ঘুমের মধ্যে নাক ডাকায় করণীয়-নাক ডাকা থেকে মুক্তির উপায়
ঘুমের মধ্যে নাক ডাকলে অন্যদের বিরক্তির কারনের পাশাপাশি নিজেও অস্বস্তিতে পড়তে হয়। এই নাক ডাকার জন্য অনেক সময় অনেকের হাসির পাত্র হতে হয়।
তবে যিনি নাক ডাকেন তিনি সাধারণ কতগুলো নিয়ম মেনে চললে এই সমস্যায় থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক,নাক ডাকা থেকে পরিত্রাণের উপায়
১. কাত হয়ে ঘুমানো চেষ্টা করুন। চিত হয়ে ঘুমালে গলার পেশি থাকে শিথিল। ফলে নাক ডাকার আশংকা বাড়ে। তাই যাদের নাক ডাকলে সমস্যা রয়েছে তারা কাত হয়ে ঘুমানোর অভ্যাস করে দেখতে পারেন।
২. ওজন কমানোর দিকে নজর দিন। যাদের ওজন বেশি তাদের এই সমস্যা বেশি। শ্বাস নেয়ার সময় টিস্যুগুলোর ঘর্ষনে শ্বাস নেয়ার সময় শব্দ হয়। এজন্য ওজন কমানোর চেষ্টা করা উচিত।
৩. নেশাজাতীয় দ্রব্য ও ঘুমের ওষুধ পরিহার করুন। অ্যালকোহল বা নেশা জাতীয় দ্রব্য মস্তিষ্ক এ প্রভাব ফেলার সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য শারিরীক সমস্যার সৃষ্টি করে। অ্যালকোহল বা নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবনের কারনে অনেকে নাক ডাকেন। তাই নেশা জাতীয় দ্রব্য বাদ দেন।
৪. বেশি বালিশ নেওয়া দরকার। বুকের চেয়ে মাথা উপরে থাকলে নাক ডাকার আশংকা অনেকে টা কমে যায়। তাই মাথার নিচে কয়েকটি দিয়েও নাক ডাকা কমানো যেতে পারে।
৫. ধুমপান ছেড়ে দেওয়া উচিত। ধুমপানে শরীরের অক্সিজেন ব্যবহারের ক্ষমতা কমে যায়। ফলে বাতাস বের হওয়ার পথ সংকুচিত হয়ে পড়ে। এ কারনেও অনেকে নাক ডাকতে পারেন।
৬. শরীরের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া অনেক কিছুেই অভ্যাসে নিয়ন্ত্রিত। তাই নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করা উচিত। এতে করে নাক ডাকার প্রবণতা কমবে।
৮. প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। এতে করে নাসারন্ধ্রে লেগে থাকা আঠার মতো দ্রব্যগুলো দূর হবে।
৯. নাসারন্ধ্রের পথ পরিষ্কার রাখা দরকার। এতে একজন ব্যাক্তি সহজভাবে নি:শ্বাস নিতে পারেন। এ কারনে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ভালোভাবে নাক পরিষ্কার করতে হবে।
১০. ঘুমাতে যাওয়ার দুই ঘন্টা আগে রাতের খাবার খাওয়া দরকার। যাতে জেগে থাকা অবস্থায়ই খাবার হজম হয়ে যাবে। ফলে রাতে ভালো ঘুম হবে। নাক ডাকাও কমবে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url