ভ্রমণে গেলে বমি হয় -বমি থেকে মুক্তির উপায়
বাসে বা যে কোনো ধরনের যানবাহনে ভ্রমনের সময় অনেকে বমি করেন। এই বমির সমস্যায় শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি দেখা গেলেও সব বয়সীর এই সমস্যা হতে পারে।
ভ্রমনে বমি কেন হয় ?
বমির জন্য দায়ী আমাদের অন্ত:কর্ণের সমন্বয়হীনতা। চলন্ত বাসের ঝাকুনিতে আমাদের কানের ভেতরের ফ্লইড নড়াচড়া করে। যার কারনে অন্ত:কর্ণ ব্রেইনকে ইনফরমেশন দেয়, বডি মুভ করে, কিন্ত এদিকে আমাদের চোখ আবার ব্রেইনকে ইনফরমেশন দেয় যে বডি স্থির আছে। শরীর নড়াচড়া করছে না। দুই রকম ইনফরমেশনের জন্য মস্তিষ্কের সমন্বয়হীনতার সৃষ্টি হয় । আর এ ধরনের অবস্থাকে ব্রেইন বিষ হিসেবে শনাক্ত করে। তাই বিষ কে বডি থেকে বের করে দেয়ার জন্য যাত্রাকালে বমি হয় বা বমি বমি ভাব হয়।
বমির সমস্যা রোধে করণীয়।
১। বাসে বসে ঘুমিয়ে গেলে বমি হয় না। কারণ চোখ তখন ইনফরমেশন দেয় না; ফলে ব্রেইনে কোনো কনফিউশন তৈরি হয় না; ঘুম না এলেও হালকাভাবে দুচোখ বন্ধ করে রাখুন।
২। যানবাহনে ভ্রমনের সময় জানালা দিয়ে বাইরে তাকান। সামনের দিকে বা জানালার কাছে আসন নিন। জানালাটা খুলে দিন। ঠান্ডা বাতাস লাগবে শরীর ভালো লাগবে।
৩। ভ্রমনের সময় বই, পত্রিকা পড়লে বমির সমস্যা হতে পারে। তাই কোনো কিছু পড়া থেকে বিরত থাকুন।
৪। গাড়িতে আড়াআড়িভাবে বা যেদিকে গাড়ি চলছে, সে দিকে পিছনে ফিরে বসবেন না। এতে মাথা ঘোরা ও বমির সমস্যা হতে পারে।
৫। যাত্রা শুরুর আগে ভরা পেট খাবেন না বা পানি পান করবেন না।
৬। কিছু ওষুধ আছে, যা খেলে বমিভাব বন্ধ করতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শমতো তা সেবন করতে পারেন।
৭। গাড়িতে বসে আদা কিংবা চুইংগাম চিবালেও উপকার পাওয়া যায়।
৮। খুব সহজ এবং সস্তা একটি উপায় হল লেবু। এক টুকরো লেবু মুখে নিয়ে কিছুক্ষন চুষে নিন। এ ছাড়া এক গ্লাস পানিতে এক টুকরো লেবুর রস। এক চিমটি নুন মিশিয়ে খান। এটি দ্রুত বমি বমি ভাব দূর করে দিবে।
৯। অনেকেই দারুচিনি চিবুতে পছন্দ করেন। দারুচিনি ভারী খাবারের পর খেলে হজমে খুব সাহায্য করে। তাই হজমের সমস্যাজনিত কারণে বমিভাব হলে খেতে পারেন এক টুকরো দারুচিনি।
১০। যখনই বমি ভাব দেখবেন তখনি মুখে এক টুকরো লবঙ্গ রেখে দিন। ধীরে ধীরে চিবুতে থাকুন দেখবেন আপনার মুখ থেকে বমিভাব চলে গেছে।
১১। গাড়িতে উঠলেই আমার বমি হবে- এমন চিন্তা জার্নি সময় কখনো মনে আনা যাবে না।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url