না পারায় উড়তে গিয়ে জালে বা বিদ্যুতে আটকা পড়ে। বাদুড় ২০,০০০ থেকে ১,৫০,০০০ হার্জ কম্পাংক তৈরি করে যা শব্দোত্তর তরঙ্গ , এ কারনে আমাদের কানে আসে না বা আমরা বুঝতে পারি না।
ধুমকেতুর সৃষ্টি কিভাবে ?
ধুমকেতু হলো ধুলো, বরফ গ্যাসের তৈরি এক ধরনের মহাজাগতিক বস্ত। ধুমকেতু একটি ক্ষুদ্র বরফাকৃত সৌরজাগতিক বস্তু যা সুর্যের খুব নিকট দিয়ে পরিভ্রমণ করার সময় দর্শনীয় কমা ( একটি পাতলা , ক্ষনস্থায়ী বায়ুমন্ডল) এবং কখনো লেজও প্রদর্শন করে থাকে। ধূমকেতুর নিউক্লিয়াসের ওপর সুর্যের বিকিরণ ও সৌরবায়ুর প্রভাবের করণে এমনটি ঘটে।
ধূমকেতুর নিউক্লিয়াস বরফ, ধুলো, ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র পাথুরে কণিকার একটি দুর্বল সংকলনে গঠিত। প্রস্থে কয়েকশ মিটার থেকে ১০ কি.মি এবং লেজ দৈর্ঘ্যে কয়েকশ কোটি কি.মি পর্যন্ত হতে পারে। মানুষ সুপ্রাচীন কাল হতে ধুমকেতু পর্যবেক্ষণ করছে। একটি ধূমকেতুর পর্যায়কাল কয়েক বছর থেকে শুরু করে কয়েকশ হাজার বছর পর্যন্ত হতে পারে।
জ্যোর্তিবিজ্ঞানীদের মতে,ইউরেনাস ও নেপচুন গ্রহের পার্শ্বে সূর্য এবং গ্রহের মহাকর্ষ শক্তির ফলে সৌরজগৎ হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কিন্ত ক্যামেরন নামক একজন জ্যের্তিবিজ্ঞানীর মতে, সৌরজগৎ এর সৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে কক্ষের বাহিরে ধুমকেতুর সৃষ্টির হয়েছে। যদি সেভাবে এটা সৃষ্টি হয়ে থাকে তবে তাদের মধ্যে সৌরজগতের বাহিরের বস্তুও থাকতে পারে।
রাতের আকাশে তারা গুলো মিট মিট করে জ্বলে কেন ?
গ্রহ ও তারা বা নক্ষত্রের মধ্যে গ্রহ মিট মিট করে না, মিট মিট করে শুধু তারাগুলো । বহু আলোকবর্ষ দূর হতে নক্ষত্রেদের জ্বলতে দেখা যায়। এরাই রাতের আকাশের তারা হিসাবে পরিচিত। মিট মিট করে জ্বলে এই সব তারকারাজি। বায়ুমন্ডল একটি অসম মাধ্যম। অর্থ্যাৎ বিভিন্ন মানের তাপ, ঘনত্ব, গ্যাসীয় স্তর রয়েছে এই বায়ুমন্ডলে। আবার আলোর একটি ধর্ম হচ্ছে- অপেক্ষাকৃত হালকা বা ঘন মাধ্যমে আসলে আলো বেকে যায়।
তাই আমাদের বায়ুমন্ডলের অসমতার কারনে আলেঅ বার বার তার দিক পরিবর্তন করে। এর ফলে বার বার আলোর উজ্জলতার রদবদল ঘটে। তাই আমাদের কাছে মনে হয় তারাগুলো যেন মিটমিট করেই জ্বলছে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url