মূর্ছা রোগের কারন-মূর্ছা রোগের লক্ষন ও করণীয়।
মূর্ছা কি ?
মস্তিষ্কে অল্প সময়ের জন্য হঠাৎ করে রক্ত সরবরাহ কমে গেলে মানুষ ক্ষনস্থায়ীভাবে সম্পূর্ণ জ্ঞানহারিয়ে ফেলে এবং কিছু সময় পরেই আবার জ্ঞান ফিরে পায় । একে মূর্ছা বলে । কখনো আবার কোনরকম সংকেত না দিয়েই একজন ব্যাক্তি মূর্ছা যেতে পারেন। বয়ক্তদের মধ্যে এটা বেশি দেখা যায়।
পোস্ট সূচিপত্র
মূর্ছার কারন সমূহ :
- রোগীর শারীরিক অবস্থা
- জ্বর
- মানসিক চাপ
- দীর্ঘ সময় ধরে দাড়িয়ে থাকা
- হঠাৎ মারত্মক ব্যাথা
- রক্ত স্বল্পতা
- হৃদরোগ
- মারাত্মক দীর্ঘটনা
- হঠাৎ দু:সংবাদ শোনা
আরও পড়ুন: করলার চায়ের গুনাগুন
মূর্ছার লক্ষন :
- শরীর ফ্যাকাশে হয়ে যায়।
- রোগী চোখে ঝাপসা দেখে
- নাড়ীর গতি ধীর হয়
- মাথা ব্যথা হয়
- ঘাম বের হয়
- রোগী জ্ঞান হারায়
- বুকে ব্যথা হয়
- চিমটি কাটলে বা ডাকলে রোগী সাড়া দেয় না ইত্যাদি
- ত্বক ঠান্ডা হয়ে যায়
- বিভ্রান্তি
- অস্বস্তি বোধ হওয়া
মূর্ছার অবস্থা সাধারণত কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিট পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
মূর্ছা হলে করণীয় :
- পায়ের তুলনায় মাথা নিচু করে রোগীকে চিৎ করে শোয়াতে হবে।
- পরনের জামা-কাপড় ঢিলা করে দিতে হবে। গায়ে যদি গেঞ্জি বা ব্রেসিয়ার থাকে তাহলে তা খুলে দিতে হবে।
- রোগীর আশপাশ ভিড়মুক্ত করতে হবে। একপাশ কাত করে দিতে হবে এবং আঙ্গুলের ডগায় কাপড় জড়িয়ে মুখ পরিষ্কার করে দিতে হবে।
- কোন সুগন্ধি বা অ্যামোনিয়া নাকের কাছে ধরতে হবে।
- রোগীর শ্বাসনালী খোলা রাখতে হবে, প্রয়োজনে কৃত্রিম শ্বাস প্রয়োগ করতে হবে।
- ঠান্ডা পানি দিয়ে মুর্ছা যাওয়া রোগীর মুখ হালকা করে মুছে দিন। তার মুখমন্ডলে কখনো পানি ঢালবেন না।
- পড়ে যাওয়ার ফলে ব্যক্তিটি আঘাত পেয়েছে কি না তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে। তার জ্ঞান ফিরে না আসা পর্যন্ত কোন কিছুই খেতে দেয়া যাবে না।
- অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরনাপন্ন হোন।
মূর্ছা যাওয়া ব্যক্তিকে সতর্কতার সাথে পর্যবেক্ষন করতে হবে, কেননা এর থেকে রোগী যে কোন সময় আরো খারাপ অবস্থায় চলে যেতে পারে। বেশি দেরি না করে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে পাঠানো উচিত।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url