শরীরের ওজন কমানোর উপায়- ডিম খেয়ে ওজন কমানোর উপায়

ডিম খেয়েও ওজন কমাতে পারেন

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবারের প্রসঙ্গ উঠলে তালিকায় সবার আগে উঠে আসে ডিম। কারন এটি সহজেই রান্না করা যায় এবং এর প্রোটিনগুনও অনেক। কিন্ত ডায়েটে ডিমের ব্যবহার বা ডিম রান্না করার ক্ষেত্রে অনেক সময়েই নানা ধরনের ভুল হয়ে যায়।
 
শরীরের ওজন কমানোর উপায়- ডিম খেয়ে ওজন কমানোর উপায়

যাতে ওজন কমারে বদলে  উল্টা নানা সমস্যা দেখা যায়। তাই কয়েকটি ভুলে সাধারণ ভুলে একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
 

পোস্ট সূচিপত্র

  • ডিমের কুসুম বাদ :
  • ডিম রান্না করতে গিয়ে সঠিক তেলের ব্যবহার:
  • ডিমের পাশে যথাযথ খাবার রাখাটাও জরুরি:
  • বেশিক্ষণ ধরে রান্না করা ঠিক নয়:
  • ক্যালোরি কাউন্টে নজর দিতে হবে :

ডিমের কুসুম বাদ :

একটা ভুল ধারণা রয়েছে যে, ডিমের কুসুমে প্রচুর অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। তাই অনেকেই ডায়েট থেকে ডিমের কুসুম বাদ দেওয়ার কথা ভাবেন। এটিতে কোলেস্টরল রয়েছে  ঠিকই, কিন্ত সে জন্য খুব একটা প্রভাব পড়ে না। 

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হল, ভিটামিন বি-২, বি-১২, ডি এর পাশাপাশি ফোলেট, ফসফেট, সেলেনিয়াম, ক্যালনিয়াম, ক্যালসিয়াম , জিংক সহ একাধিক উপাদান থাকে ডিমের কুসুমে। তাই ওজন কমানোর পাশাপাশি শরীর ফিট রাখতে অত্যন্ত জরুরি ডিমের কুসুম। তাই ডিমের কুসুম কোনভাবেই বাদ দেওয়া যাবে না।

ডিম রান্না করতে গিয়ে সঠিক তেলের ব্যবহার:

ডিম রান্না করতে গিয়ে নানা ধরনের তেল ব্যবহার করতে হয়। অনেককেই আবার অল্প বাটার দিয়ে ডিমের তরকারি বানাতে দেখা যায়। এ ক্ষেত্রে সাবধান হতে হবে। কারণ দীর্ঘ দিন ধরে ভুল তেলের প্রয়োগে হার্ট অ্যাটাক বা হাই কোলেস্টরলের  সম্ভাবনা থেকে যায়। তাই নারিকেল তেল বা অলিভ ওয়েল ব্যবহার করতে পারলে খুব ভালো।

ডিমের পাশে যথাযথ খাবার রাখাটাও জরুরি:

হেলদি ডায়েটের পাশাপাশি ওজন কমানোর বিষয়টিকে  সুনিশ্চিত করার ক্ষেত্রে ডিমের সঙ্গে কী খাওয়া হচ্ছে , সেই বিষয়টিকে নজর দেওয়া জরুরি। এ ক্ষেত্রে ডিমের সঙ্গে পালং শাক, টমেটো, ক্যাপসিকাম, মাশরুম খাওয়া যেতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে। 

বেশিক্ষণ ধরে রান্না করা ঠিক নয়:

ওভারকুকিং ঠিক নয় । ডিমকে বেশিক্ষণ ধরে রান্না করলে বা বেশি উষ্ণতায় ফোটালে ডিমের পুষ্টিগুন নষ্ট হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে প্রথমেই ডিমের মধ্যে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ও ভিটামিন এ নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি ডিম বেশি উষ্ণতায় ফুটালে অক্সিসটেরলস নামে একটি উপাদান উৎপাদন উৎপন্ন হয়, যা হৃদযন্ত্রের জন্য খুব ক্ষতিকর । তাই ডিমকে অল্প আচেই রান্না করা ভালো।

ক্যালোরি কাউন্টে নজর দিতে হবে :

যদি ওজন কমাতে হয় , তা হলে ডিম কী ভাবে খাচ্ছেন, সেই বিষয়ে নজর দেওয়াটা অত্যান্ত জরুরি। এ ক্ষেত্রে ক্যালোরি মেপে খেতে হবে। তাই ডিমের পোচ বা ডিম সিদ্ধ করে খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে অতিরিক্ত ফ্যাট যুক্ত হয় না। আর ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও তেমন অসুবিধা হয় না। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url