শীতে শুষ্ক ত্বকে চুলকানি-শীতে ত্বক শুষ্কে করণীয়
প্রচন্ড গরমের পর প্রকৃতির নিয়েমেই এখন শীত নেমে এসেছে। রাজধানী ঢাকায় তেমন শীত না থাকলেও বাহিরের জেলাগুলোতে , বিশেষ করে উত্তরবঙ্গ এখন প্রচন্ড শীত। ঠান্ডার সময় পানি একটু কম খাওয়া হয়। ফলে ত্বকের আদ্রতা কমে গিয়ে ত্বক রুক্ষ হয়ে পড়ে।
এছাড়া বেশি বেশি চা-কপি ইত্যাদি খেলে শরীর থেকে বেশি পানি বেরিয়ে ত্বক শুষ্ক হতে থাকে। ত্বকের আদ্রতাও আরও কমে। ক্রিম না মাখলে শুরু হয় চুলকানি। এর সঙ্গে খাওয়ার নিয়ম .গোসলের নিয়ম, প্রসাধনী ও ওষুদপত্রের ব্যবহার ঠিক ভাবে না মেনে চললে বিপদ পড়ে। কীভাবে মুক্তি পাবেন এই সমস্যা থেকে ?
আরও পড়ুন:- বুদ্ধি বাড়ানোর ১৫টি উপায়-বুদ্ধি বাড়ানোর ১৫টি কৌশল
পোস্ট সুচিপত্র
খাওয়ার অভ্যাসে আনুন পরিবর্তন :
শীতকালে চিপস-পাকোরার জুড়ি নেই। যার ফলে সুষম খাবারের প্রতি কারও আগ্রহ থাকে না। যে কারনে ত্বকের আর্দ্রতা ও কমতে থাকে। ভালো কর যত্ন না করলে চুলকানি বেড়ে যেতে পারে। সমস্যা কমাতে ভাজাভুজি কম খান। বেশি খান অ্যান্টিক্সিড্যান্ট ও ন্যাচারাল ফ্যাটসমৃদ্ধ খাবার।
যেমন-মৌসুমি ফল, আপেল, আমন্ড, আখরোট, অ্যাভোক্যাডো। অলিভ ওয়েল সতে করা সব্জি বা স্যালাড খান। বেশি করে তৈলাক্ত মাছ, হলুদ-কমলা-গাঢ় সবুজ রংয়ের শাকসবজি খান। জলীয় খাবার খান বেশি। যেমন- ৮-১০ গ্লাস পানি, স্যুপ , ফলের রস , ঘোল, দুধ।
পোষাকের ক্ষেত্রে আনুন পরিবর্তন :
উল বা গরম কাপড়ে চুলকানি বাড়লে সুতির জামারা উপর গরম জামা পড়ুন। মৃদু সাবান নিরাপদ। সুগন্ধে অ্যালার্জি থাকলে মৃদু গন্ধের বা গন্ধহীন সাবান মাখুন। গোসলের পর ভেজা গায়ে লাগান গন্ধহীন নারিকেল তেল।
তারপর এক মগ পানি ঢেলে নরম তোয়ালে দিয়ে আলতো চেপে মুছে নিন। ত্বকের আর্দ্রতা বেশিক্ষন বজায় থাকবে। কম থাকবে চুলকানি। ময়েশ্চারাইজারও লাগাতে পারেন। গোসলের পর অল্প ভেজা গায়ে লাগালে ত্বকের গভীরে যাওয়া পানির উপর প্রতিরোধক আবরণ “তৈরি হয়ে আর্দ্রতা বজায় থাকে বেশিক্ষন।
তৈলাক্ত ত্বকে ব্যবহার করুন মৃদু গন্ধের বেসড লোশন, ত্বকের শুষ্ক হলে মাখুন ক্রিম বেসড লোশন।
আরও পড়ুন:- জ্বরের উৎস ও চিকিৎসা
গোসলের ক্ষেত্রে আনুন ভিন্নতা:
শীতকালে ঠান্ডা পানিতে গোসল করা যায় না। আর গরম পানিতে গোসল করার ফলে ত্বক আরও শুকিয়ে যায় । কাজেই মধ্যপন্থা নিন। গরম পানি ছাড়তে না পারলে গোসল সারুন সংক্ষেপে। আর দীর্ঘ গোসলের আরাম নিতে গেলে ব্যবহার করুন উষ্ণ পানি।
রক্ত সঞ্চালন বেড়ে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে তাতে। তারপর ভেজা না কমলে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে মলম লাগান কিংবা অ্যান্টিঅ্যালার্জিক ওষুধ খান। সমস্যা ঠেকাতে অনেক সময় শীতের শুরু থেকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড ও বিটা ক্যারোটিন সাপ্লিমেন্ট খেলে উপকার হয়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url