পাকস্থলীর ক্যান্সারের লক্ষণ-পাকস্থলীর ক্যান্সারের-কারণ-ক্যান্সার প্রতিরোধ
পাকস্থলীর ক্যান্সার একটি মরণব্যাধি ঘাতক। উন্নত বিশ্বে যেমন আমেরিকা ও বৃটেনে এ রোগের প্রাদুর্ভাব দিন দিন কমতে শুরু করলেও দক্ষিন এশিয়াতে এ রোগের প্রাদুর্ভাব এখনও আশংকাজনক। এ রোগে মহিলাদের চেয়ে পুরুষেরা বেশি ভুগে থাকে।
নিম্মবিত্ত সমাজের লোকেরা অধিকহারে আক্রান্ত হন। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি বাড়তে থাকে। ৩০ বছর বয়সের আগে সাধারণত এ রোগ হয় না ।
পোস্ট সূচিপত্র
- পাকস্থলীর ক্যান্সারের কারণ :
- পাকস্থলীর ক্যান্সারের উপসর্গ :
- পাকস্থলীর ক্যান্সারের পরিক্ষা-নীরিক্ষা:
- স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ :
পাকস্থলীর ক্যান্সারের কারণ :
হেলিকোব্যক্ট্যার পাইলোরি নামক একটি ব্যাকটেরিয়া মানুষের পাকস্থলী ও ডিওডেনামে আলসারের সৃষ্টি করে। জীবাণূটি পাকস্থলীতে প্রাথমিক পর্যায়ে ক্ষনস্থায়ী প্রদাহের সৃষ্টি করে। ক্ষনস্থায়ী প্রদাহ থেকে দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ সৃষ্টি হয়। আর দীর্ঘস্থায়ী প্রদাহ থেকে অবশেষে পাকস্থলীতে ক্যান্সার সৃষ্টি হয়।
একাধিক গবেষনায় প্রমাণিত হয়েছে যে, পাকস্থলীর আলসার থেকে ক্যান্সার হয় না যদি না আলসারটি হেলিকোব্যাক্টার পাইলোবি দ্বারা আক্রান্ত হয়। ধুমপান ফুসফুসের ক্যান্সারের জন্য বিশেষভাবে দায়ী হলেও পাকস্থলীতে ক্যান্সার সৃষ্টিতেও এর ভুমিকা প্রমাণিত হয়েছে। ধুমপায়ীরা অধিকহারে পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন।
ভিটামিন সি ও ভিটামিন এ সমৃদ্ধ খাবারও পাকস্থলীর ক্যান্সারের ঝুকি হ্রাস করে। যাদের রক্তের গ্রুপ এ তারা অন্যান্য রক্তের গ্রুপধারীদের চেয়ে অধিকহারে পাকস্থলীর ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। বংশগত কারনও আজকাল উল্লেখযোগ্য কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়।
পাকস্থলীর ক্যান্সারের উপসর্গ :
পাকস্থলীর ক্যন্সার দ্বারা আক্রান্ত ব্যাক্তির প্রাথমিক পর্যায়ে শরীরের ওজন হ্রাস যাওয়া, পেটে ব্যাথা, বমি বমি ভাব, রক্ত বমি, কালোরক্তযুক্ত পায়খানা প্রভুুতি লক্ষণ দেখা দিতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী জন্ডিসে আক্রান্ত হতে পারেন। পাকস্থলীর ক্যান্সারের রোগী জন্ডিসে আক্রান্ত হলে বুঝতে হবে ক্যান্সারটি লিভারে ছড়িয়ে পড়েছে।
অনেকের পেটে পানি আসতে পারে। কোন কোন ক্ষেত্রে
ক্যান্সারটি ঘাড়ের লসিকা গ্রন্থিতে ছড়িয়ে যেতে পারে। মহিলাদের ক্ষেত্রে ডিম্বাশয়ে
ছাড়ানোর ঘটনাও বিরল নয়। যে সমস্ত অঙ্গে পাকস্থলীর ক্যান্সার সহজেই ছড়ায় সেগুলো হল
লিভার, ফুসফুস, হাড় ও
পেরিটোনিয়াম।
পাকস্থলীর ক্যান্সারের পরিক্ষা-নীরিক্ষা:
এন্ডোস্কপি করে পাকস্থলীর
প্রাচীর থেকে কোষ এনে সেটিকে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পরীক্ষা করে পাকস্থলীর
ক্যান্সার নির্ণয় করা যায়। বেরিয়াম মিল এক্সরে করে পাকস্থলীর ক্যান্সার সর্ম্পকে
ধারণা পাওয়া যায়। অনেক সময় পাকস্থলীর ক্যান্সার শরীরে কতটুকু ছড়িয়েছে সে সম্পর্কে ধারণা
পাওয়ার জন্যে সিটিস্কেন করা হয়।
স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ :
সহজে হজম হয় এমন খাবার খেতে হবে। চর্বি, তেল, ভাজা পোড়া ও মাংস জাতীয় খাবার বর্জন করত হবে। প্রচুর পরিমাণে শাক সবজি , ফলমূল ও আশ জাতীয় খাবার গ্রহন করতে হবে। রসুন ও সাজনা প্রকৃতির এক অনন্য ভেষজ উপাদান যা পাকস্থলীর আলসার ও ক্যান্সার সৃষ্টিকারী জীবাণু হেলিকোব্যাক্টার পাইলোবি ধ্বংসে অত্যন্ত কার্যকর।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url