বদহজম কি- বদহজমের লক্ষণ-বদহজমের চিকিৎসা
বদহজম কি ?
বদহজম পরিপাকতন্ত্রের একটি অতি পরিচিত সমস্যা । এই সমস্যায় যে কোন বয়সের নারী পুরুষ ভুগতে পারেন ।
সাধারনত বদহজম হলে পেটে ব্যাথা বা অসস্তি হয়। সাধারন বাংলায় বদহজম হচ্ছে অসম্পুর্ন হজম প্রক্রিয়া । বদহজম হলে কখনো কখনো বমি বমি ভাব হয়, তলপেটে ভার ভার বোধ হয়ে থাকে, টক ঢেকুর উঠে, কখনো বমি হয়। এছাড়াও বদহজম হলে মানসিক কিছু পরিবর্তন ঘটে। যেমন- রাগভাব, ্উদ্বিগ্নতা, মানসিক বিষন্নতা ও দুঃভাব।
বদহজমের কারন ঃ
বদহজম হওয়ার অনেক কারন থাকতে পারে। যেমন ক্ষুধা না লাগতেই খাওয়া , বারবার খাওয়া, অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া,চা-কপি বেশি খাওয়া, চর্বিযুক্ত বা তৈলাক্ত খাবার বেশি খাওয়া, মধ্যপান, ধুমপান, ঝাল ও অতিরিক্ত মসলাযুক্ত খাবার গ্রহন, কম আশযুক্ত খাবার, রাগ, উদ্বিগ্নতা, দু:খ, চিন্তা ইত্যাদি। এছাড়াও পাকস্থলির ক্ষত , পাকস্থলীর প্রদাহ, পিত্তথলির পাথর, অগ্নাশয়ের প্রদাহ, প্যানক্রিয়াসের ক্যান্সার এবং ব্যথানাশক ক্যন্সার এবং প্রদাহ, টিউমার , কোলন ক্যান্সার, রেনাল ফেইলিওর, কিছু ঔষুধ সেবন যেমন- ডিজক্সিন, এ্যালকোহল, মানসিক উত্তেজনা ও অবসাদ ইত্যাদি কারনেও বদহজম হতে পারে।
বদহজমের লক্ষনসমুহ ঃ
বদহজমের লক্ষনসমুহ যেমন-খাবার খাওয়ার 2 হতে ৪ ঘন্টার মধ্যে পেট ব্যাথা, পেট ফাপা, পেটের মধ্যে শব্দ হওয়া, মুখ দিয়ে বা মলদ্বার দিয়ে দুর্গন্ধযুক্ত বায়ু নি:সরণ হওয়া, বমি বমি ভাব বা বমি, ক্ষুধামান্দ্য, তরল মলত্যাগ হতে পারে বা নাও হতে পারে।’
বদহজমের প্রাকৃতিক চিকিৎসা ঃ
বদহজম থেকে মুক্তি পেতে আমরা আমাদের হাতের কাছের ভেষজসমুহ সেবন করে মুক্তি পেতে পারি। চলুন নিচে আমরা কিছু ভেষজ নিয়ে আলোকপাত করি--
- কালোজিরা ঃ
হজম প্রক্রিয়ার নানা সমস্যা দুর করতে অত্যন্ত কার্যকর। ১ চ-চামচ কালোজিরা ১ গ্লাস পানিতে সিদ্ধ করে তার নির্যাস ১ চা-চামচ তাজা ধনিয়া পাতার রসে মিলিয়ে ১ চিমটি লবনসহ প্রতিদিন খাওয়ার পর দু’বার খেলে বদহজম সেরে যায়।
- পুদিনা ঃ
পুদিনা পাতার রস দিনে ২ বা ৩ বার ১ চা-চামচ করে সেবন করলে বদহজম সেরে যায়।
- ধনিয়া ঃ
১ থেকে ২ চা-চামচ ধনিয়া পাতার রস দধির সাথে মিশিয়ে খেলে হজমগত সমস্যা যেমন- বদহজম, বমি,বমি বমি ভাব ও আমাশয়ের উপকার পাওয়া যায়।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url