ক্ষুধামান্দ্যের সমস্যা;র কারন,লক্ষন- ক্ষুধামান্দ্যের ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি

খাবার খাওয়ার ইচ্ছা বিলোপ পাওয়া বা ক্ষুধামান্দ্য পরিপাকতন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রবহির্ভুত বিভিন্ন রোগের প্রাথমিক লক্ষণ বা অসুস্থ অবস্থার একটি উল্লেখযোগ্য লক্ষন। তবে এই লক্ষনটিকে রোগীর কোন বিশেষ খাদ্য অরুচি কিংবা ভোজনোত্তর অতৃপ্তি অবস্থা থেকে আলাদা করতে হয়।

ক্ষুধামান্দ্যের সমস্যা;র কারন,লক্ষন- ক্ষুধামান্দ্যের ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি

স্বভাবত: নিয়ন্ত্রনকারী দুটি কেন্দ্র রয়েছে। খাদ্য গ্রহন বা  ফিডিং কেন্দ্র খাদ্যগ্রহনে অনুপ্রেরণা যোগায় আর পরিতৃপ্তি বা স্যাটাইটি কেন্দ্র খাদ্য গ্রহনের পর ঐ ফিডিং কেন্দ্রকে অবদমিত করে এবং আমরা পরিতৃপ্তি অর্জনের অনুভুতি লাভ করি। দেহের নানাবিধ অসুস্থ অবস্থায় ক্ষুধামান্দ্য দেখা দেয়। তাই নির্দিষ্টিভাবে কোন রোগ নির্ণয়ে এর ভুমিকা নগণ্য।

ক্ষুধামান্দ্যর কারন : 

সাধারনত পরিপাকতন্ত্রের এবং যকৃতের নানা রকম রোগে ক্ষুধামান্দ্য দেখা দিয়ে থাকে। 
যেমন : 
  • পাকস্থলীর আলসার
  • পাকস্থলীর পুরাতন প্রদাহ
  • অগ্ন্যাশয়ের ক্যান্সার
  • লিভার সিরোসিস
  • সংক্রামক যকৃত প্রদাহ
  • পাকস্থলীর  ক্যান্সার

মুলত এ কারনগুলো ক্ষুধামান্দ্যর প্রাথমিক কারন হিসেবে চিহ্নিত।  

দেহের অন্যান্য কিছু রোগে ক্ষুধামান্দ্য লক্ষন

  • রক্তস্বল্পতা
  • ফূসফুস এবং ফুসফুস বহির্ভুত যক্ষ্মা রোগ
  • গর্ভকালীন সময়ে
  • অতিরিক্ত এলকোহল সেবন
  • জ্বর
  • কৃমি সংক্রামণ
  • অলস পরিশ্রম বিহীন জীবন-যাপন
  • মানসিক উদ্বিগ্নতা ও বিমর্ষতা।
  • মাদকাসক্তি
  • ভুল খাদ্যাভ্যাস
এছাড়া নানাবিধ অন্ত:স্রাবী গ্রন্থি উদ্ভত রোগ, যেমন-এডিসন ডিজিজ,পিটুইটারী গ্রন্থির কার্যকারিতার হ্রাস, প্যারাথইরয়েড গ্রন্থির অতি ক্রিয়াশীলতায় ক্ষুধামান্দ্য ভাব দেখা যায়। ইহা সমাজের উচ্চবিত্তদের মধ্যে বেশী দেখা যায়। বয়:সন্ধিতে উপনীত যুবতী স্বেচ্ছায় উপবাস করার কারনে অত্যন্ত কৃশকায় হয়ে যেতে পারে, এই অবস্থার নাম এ্যানোরেক্সিয়া নারভোসা। এছাড়া ভিটামিন-বি এর অভাবেও ক্ষুধামান্দ্য দেখা দিতে পারে।

ক্ষুধামান্দ্যর লক্ষণ

  • শরীরের ওজন হ্রাস পাওয়া
  • খেতে না চাওয়া
  • মহিলাদের অনিয়মিত মাসিক
  • মুখে দুর্গন্ধ হতে পারে
  • শারীরিক দুর্বলতা
  • দুশ্চিন্তা
  • নিজেকে ভারী ভারী লাগা এবং অনিদ্রা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।

 ঘরোয়া চিকিৎসা

ডোজ থেরাপি : পেপে আমাদের পাকস্থলীর সাথে সাম্প্রতিককালের গবেষনায় জানা যায় যে, পেপেতে বিদ্যমান পেপাইন নামক এনজাইম হজমশক্তি বৃদ্ধি ও অজীর্ণ নাশে কার্যকর। হজম শক্তি বৃদ্ধি করার জন্য পাকা পেপে ৮০-১০০ গ্রাম পরিমাণ এবং কাচা পেপে সবজি হিসেবে ১০০-১৫০ গ্রাম পরিমাণ নিয়মিত খেতে হবে। 

গোল মরিচ  : ২ গ্রাম ফল বা বীজচূর্ণ ১ গ্রাম পরিমাণ সৈন্দব লবণ অথবা বিট লবণ মিশিয়ে আহারের পর দিনে ২ বার সেব্য। ১৫-২০ দিন নিয়মিত সেবন করে যেতে হবে।

আদা : ২-৩ গ্রাম কাচা আদা সামান্য পরিমাণ সৈন্দব লবণ অথবা বিট লবণ মিশিয়ে আহারের পর দিনে ২ বার সেব্য। ১৫-২০ দিন নিয়মিত সেবন করে যেতে হবে।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url