ব্যকপেইন থেকে মুক্তির উপায়-ব্যাকপেইন হলে করণীয়
ব্যাকপেইন এখন খুব সাধারণ একটি সমস্যা। ঘাড় থেকে কোমড় বা মেরুদন্ডের একেবারে শেষ অংশ পর্যন্ত যে ব্যাথা তা ব্যাকপেইন নামে পরিচিত। আমাদের দেশে অধিকাংশ মানুষ ব্যাকপেইনে ভোগেন। যাদের বয়স বেশি তাদের ক্ষেত্রে এ সমস্যাটা বেশি।
গবেষণা থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুুযায়ী শতকরা ৮০ ভাগ মানুষ জীবনের কোন না সময় ব্যাকপেইনে ভুগে থাকেন। ব্যাকপেইন থেকে মুক্তি পাওয়ার আগে আমাদের জানা দরকার কী কী কারনে এই ব্যাকপেইন হয়।
পোস্ট সূচিপত্র
- দীর্ঘসময় এক জায়গায় বসে থাকা :
- হাই হিলস :
- অস্বস্তিদায়ক মেট্রেসে ঘুমানো :
- ব্যায়াম না করা :
- ধূমপান :
- অতিরিক্ত ওজন :
- ঘুম কম :
- ভারী ওজন তোলা :
- পুষ্টির অভাব :
- ব্যায়ামে ভুল :
দীর্ঘসময় এক জায়গায় বসে থাকা :
অনেক সময় ধরে এক জায়গায় বসে থাকলে আপনার মেরুদন্ডের উপর চাপ পড়ে। এজন্য সবসময় সোজা হয়ে বসার চেষ্টা করুন। প্রয়োজনে ঊঠে মাঝেমধ্যে হাটাহিাটির চেষ্টা করুন।
হাই হিলস :
আমরা মেয়েরা বেশিরভাগ হাই হিল পছন্দ করি। এতে করে একদিকে খুব স্টাইলিশ দেখালেও মেরুদন্ডের উপর চাপ পড়ে। এতে করে শুরু কয় ব্যাকপেইন।
অস্বস্তিদায়ক মেট্রেসে ঘুমানো :
দশ বছরের বেশি কখনোই একটি মেট্রেস ব্যবহার করা উচিত নয়। আপনি যদি টানা ২০ বছর একটি মেট্রেসে ঘুমানে এতে করে তৈরি হবে অনেকে সমস্যা। মেরুদন্ডের উপর চাপ পড়বে এতে করে আপার ব্যাকপেইন হবে।
ব্যায়াম না করা :
আপনি যদি ওয়ার্কআউট না করেন বা কোন কাজ না করেন তাহলে সমস্যা প্রকট হতে পারে। দীর্ঘদিন শরীর নড়াচড়া না করলে আপনার তৈরি হতে পারে ব্যাকপেইন।
ধূমপান :
ধূমপান ক্যালসিয়ামের শোষণকে হ্রাস করে এবং হাড়ের নতুন বৃদ্ধি প্রতিরোধ করে। এছাড়াও ধূমপান থেকে ঘন ঘন কাশি পিঠে ব্যাথা হতে পারে।
অতিরিক্ত ওজন :
অতিরিক্ত ওজন হওয়ায় আপনাকে পিঠে ব্যাথা সহ বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্য সমস্যাগুলোর জন উচ্চ ঝুকিতে ফেলতে পারে। এনআইএনডিএস আরও বলেছেন. আপনার ওজন বেশি হওয়ায় আপনার পিঠে ব্যাথা হওয়ায় সম্ভাবনা বেশি কারণ, এটি আপনার পিছনের পেশী এবং হাড়গুলিতে অতিরিক্ত স্ট্রেস যুক্ত করতে পারে।
ঘুম কম :
ভালো ঘুম না হলেও শরীরে অবসাদ থেকে ব্যাকপেইন হতে পারে।
ভারী ওজন তোলা :
যদি আপনি প্রতিদিনের ব্যায়ামের রুটিনের অংশ হিসোবে ওজন উত্তোলন করেন তবে এটি সঠিকভাবে করুন। অন্যথায়, ভারী ওজন তোলার সময় দুর্বল গঠন আপনার পিঠ সহ আপনার শরীরের কোনও অংশকে আহত করতে পারে এবং দীর্ঘস্থায়ী ব্যাথা হতে পারে।
পুষ্টির অভাব :
ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও মিনারেল পরিমিত গ্রহনের চেষ্টা করুন। তা না হলে ব্যাকপেইন শুরু হতে পারে।
ব্যায়ামে ভুল :
নিজের শরীর না বুঝে ভুল ব্যায়াম করলে আপনার ব্যাকপেইন শুরু হতে পারে। এজন্য ব্যাকপেইন থেকে বাচতে উপরের অভ্যাসগুলো এড়িয়ে চলুন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url