শীতে শিশুর সুরক্ষায় ১১টি করনীয়-শিশুর যত্নে ১১টি করণীয়

ঋতু পরিবর্তন একটি সাধারন নিয়ম হলেও এই ঋতু পরিবর্তনে বদলে যায় প্রকৃতি পরিবেশ । এই পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে  না পারলে শরীরে দেখা দেয় নানা বিপত্তি। শীতে শিশুদের তুলনায় বড়রা একটু বেশি ঝুকিতে থাকে। কিন্ত কিছু কার্যকর শিশুদের রাখতে পারে বেশ সুরক্ষিত। যেমন;

 শীতে শিশুর সুরক্ষায়  ১১টি করনীয়-শিশুর যত্নে ১১টি করণীয়

শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষায় ১১টি করণীয়ঃ-

১। ঠান্ডা জাতীয় খাবার  থেকে শিশুকে দূরে রাখুন । এই সময় ভুলেও  শিশুকে ঠান্ডা কেনো খাবার খেতে দেবেন না, বিশেষ করে ফ্রিজে রাখা আইসক্রিম,ফল বা অন্য কোন খাবার।

২। শিশুকে হালকা গরম পানি পানের অভ্যাস করুন। সম্ভব হলে অজু-গোসলেও গরম পানি ব্যবহার করুন। এটা পরিবারের সাবাই করতে পারলে ভালো, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা। এতে ঠান্ডা-জ্বর , গলা ব্যথাসহ টনসিল ফোলার মতো সমস্যা থেকে রেহাই মিলবে।

৩। অবশ্যই গরম কাপড় পরিধান করুন। বিশেষ করে গলা , হাত-পা ভালো করে ঢেকে রাখার চেষ্টা করুন। অসর্তকতাবশত শিশুরা হাত-পা এবং মাথার কাপড় খুলে ফেলে দেয়। তাই সতর্ক থাকুন।

৪। শীতকালে শিশু ঘন ঘন প্রস্রাব করে। এতে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। তাই শিশুকে ডায়াপার পরিয়ে রাখুন।

৫। শীতকালে সকালের রোদ খুব উপকারী। ছোট শিশুদের সকালের রোদে কিছুক্ষন রেখে দিতে পারেন। এতে দেহে ভিটামিন ডি“র চাহিদা পূরন হবে। যা রোগমুক্ত থাকতে খুবই উপকারী।

৬। শীতে নিউমোনিয়া বা ব্রংকাইটিসের মতো সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে।  শিশুদের জন্য দিনে কয়েকবার হাত-পা এবং মুখ হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে দিন অথবা ভেজা নরম কাপড় দিয়ে মুছে দিন।

৭। শিশুকে ময়লা জামা কাপড় পরাবেন না। এতে শীতের তেজ বেশি মেলে। এ সময় শিশুদের পোশাক নিয়মিত পরিষ্কার করুন, মাঝেমধ্যে রোদে নিন। 

৮। যদি সম্ভব হয় হালকা গরম পানিতে প্রতিদিন গোসল করান এবং সেটা দুপুর ১২টার আগে। তবে এক দিন পর পর গোসল করালেও সমস্যা নাই। শরীর যেন পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে সে দিকটিও খেয়াল রাখুন। 

৯। গোসলের পর ভালো করে অলিভ অয়েল বা বেবি অয়েল মাখিয়ে দিন।

 আরও পড়ুনঃ  আপনি কি অনিদ্রা জনিত সমস্যায় ভুগছেন ? তাহলে জেনে নিন করণীয়।

১০ । এসময় শিশুরা বাসাব বাড়িতে মাটিতে বা ফ্লোরে যেন খালি পায়ে না হাটে সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখুৃন। কারন ঠান্ডা মাটি বা মেঝেতে হাটাহাটি করলে ঠান্ডা লেগে যেতে পারে। শিশুকে সব সময় জুতা পায়ে দেওয়ার অভ্যাস করারন।

১১। শীতকালে যতটা সম্ভব পর্যাপ্ত ফলমূল খাওয়ার ব্যবস্থা করান। এ ক্ষেত্রে সিজনাল ফলমূল ভালো। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url